নিউইয়র্ক ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যে গৌরব বাংলাদেশের আছে অস্ট্রেলিয়ার নাই

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • / ৩১ বার পঠিত

ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর তামিম ইকবালের সেই উড়ন্ত উদ্‌যাপন। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তো বটেই, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটাই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের একমাত্র সেঞ্চুরিআইসিসি

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। এবার নবম আসর চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে। ৯ আসরেই খেলা দলের সংখ্যাটাও ৯টি। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাকি ৮ দল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ৮ দলের ব্যাটসম্যানরাই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৪৩ ম্যাচ খেলেও তিন অঙ্কের দেখা পাননি শুধু অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যান।

২০২১ সালে শিরোপা জয়ের বছরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ এই কীর্তি গড়েছে ২১তম ম্যাচ খেলতে নামার দিনেই। ২০১৬ আসরে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তামিম ইকবাল। ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৮ দলের ১০ জন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছেন।

তবে সেঞ্চুরির সংখ্যা ১১টি। দুটি সেঞ্চুরি আছে শুধু ক্রিস গেইলের। ক্যারিবীয় এই কিংবদন্তি ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১১৭ রানের ইনিংস, ২০১৬ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০ রানে অপরাজিত থেকে জিতিয়েছিলেন দলকে। দলগুলোর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া দুটি করে সেঞ্চুরি আছে দুটি দলের-ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। তবে ইংলিশ ও কিউইদের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আলাদা ৪ জন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পায় ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে অ্যালেক্স হেলসের সৌজন্যে, পরের সেঞ্চুরিটি ২০২১ সালে শারজায় জস বাটলারের।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম এই কীর্তি গড়েন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ২০১২ সালে পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ৫৮ বলে ১২৩ রানের তাণ্ডবের দৃশ্য এখনো অনেকের মনে পড়ার কথা। কিউইদের পরের সেঞ্চুরি এসেছে গ্লেন ফিলিপসের হাত ধরে। তাঁর ১০৪ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বশেষ সেঞ্চুরি। বাকি ৪ সেঞ্চুরিয়ান হলেন ভারতের সুরেশ রায়না, পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ, শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো। আগের আট আসরের মধ্যে শুধু ২০০৯ সালে কোনো সেঞ্চুরি হয়নি। সেবার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশানের অপরাজিত ৯৬। এবারের আসরেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাটার তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৪ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারন জোন্সের, ২ জুন আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে। তবে এখনো যেহেতু ৩১ ম্যাচ বাকি, তাই সেঞ্চুরির হওয়ার পর্যাপ্ত সময় ও যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ আছে অস্ট্রেলিয়ারও। ওয়ার্নার-ম্যাক্সওয়েল-হেড-মার্শরা কি তা পারবেন? সূত্র: প্রথম আলো।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যে গৌরব বাংলাদেশের আছে অস্ট্রেলিয়ার নাই

প্রকাশের সময় : ০৭:০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। এবার নবম আসর চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে। ৯ আসরেই খেলা দলের সংখ্যাটাও ৯টি। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাকি ৮ দল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ৮ দলের ব্যাটসম্যানরাই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৪৩ ম্যাচ খেলেও তিন অঙ্কের দেখা পাননি শুধু অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যান।

২০২১ সালে শিরোপা জয়ের বছরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ এই কীর্তি গড়েছে ২১তম ম্যাচ খেলতে নামার দিনেই। ২০১৬ আসরে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তামিম ইকবাল। ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৮ দলের ১০ জন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছেন।

তবে সেঞ্চুরির সংখ্যা ১১টি। দুটি সেঞ্চুরি আছে শুধু ক্রিস গেইলের। ক্যারিবীয় এই কিংবদন্তি ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১১৭ রানের ইনিংস, ২০১৬ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০ রানে অপরাজিত থেকে জিতিয়েছিলেন দলকে। দলগুলোর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া দুটি করে সেঞ্চুরি আছে দুটি দলের-ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। তবে ইংলিশ ও কিউইদের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আলাদা ৪ জন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পায় ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে অ্যালেক্স হেলসের সৌজন্যে, পরের সেঞ্চুরিটি ২০২১ সালে শারজায় জস বাটলারের।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম এই কীর্তি গড়েন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ২০১২ সালে পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ৫৮ বলে ১২৩ রানের তাণ্ডবের দৃশ্য এখনো অনেকের মনে পড়ার কথা। কিউইদের পরের সেঞ্চুরি এসেছে গ্লেন ফিলিপসের হাত ধরে। তাঁর ১০৪ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বশেষ সেঞ্চুরি। বাকি ৪ সেঞ্চুরিয়ান হলেন ভারতের সুরেশ রায়না, পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ, শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো। আগের আট আসরের মধ্যে শুধু ২০০৯ সালে কোনো সেঞ্চুরি হয়নি। সেবার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশানের অপরাজিত ৯৬। এবারের আসরেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাটার তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৪ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারন জোন্সের, ২ জুন আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে। তবে এখনো যেহেতু ৩১ ম্যাচ বাকি, তাই সেঞ্চুরির হওয়ার পর্যাপ্ত সময় ও যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ আছে অস্ট্রেলিয়ারও। ওয়ার্নার-ম্যাক্সওয়েল-হেড-মার্শরা কি তা পারবেন? সূত্র: প্রথম আলো।