নিউইয়র্ক ০৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভিনির জোড়া গোলে রিয়ালের স্বস্তি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৩ বার পঠিত

তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে বেশ পিছিয়ে পড়ল রিয়াল মাদ্রিদ। অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়ে ভিনিসিউসের জোড়া গোলে স্বস্তি ফিরল কার্লো আনচেলত্তি শিষ্যদের। অবশেষে হারের শঙ্কা উড়িয়ে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল দলটি।

লা লিগা শনিবার রাতে মেস্তায়া স্টেডিয়ামে রিয়ালকে আতিথেয়তা জানায় ভ্যালেন্সিয়া। যেখানে হুগো দুরো ও রোমান ইয়ারেমচুকের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান কমান ভিনিসিউস। আর নির্ধারিত সময়ের ১৪ মিনিট বাকি থাকতে নিজের দ্বিতীয় গোলে সমতা টানেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

চরম নাটকীয়তায় ম্যাচের সমাপ্তি ঘটে । ব্রাহিম দিয়াসের ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান জুড বেলিংহ্যাম। কিন্তু তার আগেই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। এতে ছড়িয়ে পড়ে তুমুল উত্তেজনা। রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন রেয়ালের খেলোয়াড়রা। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে লাল কার্ড দেখেন বেলিংহ্যাম। অ্যাঙ্কেলের চোট কাটিয়ে তিন সপ্তাহ পর এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।

খেলার ধারার বিপরীতে ২৭ থেকে ৩০তম মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে এগিয়ে যায় ভালেন্সিয়া। দুটিতেই দায় ছিল রিয়ালের রক্ষণের। প্রথমটিতে ডান দিকে বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের থেকে বল কেড়ে নেওয়ার পর তা হারিয়ে ফেলেন ডিফেন্ডার ফেরলঁদ মঁদি। সতীর্থের ক্রসে চমৎকার হেডে গোল করেন দুরো। পরেরটিতে মারাত্মক ভুল করে বসেন দানি কারভাহাল। এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ব্যাক-পাস দেন গোলরক্ষকের উদ্দেশে, ছুটে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এগিয়ে আসা আন্দ্রি লুনিনকে কাটিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান ইয়ারেমচুক।

অবশেষে প্রথমার্ধে রিয়ালের অস্বস্তিময় পথচলায় কিছুটা স্বস্তি হয়ে আসে যোগ করা সময়ে ভিনিসিউসের গোল। ডান দিক থেকে কারভাহালের বাড়ানো বলে গোলরক্ষক হাত ছোঁয়ালেও ক্লিয়ার করতে পারেননি। রদ্রিগোর পা ছুঁয়ে বল যায় ভিনিসিউসের কাছে। কাছ থেকে ব্যবধান কমান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বিরতির পর ৭৬তম মিনিটে ব্রাহিমের ক্রসেই কাছ থেকে হেডে সমতা টানেন ভিনিসিউস। ভালেন্সিয়ার খেলোয়াড়রা রেফারিকে ঘিরে ধরে অফসাইডের দাবি জানালেও ভিএআরে বহাল থাকে গোলের সিদ্ধান্ত।

যোগ করা সময়ের শুরুতে দুরো রেয়ালের বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। খানিক পর পিতার গনসালেসের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান লুনিন। এরপর রেফারির শেষ বাঁশি ও বেলিংহ্যামের বল জালে পাঠানোর ওই ঘটনা। যা জন্ম দিয়েছে তুমুল আলোচনার। লিগে ২৭ ম্যাচে ২০ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রেয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে জিরোনা দুইয়ে, ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা তিনে আছে। ২৬ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে ভালেন্সিয়া। সূত্র : আমাদের সময়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ভিনির জোড়া গোলে রিয়ালের স্বস্তি

প্রকাশের সময় : ০১:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে বেশ পিছিয়ে পড়ল রিয়াল মাদ্রিদ। অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়ে ভিনিসিউসের জোড়া গোলে স্বস্তি ফিরল কার্লো আনচেলত্তি শিষ্যদের। অবশেষে হারের শঙ্কা উড়িয়ে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল দলটি।

লা লিগা শনিবার রাতে মেস্তায়া স্টেডিয়ামে রিয়ালকে আতিথেয়তা জানায় ভ্যালেন্সিয়া। যেখানে হুগো দুরো ও রোমান ইয়ারেমচুকের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান কমান ভিনিসিউস। আর নির্ধারিত সময়ের ১৪ মিনিট বাকি থাকতে নিজের দ্বিতীয় গোলে সমতা টানেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

চরম নাটকীয়তায় ম্যাচের সমাপ্তি ঘটে । ব্রাহিম দিয়াসের ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান জুড বেলিংহ্যাম। কিন্তু তার আগেই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। এতে ছড়িয়ে পড়ে তুমুল উত্তেজনা। রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন রেয়ালের খেলোয়াড়রা। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে লাল কার্ড দেখেন বেলিংহ্যাম। অ্যাঙ্কেলের চোট কাটিয়ে তিন সপ্তাহ পর এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।

খেলার ধারার বিপরীতে ২৭ থেকে ৩০তম মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে এগিয়ে যায় ভালেন্সিয়া। দুটিতেই দায় ছিল রিয়ালের রক্ষণের। প্রথমটিতে ডান দিকে বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের থেকে বল কেড়ে নেওয়ার পর তা হারিয়ে ফেলেন ডিফেন্ডার ফেরলঁদ মঁদি। সতীর্থের ক্রসে চমৎকার হেডে গোল করেন দুরো। পরেরটিতে মারাত্মক ভুল করে বসেন দানি কারভাহাল। এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ব্যাক-পাস দেন গোলরক্ষকের উদ্দেশে, ছুটে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এগিয়ে আসা আন্দ্রি লুনিনকে কাটিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান ইয়ারেমচুক।

অবশেষে প্রথমার্ধে রিয়ালের অস্বস্তিময় পথচলায় কিছুটা স্বস্তি হয়ে আসে যোগ করা সময়ে ভিনিসিউসের গোল। ডান দিক থেকে কারভাহালের বাড়ানো বলে গোলরক্ষক হাত ছোঁয়ালেও ক্লিয়ার করতে পারেননি। রদ্রিগোর পা ছুঁয়ে বল যায় ভিনিসিউসের কাছে। কাছ থেকে ব্যবধান কমান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বিরতির পর ৭৬তম মিনিটে ব্রাহিমের ক্রসেই কাছ থেকে হেডে সমতা টানেন ভিনিসিউস। ভালেন্সিয়ার খেলোয়াড়রা রেফারিকে ঘিরে ধরে অফসাইডের দাবি জানালেও ভিএআরে বহাল থাকে গোলের সিদ্ধান্ত।

যোগ করা সময়ের শুরুতে দুরো রেয়ালের বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। খানিক পর পিতার গনসালেসের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান লুনিন। এরপর রেফারির শেষ বাঁশি ও বেলিংহ্যামের বল জালে পাঠানোর ওই ঘটনা। যা জন্ম দিয়েছে তুমুল আলোচনার। লিগে ২৭ ম্যাচে ২০ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রেয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে জিরোনা দুইয়ে, ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা তিনে আছে। ২৬ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে ভালেন্সিয়া। সূত্র : আমাদের সময়।