নিউইয়র্ক ১০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আস্থা ভঙ্গ: যুক্তরাষ্ট্রে টুইটারকে ১৫ কোটি ডলার জরিমানা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
  • / ৫৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ব্যবহারকারীদের মোবাইল ফোন নম্বর ও ইমেইল বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারকে ১৫ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উত্থাপন করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) এবং আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, রেগুলেটরদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তা ভঙ্গ করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। ওই চুক্তির অধীনে টুইটার ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা সহ ব্যক্তিগত তথ্য বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাছে শেয়ার করা বা তাদের কাছে বিক্রি না করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ।
ফেডারেল তদন্তকারীরা বলেছেন, কিন্তু কোম্পানিটি সেই নিয়ম ভঙ্গ করেছে। এখানে উল্লেখ্য, ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবারই প্রথম টুইটার ভঙ্গ করেছে এমন নয়। এর আগে ইউরোপের জিডিপিআর ডাটা প্রাইভেসি আইন লঙ্ঘনের কারণে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে টুইটারকে জরিমানা করা হয়েছিল ৪ কোটি পাউন্ড। এফটিসি মার্কিন সরকারের একটি স্বাধীন এজেন্সি। তাদের মিশনই হলো আস্থ ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা। তাদের অভিযোগ, টুইটার কর্তৃপক্ষ ২০১১ সালের এফটিসি নির্দেশ ভঙ্গ করেছে।
এর আওতায় প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল তারা।
টুইটারে দেয়া বিজ্ঞাপন থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় করে টুইটার। এ জন্য তারা ভোক্তা থেকে শুরু করে সেলিব্রেটি এবং বিভিন্ন করপোরেশনকে ২৮০ ক্যারেক্টারের বার্তা লিখার সুযোগ দিয়ে থাকে এই মাধ্যমে। এফটিসির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০১৩ সাল থেকে টুইটার এর ব্যবহারকারীদের মোবাইল ফোন নম্বর এবং ইমেইল ঠিকানা চাওয়া শুরু করে। ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য তারা এসব তথ্য চায়। এফটিসির চেয়ার লিনা খান বলেন, কিন্তু তা ব্যবহার করে তারা বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে। এই প্রাকটিসের শিকারে পণিত হয়েছেন টুইটারের কমপক্ষে ১৪ কোটি ব্যবহারকারী।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিকিউর টিমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ান রেনল্ডস বলেন, আরও একবার টুইটার আস্থা ভঙ্গ করেছে। তারা ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবহার করেছে নিজেদের স্বার্থে এবং রাজস্ব বাড়াতে। তিনি বলেন, টুইটার তার ব্যবহারকারীকে ভুয়া নিরাপত্তার কথা বলে তাদের কাছ থেকে সব তথ্য নিয়ে নেয়। বলা হয়, এসব তথ্য ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্য দরকারি এবং একাউন্ট সুরক্ষিত রাখবে। কিন্তু তথ্য দেয়া হয়ে গেছে তারা এসব তথ্য ব্যবহার করে।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আস্থা ভঙ্গ: যুক্তরাষ্ট্রে টুইটারকে ১৫ কোটি ডলার জরিমানা

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

হককথা ডেস্ক : বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ব্যবহারকারীদের মোবাইল ফোন নম্বর ও ইমেইল বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারকে ১৫ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উত্থাপন করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) এবং আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, রেগুলেটরদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তা ভঙ্গ করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। ওই চুক্তির অধীনে টুইটার ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা সহ ব্যক্তিগত তথ্য বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাছে শেয়ার করা বা তাদের কাছে বিক্রি না করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ।
ফেডারেল তদন্তকারীরা বলেছেন, কিন্তু কোম্পানিটি সেই নিয়ম ভঙ্গ করেছে। এখানে উল্লেখ্য, ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবারই প্রথম টুইটার ভঙ্গ করেছে এমন নয়। এর আগে ইউরোপের জিডিপিআর ডাটা প্রাইভেসি আইন লঙ্ঘনের কারণে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে টুইটারকে জরিমানা করা হয়েছিল ৪ কোটি পাউন্ড। এফটিসি মার্কিন সরকারের একটি স্বাধীন এজেন্সি। তাদের মিশনই হলো আস্থ ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা। তাদের অভিযোগ, টুইটার কর্তৃপক্ষ ২০১১ সালের এফটিসি নির্দেশ ভঙ্গ করেছে।
এর আওতায় প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল তারা।
টুইটারে দেয়া বিজ্ঞাপন থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় করে টুইটার। এ জন্য তারা ভোক্তা থেকে শুরু করে সেলিব্রেটি এবং বিভিন্ন করপোরেশনকে ২৮০ ক্যারেক্টারের বার্তা লিখার সুযোগ দিয়ে থাকে এই মাধ্যমে। এফটিসির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০১৩ সাল থেকে টুইটার এর ব্যবহারকারীদের মোবাইল ফোন নম্বর এবং ইমেইল ঠিকানা চাওয়া শুরু করে। ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য তারা এসব তথ্য চায়। এফটিসির চেয়ার লিনা খান বলেন, কিন্তু তা ব্যবহার করে তারা বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে। এই প্রাকটিসের শিকারে পণিত হয়েছেন টুইটারের কমপক্ষে ১৪ কোটি ব্যবহারকারী।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিকিউর টিমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ান রেনল্ডস বলেন, আরও একবার টুইটার আস্থা ভঙ্গ করেছে। তারা ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবহার করেছে নিজেদের স্বার্থে এবং রাজস্ব বাড়াতে। তিনি বলেন, টুইটার তার ব্যবহারকারীকে ভুয়া নিরাপত্তার কথা বলে তাদের কাছ থেকে সব তথ্য নিয়ে নেয়। বলা হয়, এসব তথ্য ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্য দরকারি এবং একাউন্ট সুরক্ষিত রাখবে। কিন্তু তথ্য দেয়া হয়ে গেছে তারা এসব তথ্য ব্যবহার করে।
হককথা/এমউএ