লাইভ /বাংলাদেশকে ৩৮৩ রানের লক্ষ্য দিল প্রোটিয়ারা
- প্রকাশের সময় : ০৯:২১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
- / ৫৩ বার পঠিত
ক্রীড়া ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের তিন ম্যাচ হেরে টাইগারদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে! ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে বাংলাদেশের সামনে এবার উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ফিল্ডিং করে সাকিব আল হাসানের দল।
দক্ষিণ আফ্রিকা- ৩৮২/৫ (৫০.০ ওভার) বাংলাদেশকে ৩৮৩ রানের লক্ষ্য দিল প্রোটিয়ারা
ওয়াংখেড়েতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৪ রান করেছেন ডি কক। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার হাসান মাহমুদ।
সেঞ্চুরিয়ান ডি কককে থামালেন হাসান
অবশেষে থামলেন ডি কক। নিজের ১৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নেমে দেড়শো ছাড়ানো ইনিংস খেললেন তিনি। ৪৬তম ওভারের প্রথম বলে হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় নাসুমের হাতে ধরা পড়েন। সাজঘরে ফেরারা আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪০ বলে ১৭৪ রান।
এক ওভারে ২২ রান দিলেন সাকিব
সাকিবের ওপর চড়াও হলেন ডি কক। ইনিংসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খরুচে ওভারটি এল। ইনিংসের ৪৩তম ওভারে সাকিবকে ২২ রান নিল প্রোটিয়ারা।
ডি ককের সেঞ্চুরি
টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এবারের আসর শুরু করেছিলেন ডি কক। এরপর ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রান পাননি। তবে পঞ্চম ম্যাচে এসে ঠিকই আবার রানে ফিরলেন এই ওপেনার। ৪৭ বলে করেছিলেন প্রথম ৫০ রান। পরের ৫০ রান করতে বল খরচ করেছেন ৫৪ বল। সবমিলিয়ে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ১০১ বলে। প্রথম প্রোটিয়া ব্যাটার হিসেবে এক আসরে তিন সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
জুটি ভাঙলেন সাকিব
ফিফটি করেই রানের গতি বাড়ানোয় মনযোগ দেন মার্করাম। সেটিই কাল হলো তার। ৩১তম ওভারের চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন সাকিব। সেটা ইনসাইড-আউট করে এক্সটা কভারের ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন মার্করাম, ঠিকমতো টাইমিং না হওয়ায় লং অনে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে প্রোটিয়া অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৯ বলে ৬০ রান।
মার্করামের ফিফটি
৩ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারানোর পর উইকেটে এসেছিলেন মার্করাম। এমন পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ডি ককের সঙ্গে বড় জুটি গড়ে দলকে টেনে তুলছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। ৫৭ বলে ছুঁয়েছেন এই মাইলফলক।
২১ ওভারে তিন অঙ্কে পা দিল প্রোটিয়ারা
এই মাঠেই আগের ম্যাচে ঝড় তোলে ৩৯৯ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরুটা হয়েছিল ধীরগতির। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়াচ্ছেন তারা। ২১তম ওভারে শতরান স্পর্শ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
ডি ককের ফিফটি
দুই ব্যাটার দ্রুত ফিরলেও মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথেই রেখেছেন ডি কক। ইতোমধ্যেই দুজনে মিলে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটি। ডি কক তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরিও। ফিফটি ছুঁতে তিনি খরচ করেছেন ৪৭ বল।
৩ রানেই ২উইকেট নেই প্রোটিয়াদের
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ফন ডার ডুসেন। মিরাজের স্টাম্পের ওপরে করা বল কিছুটা টার্ন করে ডুসেনের পায়ে আঘাত হানে। মিরাজের লেগ বিফোরের আবেদন ফিরিয়ে দেননি আম্পায়ার। ফলে ১ রান করেই বিদায় নিতে হয় ডুসেনকে।
প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত শরীফুলের
একবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না হেনড্রিকস। ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলে এই ওপেনারকে ফিরিয়ে প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল। গুড লেন্থ থেকে খানিকটা ইন সুইং করা বল ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে উইকেটে আঘাত হানে।
শুরুতেই ক্যাচ ছাড়ল বাংলাদেশ
নতুন বলে ভালোই শুরু করেছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম ওভারে একটা বাউন্ডারি হজম করলেও বাকি বলগুলো ভালোই করেছিলেন। পরের ওভারেই স্পিন আক্রমণে যান সাকিব। বল তুলে দেন মেহেদি মিরাজের হাতে। নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন এই ডানহাতি অফ স্পিনার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে হেনড্রিকসের ব্যাটের বাইরের দিকের কানায় লেগে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে। কিন্তু বল এতটাই দ্রুত যায় যে তানজিদ তামিম হাত তোলার আগেই বল তার কাঁধে আঘাত হানে।
ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, ফিরলেন সাকিব
চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। সাকিব ফেরায় একাদশে জায়গা হারিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। মূলত অফফর্মের কারণেই একাদশ থেকে ছিটকে গেলেন এই ব্যাটার। এর আগে টানা ৪ ম্যাচ খেলেও সুবিধা করতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক ফিরলেও টেম্বা বাভুমাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে গত ম্যাচের মতোই প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দেবেন এইডেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশে এসেছে এক পরিবর্তন। লুঙ্গি এনগিদির জায়গা হারিয়েছেন। সুযোগ মিলেছে লিজার্ড উইলিয়ামসের।
বাংলাদেশ একাদশ- লিটন দাস, তানজিদ তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ- কুইন্টন ডি কক, রেজা হেনড্রিকস, রাসি ফন ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো জানসেন, জেরাল্ড কোয়েটজে, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা ও লিজার্ড উইলিয়ামস।
সূত্র : মানবজমিন