নিউইয়র্ক ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সেমিফাইনালের পিচ বদল নিয়ে ব্যাখ্যা দিল আইসিসি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৯৫ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক : বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের আগ মুহূর্তে যেখানে সব নজর থাকার কথা ম্যাচ ঘিরে, সেখানে ম্যাচ শুরুর আগেই বিতর্ক শুরু হয় আজকের ম্যাচের স্টেডিয়াম ওয়াংখেড়ের পিচ নিয়ে। ভারতের বিপক্ষে পিচ বদলে দেওয়ার বড় ধরনের অভিযোগ তোলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন। জানা যায়, এ বিষয়ে আইসিসিকে মেইল করে অভিযোগও জানিয়েছেন আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। ফাইনালের পিচ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। পিচ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়াতে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর মুখ খুলল আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যাখ্যা মতে, এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। এতে সমস্যার কিছু নেই।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন এক প্রতিবেদনে দাবি তোলে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার ৭ নম্বর পিচে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে ম্যাচটি হচ্ছে ৬ নম্বর পিচে। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৭ নম্বর পিচে কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি। নকআউট পর্বের জন্যই মূলত তৈরি করা হয়েছিল এটি। ৬ নম্বর পিচে হয়েছে দুটি ম্যাচ।

আইসিসি এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে বলে, ‘বৈশ্বিক এ ধরনের প্রতিযোগিতার শেষ দিকে পিচে বদল একদম স্বাভাবিক ব্যাপার। আগেও এ ঘটনা ঘটেছে। আয়োজক দেশের যে মাঠে খেলা হচ্ছে, সেই মাঠের পিচ প্রস্তুতকারকের পরামর্শে বদল হতে পারে পিচ। আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারককে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। পিচ বদল হলে যে সেই পিচে খেলা ভালো হবে না তার কোনো কারণ নেই।’

এদিকে ভারতীয় ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এবং ক্রিকেট দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন টিম ম্যানেজমেন্টের তাড়নায় পিচ বদল করা হয়েছে। পিচ নির্ধারণের বিষয়ে জানে, এমন একটি সূত্র ক্রিকেট পোর্টালটিকে ব্যাপারটি সম্পর্কে অভিহিত করে। অবশ্য পিচ চূড়ান্তকরণের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ধারা নেই আইসিসির। যে ভেন্যুতে খেলা হবে, তারা ম্যাচের সম্ভাব্য সেরা পিচ ও আউটফিল্ড দেখে খেলার ব্যবস্থা করে।

গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনালেই ম্যাচ গড়িয়েছিল আগেই ব্যবহার হওয়া পিচে। যদিও ইংল্যান্ডে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্যবহার হয়েছে নতুন পিচ।

এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনের ৬.৩ ধারা অনুসারে, পিচ নির্বাচন ও প্রস্তুতের দায়িত্ব মাঠ কর্তৃপক্ষের। ভারত–নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালের ক্ষেত্রে যা মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) দায়িত্ব। তবে আইসিসির স্বাধীন পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা ওয়াংখেড়ের কিউরেটরের।

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, পূর্বপরিকল্পিত পিচ বদলে ফেলায় অ্যাটকিনসন হতাশা প্রকাশ করেছেন। নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো অ্যাটকিনসনের মেইলের কিছু অংশ প্রকাশও করেছে মেইল অনলাইন। সেখানে অ্যাটকিনসন লিখেছেন, ‘এসব কাজের কারণে অবশ্যই এটা ভাবার সুযোগ আছে যে এটাই কি প্রথম আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল, যেখানে পিচ বিশেষভাবে পছন্দ ও প্রস্তুত করা হয় টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা আয়োজক দেশের বোর্ডের উচ্চস্তরের অনুরোধে।’

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সেমিফাইনালের পিচ বদল নিয়ে ব্যাখ্যা দিল আইসিসি

প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক : বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের আগ মুহূর্তে যেখানে সব নজর থাকার কথা ম্যাচ ঘিরে, সেখানে ম্যাচ শুরুর আগেই বিতর্ক শুরু হয় আজকের ম্যাচের স্টেডিয়াম ওয়াংখেড়ের পিচ নিয়ে। ভারতের বিপক্ষে পিচ বদলে দেওয়ার বড় ধরনের অভিযোগ তোলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন। জানা যায়, এ বিষয়ে আইসিসিকে মেইল করে অভিযোগও জানিয়েছেন আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। ফাইনালের পিচ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। পিচ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়াতে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর মুখ খুলল আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যাখ্যা মতে, এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। এতে সমস্যার কিছু নেই।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন এক প্রতিবেদনে দাবি তোলে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার ৭ নম্বর পিচে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে ম্যাচটি হচ্ছে ৬ নম্বর পিচে। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৭ নম্বর পিচে কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি। নকআউট পর্বের জন্যই মূলত তৈরি করা হয়েছিল এটি। ৬ নম্বর পিচে হয়েছে দুটি ম্যাচ।

আইসিসি এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে বলে, ‘বৈশ্বিক এ ধরনের প্রতিযোগিতার শেষ দিকে পিচে বদল একদম স্বাভাবিক ব্যাপার। আগেও এ ঘটনা ঘটেছে। আয়োজক দেশের যে মাঠে খেলা হচ্ছে, সেই মাঠের পিচ প্রস্তুতকারকের পরামর্শে বদল হতে পারে পিচ। আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারককে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। পিচ বদল হলে যে সেই পিচে খেলা ভালো হবে না তার কোনো কারণ নেই।’

এদিকে ভারতীয় ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এবং ক্রিকেট দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন টিম ম্যানেজমেন্টের তাড়নায় পিচ বদল করা হয়েছে। পিচ নির্ধারণের বিষয়ে জানে, এমন একটি সূত্র ক্রিকেট পোর্টালটিকে ব্যাপারটি সম্পর্কে অভিহিত করে। অবশ্য পিচ চূড়ান্তকরণের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ধারা নেই আইসিসির। যে ভেন্যুতে খেলা হবে, তারা ম্যাচের সম্ভাব্য সেরা পিচ ও আউটফিল্ড দেখে খেলার ব্যবস্থা করে।

গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনালেই ম্যাচ গড়িয়েছিল আগেই ব্যবহার হওয়া পিচে। যদিও ইংল্যান্ডে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্যবহার হয়েছে নতুন পিচ।

এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনের ৬.৩ ধারা অনুসারে, পিচ নির্বাচন ও প্রস্তুতের দায়িত্ব মাঠ কর্তৃপক্ষের। ভারত–নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালের ক্ষেত্রে যা মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) দায়িত্ব। তবে আইসিসির স্বাধীন পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা ওয়াংখেড়ের কিউরেটরের।

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, পূর্বপরিকল্পিত পিচ বদলে ফেলায় অ্যাটকিনসন হতাশা প্রকাশ করেছেন। নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো অ্যাটকিনসনের মেইলের কিছু অংশ প্রকাশও করেছে মেইল অনলাইন। সেখানে অ্যাটকিনসন লিখেছেন, ‘এসব কাজের কারণে অবশ্যই এটা ভাবার সুযোগ আছে যে এটাই কি প্রথম আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল, যেখানে পিচ বিশেষভাবে পছন্দ ও প্রস্তুত করা হয় টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা আয়োজক দেশের বোর্ডের উচ্চস্তরের অনুরোধে।’

হককথা/নাছরিন