নিউইয়র্ক ০২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কেউ নিখুঁত না হলেও খাজার কাছে ওয়ার্নার ‘নায়ক’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৩:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫৫ বার পঠিত

খাজা ও ওয়ার্নার। ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরে ডেভিড ওয়ার্নারের ওপেনিং সঙ্গী উসমান খাজা। বিশেষ করে টেস্টে। মাঠে যেমন সতীর্থের কঠিন সময়ে সাহস জোগান, মাঠের বাইরেও ওয়ার্নারের দিকে ধেয়ে আসা মিচেল জনসনের তোপ সামলাতে ব্যাট সামনে বাড়িয়েছেন খাজা। ‘স্যান্ডপেপার্স’ কেলেঙ্কারির জন্য ওয়ার্নার অন্যদের কাছে ‘ভিলেন’ হলেও এই বাঁহাতি ব্যাটারের কাছে ‘হিরো’। জনসনের সমালোচনার জবাবে খাজা সেটিই বললেন।

এ মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজের জন্য দলে আছেন ওয়ার্নারও। লাল বলে এটিই যে তাঁর শেষ সিরিজ! আগেই জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ওয়ার্নারকে বিদায় দিতে অস্ট্রেলিয়া দলও বেশ কিছু আয়োজনও করতে যাচ্ছে।

কিন্তু সেটি মোটেও পছন্দ নয় জনসনের। সাবেক অজি পেসার গত রোববার দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ানে দীর্ঘ এক কলামে লিখেছেন, ‘যেভাবে ওয়ার্নারের বিদায়ী সিরিজ নিয়ে প্রস্তুতি হচ্ছে, কেউ কি আমাকে বলতে পারবেন, কেন এমনটা করছি? কেন একজন ধুঁকতে থাকা টেস্ট ওপেনার নিজের ইচ্ছেমতো বিদায় জানানোর সুযোগ পাচ্ছে? আর কোন যুক্তিতে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির অন্যতম প্রধান চরিত্রের নায়কোচিত বিদায় পাচ্ছে?’

২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার যে তিনজন ‘স্যান্ডপেপার্স’ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন তার একজন ওয়ার্নার। সেই অপরাধের শাস্তিও তিনি পেয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন দলেও। কিন্তু সাবেক সতীর্থের এমন অপরাধ ভোলেননি জনসন। পাঁচ বছর আগে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পরও ওয়ার্নার যেভাবে ‘বীরত্বের’ সঙ্গে অবসর নিতে যাচ্ছেন, সেটিই নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করা জনসনের।

ওয়ার্নারের এমন বিদায়কে জনসন সমালোচনা করলেও খাজার কাছে নায়ক ওয়ার্নার। তিনি মনে করেন, কেউ নিখুঁত নয়। আজ সাংবাদিকদের খাজা বলেন, ‘ডেভি ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ আমার কাছে নায়ক। কেউ নিখুঁত নয়। মিচেল জনসন নিখুঁত নয়, আমিও নিখুঁত নই, স্টিভেন স্মিথও নিখুঁত নয়, ডেভিড ওর্য়ানারও নিখুঁত নয়।’

কেপটাউনের সেই স্যান্ডপেপার্স বা বল টেম্পারিং টেস্টে ওয়ার্নারের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন খাজা। প্রোটিয়াদের ব্যাটিং ইনিংসের সময় লুকিয়ে বলে শিরিষ কাগজ ঘষেন ক্যামেরুন ব্যানক্রফট। সেই টেস্টে অজিদের নেতৃত্বে ছিলেন স্মিথ। এই স্ক্যান্ডালের বিষয়ে জানতেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। বিষয়টি সবার নজরে আসার পর এই তিন জন শাস্তি পান।

তবে খাজা মনে করেন, এই তিনজন ম্যাচের ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে এমনটা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা যা করেছে তা ম্যাচের ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে। স্যান্ডপেপার্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ওয়ার্নার বা যে কাউকে যে জনসন নায়ক মনে করেন না, সেটির সঙ্গে আমি একমত নই।’সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কেউ নিখুঁত না হলেও খাজার কাছে ওয়ার্নার ‘নায়ক’

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৩:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরে ডেভিড ওয়ার্নারের ওপেনিং সঙ্গী উসমান খাজা। বিশেষ করে টেস্টে। মাঠে যেমন সতীর্থের কঠিন সময়ে সাহস জোগান, মাঠের বাইরেও ওয়ার্নারের দিকে ধেয়ে আসা মিচেল জনসনের তোপ সামলাতে ব্যাট সামনে বাড়িয়েছেন খাজা। ‘স্যান্ডপেপার্স’ কেলেঙ্কারির জন্য ওয়ার্নার অন্যদের কাছে ‘ভিলেন’ হলেও এই বাঁহাতি ব্যাটারের কাছে ‘হিরো’। জনসনের সমালোচনার জবাবে খাজা সেটিই বললেন।

এ মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজের জন্য দলে আছেন ওয়ার্নারও। লাল বলে এটিই যে তাঁর শেষ সিরিজ! আগেই জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ওয়ার্নারকে বিদায় দিতে অস্ট্রেলিয়া দলও বেশ কিছু আয়োজনও করতে যাচ্ছে।

কিন্তু সেটি মোটেও পছন্দ নয় জনসনের। সাবেক অজি পেসার গত রোববার দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ানে দীর্ঘ এক কলামে লিখেছেন, ‘যেভাবে ওয়ার্নারের বিদায়ী সিরিজ নিয়ে প্রস্তুতি হচ্ছে, কেউ কি আমাকে বলতে পারবেন, কেন এমনটা করছি? কেন একজন ধুঁকতে থাকা টেস্ট ওপেনার নিজের ইচ্ছেমতো বিদায় জানানোর সুযোগ পাচ্ছে? আর কোন যুক্তিতে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির অন্যতম প্রধান চরিত্রের নায়কোচিত বিদায় পাচ্ছে?’

২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার যে তিনজন ‘স্যান্ডপেপার্স’ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন তার একজন ওয়ার্নার। সেই অপরাধের শাস্তিও তিনি পেয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন দলেও। কিন্তু সাবেক সতীর্থের এমন অপরাধ ভোলেননি জনসন। পাঁচ বছর আগে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পরও ওয়ার্নার যেভাবে ‘বীরত্বের’ সঙ্গে অবসর নিতে যাচ্ছেন, সেটিই নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করা জনসনের।

ওয়ার্নারের এমন বিদায়কে জনসন সমালোচনা করলেও খাজার কাছে নায়ক ওয়ার্নার। তিনি মনে করেন, কেউ নিখুঁত নয়। আজ সাংবাদিকদের খাজা বলেন, ‘ডেভি ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ আমার কাছে নায়ক। কেউ নিখুঁত নয়। মিচেল জনসন নিখুঁত নয়, আমিও নিখুঁত নই, স্টিভেন স্মিথও নিখুঁত নয়, ডেভিড ওর্য়ানারও নিখুঁত নয়।’

কেপটাউনের সেই স্যান্ডপেপার্স বা বল টেম্পারিং টেস্টে ওয়ার্নারের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন খাজা। প্রোটিয়াদের ব্যাটিং ইনিংসের সময় লুকিয়ে বলে শিরিষ কাগজ ঘষেন ক্যামেরুন ব্যানক্রফট। সেই টেস্টে অজিদের নেতৃত্বে ছিলেন স্মিথ। এই স্ক্যান্ডালের বিষয়ে জানতেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। বিষয়টি সবার নজরে আসার পর এই তিন জন শাস্তি পান।

তবে খাজা মনে করেন, এই তিনজন ম্যাচের ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে এমনটা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা যা করেছে তা ম্যাচের ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে। স্যান্ডপেপার্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ওয়ার্নার বা যে কাউকে যে জনসন নায়ক মনে করেন না, সেটির সঙ্গে আমি একমত নই।’সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন