নিউইয়র্ক ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সালাউদ্দিন-মুর্শেদীর অপসারণ চান ফুটবলপ্রেমীরা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৭৩ বার পঠিত

সালাম মুর্শেদী এবং কাজী সালাউদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশের ফুটবলে জন্ম হয়েছে নতুন কেলেঙ্কারির। আর্থিক অনিয়মের দায়ে ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছেন বাফুফের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। এরপর গতকাল সোমবার সোহাগকে বাফুফে থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক করা হয়েছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পিএস ইমরানকে! আসলে এর মাধ্যমে সোহাগকে বলির পাঁঠা বানিয়ে বেঁচে গেছেন কাজী সালাউদ্দিন এবং সিনিয়র সহসভাপতি তথা ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী।

দেশের ফুটবলের এই দুই হর্তাকর্তার কুটিল চাল ধরে ফেলেছে দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তারা দাবি করছে, সালাউদ্দিন-মুর্শেদী গংদের বাফুফে থেকে বিদায় করা হোক! অবশ্য এই দাবি বেশ পুরনো। সালাউদ্দিনের আমলে দেশের ফুটবল দিন দিন পিছিয়ে গেছে। বিদেশে নিয়ে লোক-দেখানো অনুশীলন করালেও জাতীয় পুরুষ দল হেরেছে ১৯৯ নম্বর দলের কাছে! অন্যদিকে সাফ চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ‘টাকার অভাবে’ অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি সালাউদ্দিনের বাফুফে! এসব কারণে সালাউদ্দিন-মুর্শেদীর ওপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

আরোও পড়ুন । জিতলেই শেষ ষোলোতে পা রাখবে ইংল্যান্ড

তা ছাড়া সোহাগ এত বড় দুর্নীতি করে ফেললেন, সে বিষয়ে সালাউদ্দিন-মুর্শেদী কিছুই জানতেন না―এটা কেউ হজম করতে পারছেন না। তাই সোশ্যাল সাইটে সালাউদ্দিন-মুর্শেদীর ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। যেমন সাইফুল ইসলাম স্বপন নামের একজন লিখেছেন, ‘এদেরকে আল্লাহ বেশরম বানাইছে, কাজেই কিছু বলার নাই।’ নাজমুল ইসলাম রিয়াদ লিখেছেন, ‘বাফুফের পুরো কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়া উচিত। দেশের ফুটবল ধ্বংস করে দিয়েছে তারা।’ মোহাম্মদ রাফি লিখেছেন, ‘এইসব চোরদের হাত থেকে কি কখনোই আমরা মুক্তি পাব না?’ মোহাম্মদ আমির হোসেন লিখেছেন, ‘চোখের সামনে এত কিছু হয়ে যাচ্ছে। এইগুলা কি সরকারের নীতিনির্ধারকদের চোখে পড়ে না?’

এমন লাখো মন্তব্যে সয়লাব সোশ্যাল মিডিয়া। যেগুলোর সিংহভাগই প্রকাশ অযোগ্য। সম্প্রতি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও বিষয়টি নিয়ে সালাউদ্দিন গংদের ওপর প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফিফার নিয়মানুযায়ীই এই মুহূর্তে বাফুফেতে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার। তবে বাফুফের দুর্নীতি নিয়ে কিন্তু ফিফার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। যেকোনো সময় নতুন ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমনকি সালাউদ্দিন-মুর্শেদীও ফিফার তদন্তে ধরা খেয়ে যেতে পারেন! সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে মুর্শেদী অবশ্য দাবি করেছেন, ফিফার অভিযোগে তার নাম নেই। কিন্তু তিনি হয়তো ভুলে গেছেন, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আর্থিক কেলেঙ্কারির দায় এড়াতে পারেন না তিনি। আর কাজী সালাউদ্দিন? তিনি কিভাবে এড়াবেন দায়? সূত্র : কালের কণ্ঠ

বেলী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সালাউদ্দিন-মুর্শেদীর অপসারণ চান ফুটবলপ্রেমীরা

প্রকাশের সময় : ১০:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশের ফুটবলে জন্ম হয়েছে নতুন কেলেঙ্কারির। আর্থিক অনিয়মের দায়ে ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছেন বাফুফের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। এরপর গতকাল সোমবার সোহাগকে বাফুফে থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক করা হয়েছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পিএস ইমরানকে! আসলে এর মাধ্যমে সোহাগকে বলির পাঁঠা বানিয়ে বেঁচে গেছেন কাজী সালাউদ্দিন এবং সিনিয়র সহসভাপতি তথা ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী।

দেশের ফুটবলের এই দুই হর্তাকর্তার কুটিল চাল ধরে ফেলেছে দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তারা দাবি করছে, সালাউদ্দিন-মুর্শেদী গংদের বাফুফে থেকে বিদায় করা হোক! অবশ্য এই দাবি বেশ পুরনো। সালাউদ্দিনের আমলে দেশের ফুটবল দিন দিন পিছিয়ে গেছে। বিদেশে নিয়ে লোক-দেখানো অনুশীলন করালেও জাতীয় পুরুষ দল হেরেছে ১৯৯ নম্বর দলের কাছে! অন্যদিকে সাফ চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ‘টাকার অভাবে’ অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি সালাউদ্দিনের বাফুফে! এসব কারণে সালাউদ্দিন-মুর্শেদীর ওপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

আরোও পড়ুন । জিতলেই শেষ ষোলোতে পা রাখবে ইংল্যান্ড

তা ছাড়া সোহাগ এত বড় দুর্নীতি করে ফেললেন, সে বিষয়ে সালাউদ্দিন-মুর্শেদী কিছুই জানতেন না―এটা কেউ হজম করতে পারছেন না। তাই সোশ্যাল সাইটে সালাউদ্দিন-মুর্শেদীর ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। যেমন সাইফুল ইসলাম স্বপন নামের একজন লিখেছেন, ‘এদেরকে আল্লাহ বেশরম বানাইছে, কাজেই কিছু বলার নাই।’ নাজমুল ইসলাম রিয়াদ লিখেছেন, ‘বাফুফের পুরো কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়া উচিত। দেশের ফুটবল ধ্বংস করে দিয়েছে তারা।’ মোহাম্মদ রাফি লিখেছেন, ‘এইসব চোরদের হাত থেকে কি কখনোই আমরা মুক্তি পাব না?’ মোহাম্মদ আমির হোসেন লিখেছেন, ‘চোখের সামনে এত কিছু হয়ে যাচ্ছে। এইগুলা কি সরকারের নীতিনির্ধারকদের চোখে পড়ে না?’

এমন লাখো মন্তব্যে সয়লাব সোশ্যাল মিডিয়া। যেগুলোর সিংহভাগই প্রকাশ অযোগ্য। সম্প্রতি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও বিষয়টি নিয়ে সালাউদ্দিন গংদের ওপর প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফিফার নিয়মানুযায়ীই এই মুহূর্তে বাফুফেতে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার। তবে বাফুফের দুর্নীতি নিয়ে কিন্তু ফিফার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। যেকোনো সময় নতুন ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমনকি সালাউদ্দিন-মুর্শেদীও ফিফার তদন্তে ধরা খেয়ে যেতে পারেন! সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে মুর্শেদী অবশ্য দাবি করেছেন, ফিফার অভিযোগে তার নাম নেই। কিন্তু তিনি হয়তো ভুলে গেছেন, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আর্থিক কেলেঙ্কারির দায় এড়াতে পারেন না তিনি। আর কাজী সালাউদ্দিন? তিনি কিভাবে এড়াবেন দায়? সূত্র : কালের কণ্ঠ

বেলী / হককথা