ক্রীড়া ডেস্ক : চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় আগের দিনই ম্যাচের গতিপথ অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ফলো-অনে পড়ে ম্যাচ বাঁচানোর কঠিনতম চ্যালেঞ্জে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে প্রথম সেশনে লড়াই করলেও বাংলাদেশ হারিয়েছিল ২ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে ইনিংস পরাজয়ের দিকে আরও এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিন অনুমিতভাবে বাংলাদেশ আবার ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১৭৩ রানে পিছিয়ে রয়েছে ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশ।
মোহাম্মদ নাঈম, মুমিনুল হক ও ইয়াসির আলীর উইকেট বাংলাদেশ হারিয়েছে ২৩ রানের ব্যবধানে, পরের দুজন ফিরেছেন ৫ রানের ব্যবধানে। নাঈমকে ফিরিয়েছেন সাউদি, ওয়াগনার নিয়েছেন মুমিনুল ও ইয়াসিরের উইকেট। আছে লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২২। লিটন ৬৮ রান আর সোহান ৩০ রানে ব্যাট করছেন।
সকালে নেমে দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও নাঈম মন দেন টিকে থাকার দিকেই। উইকেটে ওভারের পর ওভার কাটিয়ে দেওয়াই ছিল তাদের ব্রত। প্রথম ঘণ্টা সেভাবেই পার করে দেন তারা। থিতু হওয়া সাদমানের বিদায়ে ১৪তম ওভারে গিয়ে ভাঙে এই জুটি। ৪৮ বলে ২১ করে কাইল জেমিসনের বলে উইকেটের পেছনে ধরা দেন সাদমান।
এরপর নাঈমকে নিয়ে দ্রুত এক জুটি গড়ে তুলেন শান্ত। ইতিবাচক মানসিকতায় খেলে রান বাড়ানোর দিকে মন দেন তিনি। নেইল ওয়েগনারের সঙ্গে জমে উঠে তার লড়াই। ওয়েগনারের টানা শর্ট বল কুঁকড়ে না গিয়ে চালাতে থাকেন। আসে দারুণ কিছু বাউন্ডারি।
থিতু হয়ে ইনিংস বড় করার আভাস ছিল শান্তর ব্যাটে। কিন্তু প্রথম সেশনের শেষ দিকে বাজে শটে ইতি তার। লেগ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বলে পুরোপুরি জায়গা বের করে খেলতে পারেননি। ফাইন লেগ থাকার পরও ঝুঁকি নেন তিনি। ক্যাচ যায় ওই ফাইন লেগের হাতেই। দ্বিতীয় উইকেটে ভাঙ্গে ৪৪ রানের জুটি। যাতে শান্তর অবদান ২৯, নাঈমের ১০।
এদিন খুব একটা স্যুয়িং আদায় করতে দেখা যায়নি টিম সাউদি-ট্রেন্ট বোল্টদের। ক্রাইস্টচার্চে সাধারণত তৃতীয় দিনে উইকেট ব্যাট করার জন্য থাকে আদর্শ। বাংলাদেশ এই কন্ডিশন কতটা কাজে লাগাতে পারে দেখার বিষয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর ( তৃতীয় দিন লাঞ্চ পর্যন্ত):
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৫২১/৬ (ডি.)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১২৬
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: (ফলো-অনের পর): ২৮ ওভারে ৭৪/২ (সাদমান ২১, নাঈম ১৫*, শান্ত ২৯, মুমিনুল ৫*; সাউদি ৬-২-১৬-০, বোল্ট ৮-৫-৭-০, জেমিসন ৬-২-১৬-১, ওয়্যাগনার ৮-২-৩০-১)।
হককথা /এমউএ