নিউইয়র্ক ১০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘লিপু-শান্ত’ যুগলে কেমন হবে নতুন যুগ!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫১ বার পঠিত

নতুন অধিনায়ক-নতুন প্রধান নির্বাচক— বলা যায় দেশের ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা। যে কোনো দলের বর্তমান-ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই দুটি পদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হচ্ছে নতুন অধিনায়কের সঙ্গে নতুন প্রধান নির্বাচকের নাম ঘোষণা করা।

যদিও নতুন অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তর নাম ঘোষণা হবে, এটা ছিল অনুমেয়। জাতীয় দলে কেন্দ্রীয় ঘটনাপ্রবাহে যা ছিল সময়ের দাবি। তবে প্রধান নির্বাচক হিসেবে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নাম অবশ্যই চমক। দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন তিনি।

বিশেষ করে ২০১৩ সালে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ছিলেন ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে। এ ছাড়া কিছু দিন প্রধান নির্বাচক হিসেবে বেশ কিছু নাম শোনা গেলেও, সেখানে ছিল না জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের নাম।

ওয়ানডে ক্রিকেটে দেশের প্রথম অধিনায়ক তিনি। নানা ভূমিকায় জড়িয়ে ছিলেন দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরে দল নির্বাচনে পরোক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। তবে এবারই প্রথম এই ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে।

এদিকে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব পাওয়াটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে তিন ফরম্যাটে মিলিয়ে সর্বমোট ১১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাতে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, সাকিব-তামিমের পর দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত তিনি।

শুধুর মাঠের অধিনায়কত্বে নয়, নাজমুল শান্তর চলাফেরা-কথাবার্তায়ও ফুটে উঠে যোগ্য অধিনায়কের প্রতিচ্ছবি। একাধিক অধিনায়ক তত্ত্বকে পেছনে ফেলে তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়ক তত্ত্বতে ফেরার সিদ্ধান্ত সাধুবাদ পাওয়ার মতো।

মূলত, মাশরাফী টেস্ট খেলতে না পারায় ২০১৪ সালে শুরু হয় একাধিক অধিনায়ক তত্ত্ব। প্রথম দিকে কাজে আসলেও গত কয়েক বছরে একাধিক অধিনায়ক তত্ত্ব, দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হয়নি। কখনো কখনো দলে তৈরি হয়েছে মতভেদ। বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংস্কৃতি, তাতে ড্রেসিংরুমের কর্তৃত্বটা একজনের হাতে থাকাই ভালো। তিন ফরম্যাটে নাজমুল হোসেন শান্তকে অধিনায়ক করাটাকেও বলা যায় নতুন যুগের সূচনা।
এখন অধীর আগ্রহ নিয়ে দেখার অপেক্ষায় নাজমুল-গাজী আশরাফের যুগলে শুরু ক্রিকেটের নতুন যুগ কেমন হয়। সূত্র : কালবেলা।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘লিপু-শান্ত’ যুগলে কেমন হবে নতুন যুগ!

প্রকাশের সময় : ০২:৪০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নতুন অধিনায়ক-নতুন প্রধান নির্বাচক— বলা যায় দেশের ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা। যে কোনো দলের বর্তমান-ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই দুটি পদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হচ্ছে নতুন অধিনায়কের সঙ্গে নতুন প্রধান নির্বাচকের নাম ঘোষণা করা।

যদিও নতুন অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তর নাম ঘোষণা হবে, এটা ছিল অনুমেয়। জাতীয় দলে কেন্দ্রীয় ঘটনাপ্রবাহে যা ছিল সময়ের দাবি। তবে প্রধান নির্বাচক হিসেবে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নাম অবশ্যই চমক। দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন তিনি।

বিশেষ করে ২০১৩ সালে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ছিলেন ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে। এ ছাড়া কিছু দিন প্রধান নির্বাচক হিসেবে বেশ কিছু নাম শোনা গেলেও, সেখানে ছিল না জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের নাম।

ওয়ানডে ক্রিকেটে দেশের প্রথম অধিনায়ক তিনি। নানা ভূমিকায় জড়িয়ে ছিলেন দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরে দল নির্বাচনে পরোক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। তবে এবারই প্রথম এই ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে।

এদিকে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব পাওয়াটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে তিন ফরম্যাটে মিলিয়ে সর্বমোট ১১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাতে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, সাকিব-তামিমের পর দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত তিনি।

শুধুর মাঠের অধিনায়কত্বে নয়, নাজমুল শান্তর চলাফেরা-কথাবার্তায়ও ফুটে উঠে যোগ্য অধিনায়কের প্রতিচ্ছবি। একাধিক অধিনায়ক তত্ত্বকে পেছনে ফেলে তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়ক তত্ত্বতে ফেরার সিদ্ধান্ত সাধুবাদ পাওয়ার মতো।

মূলত, মাশরাফী টেস্ট খেলতে না পারায় ২০১৪ সালে শুরু হয় একাধিক অধিনায়ক তত্ত্ব। প্রথম দিকে কাজে আসলেও গত কয়েক বছরে একাধিক অধিনায়ক তত্ত্ব, দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হয়নি। কখনো কখনো দলে তৈরি হয়েছে মতভেদ। বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংস্কৃতি, তাতে ড্রেসিংরুমের কর্তৃত্বটা একজনের হাতে থাকাই ভালো। তিন ফরম্যাটে নাজমুল হোসেন শান্তকে অধিনায়ক করাটাকেও বলা যায় নতুন যুগের সূচনা।
এখন অধীর আগ্রহ নিয়ে দেখার অপেক্ষায় নাজমুল-গাজী আশরাফের যুগলে শুরু ক্রিকেটের নতুন যুগ কেমন হয়। সূত্র : কালবেলা।