নিউইয়র্ক ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পাকিস্তানের মাটিতে ৩৪ বছর পর টেস্ট জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৬৬ বার পঠিত

মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে জয় তুলে নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সফরকারীদের ২৫৪ রান তাড়ায় ১৩৩ রানেই গুঁটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ১২০ রানের বড় জয় তুলে নেয় ক্যারিবিয়ানরা। ১৯৯০ -এর পর স্বাগতিকদের মাটিতে এই প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলো উইন্ডিজ। দুই ম্যাচের সিরিজে শেষ হলো ১-১ সমতায়। তৃতীয় দিনের শুরুতে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৭৮ রান, হাতে ৬ উইকেট।

তবে ২০ ওভারের মধ্যে দলের খাতায় ৫৭ রান যোগ হতে সবগুলো উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সোমবার সকালে প্রথম আট বলের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার সৌদ শাকিল (১৩) ও কাশিফ আলী (১)। সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান (২৫) ও সালমান আগার (১৫) ৩৯ রানের জুটি কিছুটা আশার আলো দেখায় দলকে। দুই পাকিস্তানি ব্যাটারকেই আউট করেন জোমেল ওয়ারিক্যান। শেষ ব্যাটার সাজিদ খানকে ফিরিয়ে ইনিংসে ফাইফার পূরণ করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেন এই ক্যারিবীয় বোলার। দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে মূল্যবান ৫৪ রান করেন ওয়ারিক্যান। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা পেয়েছেন তিনিই। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ১৯ উইকেট এবং ৮৫ রান করে সিরিজসেরাও এই ৩২ বছর বয়সী।

এর আগে ম্যাচের প্রথম দিন মাত্র ৩৮ রানে ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা। শেষ তিন ব্যাটার গুডাকেশ মোতি, কিমার রোচ এবং ওয়ারিক্যানের লড়াকু ব্যাটিংয়ে দলীয় ১৬৩ রান সংগ্রহ করে ক্যারিবিয়ানরা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানও অলআউট হয় ১৫৪ রানে। মোতি এবং রোচ এদিন বল হাতে নেন ৩টি ও ২টি উইকেট। ৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের অধিনায়ক ও ওপেনার ক্রেইগ ব্যাথওয়েট খেলেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস। ২৪৪ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ৪টি করে উইকেট নেন দুই স্পিনার সাজিদ খান এবং নোমান আলী। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম তিন ওভারেই দুই ওপেনার শান মাসুদ ও মোহাম্মদ হুরাইরা ফেরেন ব্যক্তিগত ২ রানে। তৃতীয় দিন খেলা হয় মাত্র দুই ঘন্টা। পাকিস্তানের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন বাবর আজম। মোহাম্মদ রিজওয়ান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ব্যক্তিগত ২৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। ১৩৩ রানে আটকে যায় পাকিস্তানের রানের চাকা। ওয়ারিক্যানের ফাইফারের দিন কেভিন সিনক্লেয়ার ও মোতি নেন ৩টি ও ২টি উইকেট। পুরো সিরিজে দেখা যায় স্পিনারদের জয়জয়কার। বোলিং ঘূর্নিতে গড়লেন রেকর্ডও। দুই টেস্ট মিলিয়ে এ সিরিজে স্পিনাররা নিয়েছেন ৬৯ উইকেট, যা কিনা এক সিরিজে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ -এ শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দেখা যায় ৬৭ উইকেট। এ ম্যাচের আগে পাকিস্তানে ২২টি টেস্ট খেলে মাত্র ৪বার জয় পায় ক্যারিবিয়ানরা। সফরকারীরা শেষবার জয় তুলে নেয় ফয়সালাবাদে, ১৯৯০ -এর ২৫শে নভেম্বর। সূত্র : মানবজমিন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের মাটিতে ৩৪ বছর পর টেস্ট জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে জয় তুলে নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সফরকারীদের ২৫৪ রান তাড়ায় ১৩৩ রানেই গুঁটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ১২০ রানের বড় জয় তুলে নেয় ক্যারিবিয়ানরা। ১৯৯০ -এর পর স্বাগতিকদের মাটিতে এই প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলো উইন্ডিজ। দুই ম্যাচের সিরিজে শেষ হলো ১-১ সমতায়। তৃতীয় দিনের শুরুতে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৭৮ রান, হাতে ৬ উইকেট।

তবে ২০ ওভারের মধ্যে দলের খাতায় ৫৭ রান যোগ হতে সবগুলো উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সোমবার সকালে প্রথম আট বলের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার সৌদ শাকিল (১৩) ও কাশিফ আলী (১)। সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান (২৫) ও সালমান আগার (১৫) ৩৯ রানের জুটি কিছুটা আশার আলো দেখায় দলকে। দুই পাকিস্তানি ব্যাটারকেই আউট করেন জোমেল ওয়ারিক্যান। শেষ ব্যাটার সাজিদ খানকে ফিরিয়ে ইনিংসে ফাইফার পূরণ করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেন এই ক্যারিবীয় বোলার। দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে মূল্যবান ৫৪ রান করেন ওয়ারিক্যান। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা পেয়েছেন তিনিই। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ১৯ উইকেট এবং ৮৫ রান করে সিরিজসেরাও এই ৩২ বছর বয়সী।

এর আগে ম্যাচের প্রথম দিন মাত্র ৩৮ রানে ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা। শেষ তিন ব্যাটার গুডাকেশ মোতি, কিমার রোচ এবং ওয়ারিক্যানের লড়াকু ব্যাটিংয়ে দলীয় ১৬৩ রান সংগ্রহ করে ক্যারিবিয়ানরা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানও অলআউট হয় ১৫৪ রানে। মোতি এবং রোচ এদিন বল হাতে নেন ৩টি ও ২টি উইকেট। ৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের অধিনায়ক ও ওপেনার ক্রেইগ ব্যাথওয়েট খেলেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস। ২৪৪ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ৪টি করে উইকেট নেন দুই স্পিনার সাজিদ খান এবং নোমান আলী। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম তিন ওভারেই দুই ওপেনার শান মাসুদ ও মোহাম্মদ হুরাইরা ফেরেন ব্যক্তিগত ২ রানে। তৃতীয় দিন খেলা হয় মাত্র দুই ঘন্টা। পাকিস্তানের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন বাবর আজম। মোহাম্মদ রিজওয়ান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ব্যক্তিগত ২৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। ১৩৩ রানে আটকে যায় পাকিস্তানের রানের চাকা। ওয়ারিক্যানের ফাইফারের দিন কেভিন সিনক্লেয়ার ও মোতি নেন ৩টি ও ২টি উইকেট। পুরো সিরিজে দেখা যায় স্পিনারদের জয়জয়কার। বোলিং ঘূর্নিতে গড়লেন রেকর্ডও। দুই টেস্ট মিলিয়ে এ সিরিজে স্পিনাররা নিয়েছেন ৬৯ উইকেট, যা কিনা এক সিরিজে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ -এ শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দেখা যায় ৬৭ উইকেট। এ ম্যাচের আগে পাকিস্তানে ২২টি টেস্ট খেলে মাত্র ৪বার জয় পায় ক্যারিবিয়ানরা। সফরকারীরা শেষবার জয় তুলে নেয় ফয়সালাবাদে, ১৯৯০ -এর ২৫শে নভেম্বর। সূত্র : মানবজমিন।