‘রোনালদো-মেসিদের লা লিগা এখন বর্ণবাদীদের রাজত্ব’
- প্রকাশের সময় : ০৩:৪৩:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
- / ৪৫ বার পঠিত
ক্রীড়া ডেস্ক : লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে নিয়ে দর্শকদের বর্ণবাদের অভিযোগ নতুন নয়। একাধিকবার এরকম অভিযোগ উঠলেও লা লিগা উল্লেখ করার মতো পদক্ষেপ নেয়নি। এবার আরও একবার বর্ণবাদের শিকার হলেন ভিনিসিয়াস। রোববার রাতে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে খেলতে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই ম্যাচে রিয়ালের হার ছাপিয়ে বর্ণবাদ নিয়ে সরগরম ফুটবল বিশ্ব। ভিনিসিয়াস অবশ্য খেলা চলার সময় মাঠেই বেশ জোরেশোরে প্রতিবাদ করেন। তাকে থামাতে বেগ পেতে হয় সতীর্থদের। পরে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে লাল কার্ড পান তিনি। ঘটনা ম্যাচের ৭০তম মিনিটের। বাঁদিক থেকে বল নিয়ে ঢোকার সময় গ্যালারি থেকে ছুড়ে মারা নতুন বল আবার ভিনিসিয়াসের দিকে মারেন ভ্যালেন্সিয়ার এক ফুটবলার। এতে ফ্রি কিক দেন রেফারি।
সেটি মারার আগ মুহূর্তে গ্যালারি থেকে ভিনিসিয়াসকে বানর বলে গালি দেন কোনো এক দর্শক। ম্যাচ শেষেও তার রেশ কমেনি। ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেন লম্বা স্ট্যাটাস। সেখানে আক্ষেপ করে লেখেন, যে লীগ একসময় আলোচিত ছিল রোনালদিনহো, রোনালদো, মেসিদের জন্য সেটিই এখন বর্ণবাদের জন্য পরিচিত!
ফেসবুকে ভিনিসিয়াস লেখেন, ‘এটিই প্রথমবার নয়, দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারও নয়। লা লিগায় বর্ণবাদ খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এই প্রতিযোগিতায় এটিকেই স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া হয়, ফেডারেশনও তা জানে এবং প্রতিপক্ষরা এটায় উৎসাহ দেয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ। যে চ্যাম্পিয়নশিপ এক সময় ছিল রোনালদিনিয়ো, রোনালদো, ক্রিস্তিয়ানো (রোনালদো) ও (লিওনেল) মেসিদের, সেটিই এখন বর্ণবাদীদের দখলে। খুবই সুন্দর একটি জাতি, যারা আমাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং যাদের আমি ভালোবাসি, তারাই এখন বর্ণবাদী জাতি হিসেবে বিশ্বে নিজেদের তুলে ধরছে।’
আরোও পড়ুন। ওমানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ
তবে হাল ছাড়ছেন না ভিনিসিয়াস। বর্ণবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানান তিনি। ভিনিসিয়াস বলেন, ‘স্প্যানিয়ার্ডদের মধ্যে যারা আমার সঙ্গে একমত নন, তাদের কাছে দুঃখিত। তবে ব্রাজিলে এখন স্পেন পরিচিত বর্ণবাদী দেশ হিসেবে। দুঃখজনকভাবে, প্রতি সপ্তাহেই যা ঘটছে, তাতে এখানে দ্বিমত করার কোনো উপায় নেই। আমিও একমত এতে। তবে আমি শক্ত আছি এবং বর্ণবাদীদর সঙ্গে লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়বো। এতে যদি এখান থেকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়, তবুও।’ সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা