ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে আম্পায়ার জেসি
- প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
- / ৮৫ বার পঠিত
চলতি মাসেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কায় বসতে যাচ্ছে নারী এশিয়া কাপের নবম আসর। আগামী ১৯ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেপালের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে এবারের আসরের। আর এই আসরেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারী আম্পায়ার হিসেবে সাথীরা জাকির জেসি ম্যাচ পরিচালনা করবেন।
এর আগে শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেসি নিজেই। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ স্বপ্ন সত্যি করে নারী এশিয়া কাপ ২০২৪-এ নতুন যাত্রা শুরু হচ্ছে। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আমাকে আসন্ন নারী এশিয়া কাপের জন্য নির্বাচিত করেছে। শ্রীলঙ্কায় ১৮-২৮ জুলাই এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ এবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন নিজের প্রতিক্রিয়া।
গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এসে তিনি এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে, এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছি। কারণ খুব তাড়াতাড়ি স্বপ্নটা পূরণ হয়ে যাচ্ছে তো। গত এশিয়া কাপে দলের খুব কাছাকাছি ছিলাম। সে সময় যখন দেখেছিলাম যে, কাতার, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া থেকে এসে আম্পায়াররা আম্পায়ারিং করছে আর আমাদের বাংলাদেশ থেকে কেউ নেই। তখন থেকেই আমার লক্ষ্য ছিল যে, পরবর্তী এশিয়া কাপটায় আমি করব। লক্ষ্য ছিল ঠিকই পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রমও করছিলাম। তবে এত তাড়াতাড়ি যে তা পূরণ হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি।’
১৯ জুলাই এশিয়া কাপ হলেও জেসি ঢাকা ছাড়বে তার দুই দিন আগে ১৭ জুলাই। আসরে সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচসহ আরও সাত-আটটি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করারও সম্ভাবনা রয়েছে তার। জেসি বলেন, ‘মনে হচ্ছে শুরুটা ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়েই হবে আমার। যদিও অফিশিয়ালি এখনো কিছু বলেনি এ বিষয়ে। তবে শুরু থেকে শেষ সব ম্যাচেই দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো মাঠ আম্পায়ার না হলে থার্ড কিংবা ফোর্থ দেবে সেটা জানি না। তবে আমার প্রথম ম্যাচ যেহেতু ভারত-পাকিস্তান হতে চলেছে সেটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে। সেটা অনফিল্ড থাকি কিংবা তৃতীয় থাকি অথবা চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকি না কেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্রিকেটে বিশ্বকাপের পরই সব থেকে বড় আসর হচ্ছে এশিয়া কাপ। এশিয়ার জন্য তো অবশ্যই। আর যে কোনো বড় আসরই চ্যালেঞ্জিং। আমি এর আগেও এসিসির ইমাজিং এশিয়া কাপ করেছিলাম, এসিসি প্রিমিয়ার লিগ করেছিলাম কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো এশিয়ার সব বড় বড় দল এক টুর্নামেন্টে এমনটিতে দায়িত্ব পালন করা হয়নি।’ টুর্নামেন্টে তিনি নিজের লক্ষ্য নিয়ে বলেন, ‘চেষ্টা থাকবে নির্ভুল আম্পায়ারিং করার।’ তবে তার পরবর্তী লক্ষ্য ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া, বিশ্বকাপেও দায়িত্ব পালন করা। এ নিয়ে বলেন, ‘এশিয়া কাপে আসলে সবার চোখ থাকবে। এখানে যদি ভালো করতে পারি তাহলে বিশ্বকাপ প্রায় নিশ্চিত। যদিও সেখানে দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে যেহেতু বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আর আইসিসি প্যানেলভুক্তও হয়েছি, তারপরও এশিয়া কাপটায় ভালো করতে হবে।’ সূত্র: ইত্তেফাক।