শিরোপার লড়াইটা আলিসন–এদেরসনেরও
- প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৩৯ বার পঠিত
প্রিমিয়ার লিগে তাঁরা দুজন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী। এদেরসন (বাঁয়ে) ম্যানচেস্টার সিটির গোলকিপার, আলিসন লিভারপুলের। ব্রাজিল দলে আবার তাঁরা সতীর্থ রয়টার্স
স্পোর্টস ডেস্ক : লিভারপুল, নাকি ম্যানচেস্টার সিটি—কে জিতবে এবারের প্রিমিয়ার লিগ? পয়েন্ট তালিকায় দুই দলে মধ্যে আরেকটি দল থাকলেও ফুটবল অনুসারীরা এমন প্রশ্নই করছে।
এর কারণ জানতে হলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার দিকে একবার তাকাতে হবে। মাঝরেখা পেরিয়ে গেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। বেশ জমে উঠেছে শিরোপার লড়াই। ২০ ম্যাচ খেলে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে শীর্ষে আছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্ট ৪২। এক ম্যাচ কম খেলে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি আছে তৃতীয় স্থানে। ২০ ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে চারে আর্সেনাল।
শীর্ষে থাকা লিভারপুল ও তৃতীয় স্থানে থাকা সিটির মাঝখানে অ্যাস্টন ভিলার মতো ছোট দল বলেই হয়তো তাদের খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না অনেকেই। হয়তো তারা মনে করছে, ভিলার মতো একটা ছোট দল শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয়ের দৌড়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আর্সেনালও শীর্ষস্থানে থাকা লিভারপুলের সমান ম্যাচ খেলে তাদের চেয়ে ৫ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকায় শিরোপা–দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে, এটা বলাই যায়।
সব বিবেচনা করে এবারের প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা–দৌড়ে লিভারপুল আর সিটিকেই প্রধান দুই দাবিদার মনে করছেন অনেকে। লড়াইটা যদি এ দুই দলেরই হয়, তাহলে সেই লড়াইয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন দুই দলের দুই ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার। এই মুহূর্তে ফুটবল–বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই গোলকিপারের একজন আলিসন আছেন লিভারপুলে, এদেরসন সিটিতে।
মোহাম্মদ সালাহ, দারউইন নুনিয়েজ, দিয়োগো জোতা, লুইস দিয়াজ…লিভারপুলের আক্রমণভাগটা তারকা খেলোয়াড়ে ঠাসা। অন্যদিকে ম্যানচেস্টার সিটির আক্রমণভাগে আছেন ‘গোলমেশিন’ আর্লিং হলান্ড, ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা হুলিয়ান আলভারেজ, ফিল ফোডেনের মতো খেলোয়াড়। দুই দলের আক্রমণভাগেই এত এত বিকল্প থাকার পরও অনেকেই মনে করেন, তাদের শিরোপা-ভাগ্য গড়ে দেবেন গোলপোস্টের নিচে দাঁড়ানো আলিসন বা এদেরসন!
২০১৮ সালে লিভারপুলে নাম লেখানোর পর নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলকিপার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আলিসন। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে তাঁর গোল বাঁচানোর হার ৭৭.৩৩ শতাংশ। ম্যাচপ্রতি গোল বাঁচিয়েছেন ১.৮টি করে। এএস রোমার সাবেক গোলকিপার সুইপার-কিপার হিসেবেও নিজেকে দারুণভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বল-প্লেয়িংয়ের সামর্থ্য আছে তাঁর।
বল-প্লেয়িং গোলকিপার হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন সিটির এদেরসনও। তবে তাঁর গোল বাঁচানোর বিষয়টি যথেষ্ট প্রশংসা পায় না। এ বিষয়ে কয়েক বছরে তিনি বেশ উন্নতিই করেছেন। ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের সেরা গোলকিপারের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লাভও জিতেছেন। ব্রাজিলিয়ান এই গোলকিপারকে অনেকেই বলেন সিটির রক্ষণের শেষ শান্ত্রি। এখন দেখা যাক—শেষ পর্যন্ত কে হাসেন শেষ হাসি! সূত্র : প্রথম আলো
হককথা/নাছরিন