টেকসই উত্তরণ ত্বরান্বিত করতে এলডিসির দেশগুলোতে প্রয়োজন উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণ
- প্রকাশের সময় : ০১:৪৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
- / ৫৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: “স্বল্পোন্নত দেশগুলোর টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করতে ‘উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণ’ ও ‘কাঠামোগত রূপান্তর’ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে”। গত ২০ অক্টোবর বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি এবং জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ আয়োজিত যৌথসভায় বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
এলডিসি’র দেশগুলোতে কোভিড-১৯ অতিমারির ভয়াবহ প্রভাবের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা এর থেকে উত্তরণে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব এবং উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণে পর্যাপ্ত সম্পদ সরবরাহের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, কোভিড ভ্যাকসিন প্রাপ্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবধান পূনরায় এলডিসি’র দেশগুলোকে পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যেখানে উন্নত দেশগুলো প্রায় শতভাগ ভ্যাকসিন প্রদান নিশ্চিত করার কাছাকাছি সেখানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এই হার শতকরা ২ ভাগেরও কম। এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে এলডিসি’র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন প্রযুক্তি হস্তান্তরই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা।
বাণিজ্য ব্যবস্থা ও উৎপাদন সক্ষমতাসমূহের মধ্যকার আন্ত:সম্পর্কের প্রতি আলোকপাত করে বিশ্ব বাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজারে দেশগুলোর পূর্ণ প্রবেশাধিকারের সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোকে যাতে পূনরায় এলডিসি ক্যাটেগরিতে ফিরে যেতে না হয় তা প্রতিরোধে ঐ সকল দেশে যে বিশেষায়িত ও আলাদা বাণিজ্য সুবিধাসমূহ প্রদান করা হচ্ছে তার মেয়াদ আরও কমপক্ষে ১২ বছর বৃদ্ধি করা উচিত।
উন্নয়নের উচ্চতর ধাপে পদার্পনের বিষয়টি তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “অন্তর্ভূক্তিমূলক কাঠামোগত রূপান্তর প্রক্রিয়া সুদৃঢ় করতে এলডিসি’র দেশসমূহের প্রয়োজন প্রণোদনাভিত্তিক কৌশল ও নীতিগত সহায়তা যা তাদের কাঙ্খিত উত্তরণ নিশ্চিত করতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। এটাই হলো সকল স্বল্পোন্নত দেশের প্রত্যাশা, আর যে আকাঙ্খা পূরণই হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও উন্নয়ন অংশীদারগণের লক্ষ্য।
এবছরের যৌথ সভার প্রতিপাদ্য ছিল, “স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ, উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও মধ্য আয়ের দেশসমূহের কোভিড-১৯ পরবর্তী আরও অধিক স্থিতিশীল পুনরুদ্ধার ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণ”। প্রতিপাদ্যটি ‘সুযোগ’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘বিনিয়োগ’ ও ‘সহযোগিতা’র মতো বিষয়গুলোকে নতুনভাবে উন্মোচন করার সুযোগ এনে দিয়েছে যা সত্যিকারভাবেই এসকল দেশগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণে প্রয়োজন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রে বর্তমানে এলডিসি-৫ এর প্রস্তুমূলক কমিটির কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।