নিউইয়র্ক ০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউ ইয়র্কে ‘বড় পরীক্ষা’ শান্তদের

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • / ১৫৮ বার পঠিত

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। তবে দম ফেলার সময় নেই টাইগারদের। আজই আরেক কঠিন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। যুক্তরাষ্ট্রের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। আজ জিতলে সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাজে রেকর্ড। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলেও জয় নেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। এছাড়া ম্যাচের ভেন্যু নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়েও আছে বিস্তর সমালোচনা। এই মাঠেই শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ১০৬ রানে আটকে রাখে প্রোটিয়ারা।

দুই ম্যাচেই রান তাড়ায় টপ অর্ডার ফেল করলেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউ ইয়র্কের এই মাঠে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। যেখানে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। দলের বোলাররাও সেদিন সুবিধা করতে পারেননি। ভারতের ১৮২ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২২ রানে। শীর্ষ ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলীয় মাত্র ৪১ রানে পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

পরে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসানের দৃঢ়তায় দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে। ২৮ বলে ৪০ রান করে স্বেচ্ছায় রিটায়ার্ড আউট হন রিয়াদ। উইকেটে ব্যাট হাতে সংগ্রাম করতে থাকা সাকিব আউট হন ৩৪ বলে মাত্র ২৮ রান করে। সবচেয়ে বড় বিষয়, একই মাঠে আগেই ২ ম্যাচ খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা উইকেট ও কন্ডিশনের সঙ্গে ইতিমধ্যে মানিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচ খেলেছে ডালাসে। এরপর গতকাল দুপুর ১২টায় বিমান ধরে ৫ ঘণ্টা ভ্রমণ শেষে নিউইয়র্ক পৌঁছায় টাইগাররা। ক্লান্তিতে প্রথম দিন কোনো অনুশীলনও করতে পারেননি শান্ত-লিটনরা। টানা দুই জয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়া জয় বাংলাদেশের জন্য প্রচণ্ড গরমে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কোনঠাসা হয়ে দলটি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও সিরিজ হেরেছে।

যে কারণে এই জয়টা কত দরকার ছিল সেটা বোঝা যায় তানজিদ হাসান তামিমের কথায়। নিউ ইয়র্ক যাওয়ার আগে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, ‘জয়টা খুব দরকার ছিল।’ এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তা টপ অর্ডার ব্যাটিং। অবশ্য এটা তাদের জন্য নিয়মিত চিন্তাই! লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচেও শুরুর ৬ রানেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকা ও তানজিদ হাসান। নাসাউ স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে শূন্য করা সৌম্য এই ম্যাচেও ফেরেন খালি হাতে। নাসাউয়ের উইকেট বিবেচনায় টপ অর্ডারের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ হয়েছে এই মাঠে। প্রত্যেকটিই লো স্কোরিং ম্যাচ। যদিও আইসিসি উইকেটের চরিত্র বদলাতে চেয়েছে কিন্তু ড্রপ ইন পিচে এত দ্রুত চরিত্র বদলানো খুব একটা সম্ভব নয়। ফলে আগের ম্যাচগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ১২৫ রান তাড়া করতে গিয়েই বেশ কয়েকবার বিপাকে পড়েছে টাইগাররা। কিন্তু নাসাউতে একই ভুল করলে বেঁচে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। প্রথম ম্যাচে বোলারদের সম্মিলিত পারফর্মেন্স দলকে আশা দিচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশকে বোলাররাই ম্যাচ জেতাচ্ছেন। ব্যাটাররা যেন রান করতেই ভুলে গেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান, চোট থেকে ফিরে তাসকিন আহমেদ যেভাবে বোলিং করেছেন সেটা আশাব্যাঞ্জক। আর তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের পারফর্মেন্স দলের জন্য সবচেয়ে স্বস্তির। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় রিশাদ গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। এছাড়া লিটনের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা ৩৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংসও প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে লিটনের ভালো খেলার বিকল্প নেই। তবে মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয় দেখাচ্ছেন বড় স্বপ্ন। যদিও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফর্মে নেই! সূত্র: মানবজমিন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউ ইয়র্কে ‘বড় পরীক্ষা’ শান্তদের

প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। তবে দম ফেলার সময় নেই টাইগারদের। আজই আরেক কঠিন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। যুক্তরাষ্ট্রের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। আজ জিতলে সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাজে রেকর্ড। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলেও জয় নেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। এছাড়া ম্যাচের ভেন্যু নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়েও আছে বিস্তর সমালোচনা। এই মাঠেই শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ১০৬ রানে আটকে রাখে প্রোটিয়ারা।

দুই ম্যাচেই রান তাড়ায় টপ অর্ডার ফেল করলেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউ ইয়র্কের এই মাঠে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। যেখানে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। দলের বোলাররাও সেদিন সুবিধা করতে পারেননি। ভারতের ১৮২ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২২ রানে। শীর্ষ ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলীয় মাত্র ৪১ রানে পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

পরে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসানের দৃঢ়তায় দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে। ২৮ বলে ৪০ রান করে স্বেচ্ছায় রিটায়ার্ড আউট হন রিয়াদ। উইকেটে ব্যাট হাতে সংগ্রাম করতে থাকা সাকিব আউট হন ৩৪ বলে মাত্র ২৮ রান করে। সবচেয়ে বড় বিষয়, একই মাঠে আগেই ২ ম্যাচ খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা উইকেট ও কন্ডিশনের সঙ্গে ইতিমধ্যে মানিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচ খেলেছে ডালাসে। এরপর গতকাল দুপুর ১২টায় বিমান ধরে ৫ ঘণ্টা ভ্রমণ শেষে নিউইয়র্ক পৌঁছায় টাইগাররা। ক্লান্তিতে প্রথম দিন কোনো অনুশীলনও করতে পারেননি শান্ত-লিটনরা। টানা দুই জয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়া জয় বাংলাদেশের জন্য প্রচণ্ড গরমে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কোনঠাসা হয়ে দলটি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও সিরিজ হেরেছে।

যে কারণে এই জয়টা কত দরকার ছিল সেটা বোঝা যায় তানজিদ হাসান তামিমের কথায়। নিউ ইয়র্ক যাওয়ার আগে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, ‘জয়টা খুব দরকার ছিল।’ এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তা টপ অর্ডার ব্যাটিং। অবশ্য এটা তাদের জন্য নিয়মিত চিন্তাই! লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচেও শুরুর ৬ রানেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকা ও তানজিদ হাসান। নাসাউ স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে শূন্য করা সৌম্য এই ম্যাচেও ফেরেন খালি হাতে। নাসাউয়ের উইকেট বিবেচনায় টপ অর্ডারের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ হয়েছে এই মাঠে। প্রত্যেকটিই লো স্কোরিং ম্যাচ। যদিও আইসিসি উইকেটের চরিত্র বদলাতে চেয়েছে কিন্তু ড্রপ ইন পিচে এত দ্রুত চরিত্র বদলানো খুব একটা সম্ভব নয়। ফলে আগের ম্যাচগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ১২৫ রান তাড়া করতে গিয়েই বেশ কয়েকবার বিপাকে পড়েছে টাইগাররা। কিন্তু নাসাউতে একই ভুল করলে বেঁচে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। প্রথম ম্যাচে বোলারদের সম্মিলিত পারফর্মেন্স দলকে আশা দিচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশকে বোলাররাই ম্যাচ জেতাচ্ছেন। ব্যাটাররা যেন রান করতেই ভুলে গেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান, চোট থেকে ফিরে তাসকিন আহমেদ যেভাবে বোলিং করেছেন সেটা আশাব্যাঞ্জক। আর তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের পারফর্মেন্স দলের জন্য সবচেয়ে স্বস্তির। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় রিশাদ গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। এছাড়া লিটনের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা ৩৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংসও প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে লিটনের ভালো খেলার বিকল্প নেই। তবে মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয় দেখাচ্ছেন বড় স্বপ্ন। যদিও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফর্মে নেই! সূত্র: মানবজমিন।