নিউইয়র্ক ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

লাল-সবুজের ‘গর্বিত কন্যা’ মাশফিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৬৭ বার পঠিত

মাশফিয়া আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্স ডেস্ক : মাশফিয়া আফরিন বাংলাদেশের জন্য ‘গর্বিত কন্যা’ হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তবে টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তার জীবনে আকস্মিক এক ছন্দপতন ঘটে। ইনজুরিতে তার ক্যারিয়ার অকালে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু হতাশ না হয়ে নতুন পথে যাত্রা করেন। তিনি এখন বাংলাদেশের টেনিস ইতিহাসে প্রথম নারী আন্তর্জাতিক রেফারি।

ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ দল, অনূর্ধ্ব-২০ দল, এমনকি জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন। এরই মাঝে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঘাড়ে প্রচণ্ড চোট পান। বড় অসময়েই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে হয়েছে মাশফিয়াকে। তবে ভেঙে পড়েননি তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় জুানিয়র ওয়ার্ল্ড টেনিস সিরিজে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন।

মাত্র ৭ বছর বয়সে মাশফিয়া জাতীয় বয়সভিত্তিক টেনিস টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টেনিস ইভেন্টে অংশ নেন। গত বছর ইনজুরিতে পড়ার পর বসে না থেকে তিনি রেফারিং কোর্স সম্পন্ন করেন ডিসেম্বর মাসে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ) অনূর্ধ্ব-১৪ ডেভেলপমেন্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

তাতে মাশফিয়া সহকারী রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে মাশফিয়া আইটিএফ অনূর্ধ্ব-১৪ টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর জার্মানির টমাস শুলজের কাছ থেকে বেশ সহযোগিতা পান। তাতে ভালো করায় এবার তিনি পুরোপুরি রেফারির দায়িত্ব পালন করার সুযোগ লাভ করেন।

১০ বছরের টেনিস ক্যারিয়ারে মাশফিয়া অনূর্ধ্ব-১০, অনূর্ধ্ব-১২, অনূর্ধ্ব-১৪ এবং অনূর্ধ্ব-১৬ ইভেন্টে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। জাতীয় র‌্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন মাশফিয়া। তিনি হলেন প্রথম বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড় যিনি আইটিএফ ডেভেলপমেন্ট বৃত্তি পেয়ে উজবেকিস্তানের প্রতিযোগতায় অংশ নেন।

মাশফিয়া বলেন, ‘ইনজুরি আমাকে প্রচণ্ড পীড়া দেয়, আমি এখনো পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠিনি। খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারকে উঁচুতে নিয়ে যেতে না পারলেও কর্মকর্তা হিসেবে আমি অনেক সম্মানিত হয়েছি।’

পড়াশোনার বাইরে মাশফিয়ার মনোযোগ কেবল টেনিসেই। টেনিস আইনের খুঁটিনাটি বিষয় প্রতিনিয়তই জানা ও বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। ‘হোয়াইট ব্যাজ’ধারী রেফারি হতে পারলে গ্র্যান্ডস্লাম আসরের রেফারি হওয়ার সুযোগ থাকে। রেফারি মাশফিয়ার এখন স্বপ্ন নিজেকে ওই পজিশনে নিয়ে যাওয়া। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

নাছরিন/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

লাল-সবুজের ‘গর্বিত কন্যা’ মাশফিয়া

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

স্পোর্স ডেস্ক : মাশফিয়া আফরিন বাংলাদেশের জন্য ‘গর্বিত কন্যা’ হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তবে টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তার জীবনে আকস্মিক এক ছন্দপতন ঘটে। ইনজুরিতে তার ক্যারিয়ার অকালে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু হতাশ না হয়ে নতুন পথে যাত্রা করেন। তিনি এখন বাংলাদেশের টেনিস ইতিহাসে প্রথম নারী আন্তর্জাতিক রেফারি।

ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ দল, অনূর্ধ্ব-২০ দল, এমনকি জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন। এরই মাঝে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঘাড়ে প্রচণ্ড চোট পান। বড় অসময়েই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে হয়েছে মাশফিয়াকে। তবে ভেঙে পড়েননি তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় জুানিয়র ওয়ার্ল্ড টেনিস সিরিজে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন।

মাত্র ৭ বছর বয়সে মাশফিয়া জাতীয় বয়সভিত্তিক টেনিস টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টেনিস ইভেন্টে অংশ নেন। গত বছর ইনজুরিতে পড়ার পর বসে না থেকে তিনি রেফারিং কোর্স সম্পন্ন করেন ডিসেম্বর মাসে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ) অনূর্ধ্ব-১৪ ডেভেলপমেন্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

তাতে মাশফিয়া সহকারী রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে মাশফিয়া আইটিএফ অনূর্ধ্ব-১৪ টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর জার্মানির টমাস শুলজের কাছ থেকে বেশ সহযোগিতা পান। তাতে ভালো করায় এবার তিনি পুরোপুরি রেফারির দায়িত্ব পালন করার সুযোগ লাভ করেন।

১০ বছরের টেনিস ক্যারিয়ারে মাশফিয়া অনূর্ধ্ব-১০, অনূর্ধ্ব-১২, অনূর্ধ্ব-১৪ এবং অনূর্ধ্ব-১৬ ইভেন্টে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। জাতীয় র‌্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন মাশফিয়া। তিনি হলেন প্রথম বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড় যিনি আইটিএফ ডেভেলপমেন্ট বৃত্তি পেয়ে উজবেকিস্তানের প্রতিযোগতায় অংশ নেন।

মাশফিয়া বলেন, ‘ইনজুরি আমাকে প্রচণ্ড পীড়া দেয়, আমি এখনো পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠিনি। খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারকে উঁচুতে নিয়ে যেতে না পারলেও কর্মকর্তা হিসেবে আমি অনেক সম্মানিত হয়েছি।’

পড়াশোনার বাইরে মাশফিয়ার মনোযোগ কেবল টেনিসেই। টেনিস আইনের খুঁটিনাটি বিষয় প্রতিনিয়তই জানা ও বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। ‘হোয়াইট ব্যাজ’ধারী রেফারি হতে পারলে গ্র্যান্ডস্লাম আসরের রেফারি হওয়ার সুযোগ থাকে। রেফারি মাশফিয়ার এখন স্বপ্ন নিজেকে ওই পজিশনে নিয়ে যাওয়া। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

নাছরিন/হককথা