অনলাইন আয়ে মেয়েরা অবদান বেশি রাখছে: জুনাইদ আহমেদ পলক
- প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪
- / ১৬৯৭ বার পঠিত
প্রযুক্তি শ্রম বাজারে নারী পুরুষের সমতা নিয়ে এসেছে। বর্তমান বিশ্বে অনলাইন ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে ৫৮ ভাগ মহিলা। যারা প্রতি ঘন্টায় ছেলেদের চেয়ে বেশি আয় করছে। একটি জরিপে দেখা গেছে একটি মেয়ে অনলাইনে কাজের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় আয় করে ২২ দশমিক ৪৩ পাউন্ড। আর একজন ছেলে আয় করেন ২১ দশমিক ৫৭ পাউন্ড। এর মাধ্যমে বোঝা যায় একজন মেয়ে চাইলে সব দিকেই এগিয়ে থাকতে পারেন। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আউটসোর্সিংয়ে অবদান রাখার জন্য নারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে এসব তথ্য দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, অনলাইন চাকরির বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। বর্তমানে অনলাইন কাজে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের শতকরা ৯ ভাগ নারী। তাদের অবদানে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। অনলাইন কাজে মেয়ে ছেলেদের অংশগ্রহন সমান সমান করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি মেয়েদের অংশগ্রহন ৫০ ভাগ হলে বাংলাদেশই নেতৃত্ব দিবে অনলাইন কাজের ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটি লিমিটেড যৌথভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীদের অংশগ্রহন বাড়াতে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রায় ৮০০ ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর প্রযুক্তি বৃত্তির আওতায় প্রশিক্ষণে অংশ নেন এবং অনলাইন কাজে উপর্জন করছেন। পাশাপাশি অনলাইনে নারীদের অংশগ্রহন বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে ২০০ জন মেয়ে ফ্রিল্যান্সার বিশেষ গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এখান থেকে বাচাই করে ফ্রিলায়ন্সিংয়ে উপর্জন করা সেরা ১০ জন নারী ফ্রিল্যান্সারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক প্রকল্প প্রকল্প পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, মেয়েরা তাদের পরিবাবের কাজের মাঝে সময় করেই অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ভালো উপর্জন করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি অনেক মেয়েই তার স্বামীর উৎসাহে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। কারণ এ জায়গাটি শুধুই মেধা ভিত্তিক, নিরাপদ ও সহজ।
ইল্যান্স-ওডেস্ক বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান বলেন, একজন মেয়ে খুব সহজেই অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারেন। আমরা দেখছি অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে ছেলেদের থেকে মেয়েরা এগিয়ে। কারণটা হলো মেধা ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ক্রিয়েটিভ আইটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির হোসেন এবং সফল নারী উদ্যোগতা ইমরাজিনা খান।