নিউইয়র্ক ১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক সেকেন্ডে এক ‘পৃথিবী’ গিলছে যে ব্ল্যাকহোল!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
  • / ৭২ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : এখনো পর্যন্ত মহাবিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল কৃষ্ণ গহ্বর অর্থাৎ ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই কৃষ্ণগহ্বরটি এতই দ্রুত বর্ধনশীল যে এটি প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীর সমান মহাজাগতীয় বস্তু গিলে ফেলছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল জ্যোতিপদার্থবিদ এই ব্ল্যাকহোলটি আবিষ্কার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওই গবেষক দলটি এই ব্ল্যাকহোলটিকে ‘খড়ের গাদায় সুঁই খুঁজে পাওয়ার’ মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি মানমন্দির থেকে গবেষক দল ওই ব্ল্যাকহোলটি পর্যবেক্ষণ করেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ব্ল্যাকহোলটি বিগত ৯০০ কোটি বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ব্ল্যাক হোল এবং এই ব্ল্যাক হোলের ভর আমাদের সৌরজগতের সূর্যের মতো ৩০০ কোটি সূর্যের ভরের সমান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্ল্যাকহোলের চারপাশের গ্যাস বলয় বা কোয়াসার এতই উজ্জ্বল যে তা আমাদের ছায়াপথের সব আলোর সম্মিলিত উজ্জ্বলতার চেয়েও ৭ হাজার গুণ বেশি উজ্জ্বল। বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলটির নাম দিয়েছেন জে১১৪৪।
জে১১৪৪ সর্বপ্রথম দেখতে পান অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক দলের সদস্য আদ্রিয়ান লুসি। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে পিএইচডি করছেন।
ওই ব্ল্যাকহোলটি আবিষ্কারে নেতৃত্ব দেওয়া অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ক্রিস্টোফার অনকেন বলেছেন, ‘জ্যোতিপদার্থবিদেরা বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন একটি ব্ল্যাকহোলের সন্ধান করেছেন। কিন্তু তাঁরা এর আগে যা পেয়েছেন সেগুলো খুবই অনুজ্জ্বল কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাঁরা এই উজ্জ্বল ব্ল্যাকহোলটিকেই পাশ কাটিয়ে গেছেন।’
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই বৃহৎ আকারের ব্ল্যাকহোলটি অন্তত দুটি বড় আকারের গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের একীভূত হওয়ার ফলে তৈরি হয়েছে । সাধারণত, অনেক বেশি ভরের নক্ষত্রগুলোর জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার পর অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে নিজের ওপরই চুপসে যায়, তখন সেগুলো ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়। ব্ল্যাক হোলের ঘনত্ব হয় অত্যন্ত বেশি, ফলে আকারের তুলনায় ভর হয় অবিশ্বাস্য!
হককথা/এমউএ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এক সেকেন্ডে এক ‘পৃথিবী’ গিলছে যে ব্ল্যাকহোল!

প্রকাশের সময় : ০১:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

হককথা ডেস্ক : এখনো পর্যন্ত মহাবিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল কৃষ্ণ গহ্বর অর্থাৎ ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই কৃষ্ণগহ্বরটি এতই দ্রুত বর্ধনশীল যে এটি প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীর সমান মহাজাগতীয় বস্তু গিলে ফেলছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল জ্যোতিপদার্থবিদ এই ব্ল্যাকহোলটি আবিষ্কার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওই গবেষক দলটি এই ব্ল্যাকহোলটিকে ‘খড়ের গাদায় সুঁই খুঁজে পাওয়ার’ মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি মানমন্দির থেকে গবেষক দল ওই ব্ল্যাকহোলটি পর্যবেক্ষণ করেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ব্ল্যাকহোলটি বিগত ৯০০ কোটি বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ব্ল্যাক হোল এবং এই ব্ল্যাক হোলের ভর আমাদের সৌরজগতের সূর্যের মতো ৩০০ কোটি সূর্যের ভরের সমান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্ল্যাকহোলের চারপাশের গ্যাস বলয় বা কোয়াসার এতই উজ্জ্বল যে তা আমাদের ছায়াপথের সব আলোর সম্মিলিত উজ্জ্বলতার চেয়েও ৭ হাজার গুণ বেশি উজ্জ্বল। বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলটির নাম দিয়েছেন জে১১৪৪।
জে১১৪৪ সর্বপ্রথম দেখতে পান অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক দলের সদস্য আদ্রিয়ান লুসি। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে পিএইচডি করছেন।
ওই ব্ল্যাকহোলটি আবিষ্কারে নেতৃত্ব দেওয়া অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ক্রিস্টোফার অনকেন বলেছেন, ‘জ্যোতিপদার্থবিদেরা বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন একটি ব্ল্যাকহোলের সন্ধান করেছেন। কিন্তু তাঁরা এর আগে যা পেয়েছেন সেগুলো খুবই অনুজ্জ্বল কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাঁরা এই উজ্জ্বল ব্ল্যাকহোলটিকেই পাশ কাটিয়ে গেছেন।’
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই বৃহৎ আকারের ব্ল্যাকহোলটি অন্তত দুটি বড় আকারের গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের একীভূত হওয়ার ফলে তৈরি হয়েছে । সাধারণত, অনেক বেশি ভরের নক্ষত্রগুলোর জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার পর অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে নিজের ওপরই চুপসে যায়, তখন সেগুলো ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়। ব্ল্যাক হোলের ঘনত্ব হয় অত্যন্ত বেশি, ফলে আকারের তুলনায় ভর হয় অবিশ্বাস্য!
হককথা/এমউএ