নিউইয়র্ক ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যাদের থাকার সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৬৫ বার পঠিত

১লা মে আইসিসিতে জমা দিতে হবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড। এরইমধ্যে দলে কারা থাকবে আর থাকবে না তা বেশির ভাগই চূড়ান্ত করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরইমধ্যে জানা গেছে কারা থাকছেন, আর কারা থাকছেন না। এরমধ্যে দুটি নাম বেশ আলোচিত। তারা হলেন- জাতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য শামীম হাসান পাটোয়ারি। দু’জনের না থাকার সম্ভাবনা অবশ্য দুটি ভিন্ন কারণে। মিরাজের তুলনায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে বেশি কার্যকর হতে পারেন শেখ মেহেদী। এই অলরাউন্ডারের দলে থাকা এখন অনেকটাই নিশ্চিত। অন্যদিকে ফিটনেসের চরম অবনতির কারণে শামীমকে আলোচনা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। সবশেষ জাতীয় দলের ফিটনেস টেস্টে রেড মার্ক পেয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার।

নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা হতে পারে আগামী মাসের শুরুতেই। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবো। ১ তারিখের মধ্যে জমা দেয়ার বাধ্যবাধতকা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে অনেক খেলা থাকবে, ইনজুরি হতে পারে। কাছাকাছি দল হবে। আমরা সেটা দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। যত সুযোগ আছে আমরা যেকোনো সময় যেকোনো প্লেয়ার নেয়ার চেষ্টা করবো। আনঅফিশিয়ালি হয়তো আমরা পাঠিয়ে দিবো। পরে সুযোগ থাকবে অফিশিয়ালি পরিবর্তন আনার।’

শান্তর নেতৃত্বে দলে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। দলে ফেরার সম্ভাবনা আছে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে অবশ্য জিম্বাবুয়ে সিরিজে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হবে। সেখানে টিকে গেলে তার বিশ্বকাপে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও নিশ্চিত। আর মিরাজের পরিবর্তে শেখ মেহেদীকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে মূলত কার্যকরী পারফরম্যান্স বিবেচনাতে। একটি সূত্র জানিয়েছে ‘শেখ মেহেদী নতুন বলে বল করতে সক্ষম। এমনকি পুরাতন বলে মিডল ওভারেও বল হাতে কার্যকর। এ ছাড়াও ব্যাটিংটাও ঠিকঠাক আছে। যে কারণে মিরাজের তুলনাতে তাকেই এগিয়ে রাখছি। তবে এমন নয় যে মিরাজ কার্যকর হবে না। সেও দারুণ অভিজ্ঞ ভালো ব্যাটার। শুধু বোলিংয়ে একটু ভাবনায় আছে তাকে নিয়ে।’ যদিও প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন যদি কোনো ইনজুরি বা অন্য কোনো সমস্যা হয় সেই ক্ষেত্রে তারা মিরাজকে প্রস্তুত রাখছেন যেন ব্যাকআপ হিসেবে দলে আনা যেতে পারে।’

অন্যদিকে সবশেষ ২০শে এপ্রিল জাতীয় দলের ফিটনেস পরীক্ষাতে উতরাতে পারেননি তরুণ ব্যাটার শামীম পাটোয়ারি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ট্র্যাকে চার লেপ দৌড়াতে তিনি সময় নিয়েছেন ৭ মিনিট। যা কিনা সবার চেয়ে বেশি। যেখানে নাহিদ রানা ও তানজিম সাকিব ৫ মিনিট ৪৮ মিনিট সময় নিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে সফরকে সামনে রেখে এরইমধ্যে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছেন বিসিবি। আগামী ৩রা মে থেকে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২৬ থেকে ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্প। জাতীয় দলের ক্যাম্পে দীর্ঘদিন পর ফিরলেন সাইফুদ্দিন। আছেন ডিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করতে থাকা পারভেজ হোসেন ইমনও। তবে দেশের বাইরে থাকায় ক্যাম্পে রাখা হয়নি সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে থাকা মোহাম্মদ নাঈম, এনামুল হক, তাইজুল ইসলাম এই ক্যাম্পে জায়গা পাননি। ক্যাম্পে ফেরা পেসার সাইফুদ্দিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরও এক দফা প্রমাণ করতে হবে। এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘অবশ্যই সাইফুদ্দিন একজন উদীয়মান খেলোয়াড়। ইনজুরি না হলে হয়তো আরও ম্যাচ খেলতে পারতেন। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে এগিয়ে আছেন। বোলিংয়ের দিক থেকে তারও প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ তার জন্য ভালো সুযোগ স্বরূপে ফেরার জন্য।’ অন্যদিকে বিশ্বকাপ দলের স্পিন বিভাগে সাকিব, মেহেদী ও তরুণ লেগি রিশাদ দলের ভরসা হবেন। চমক হিসেবে থাকছে আরেক তরুণ জাকের আলী অনিক। এ ছাড়াও পেসারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজ ছাড়াও তানজিদ সাকিবের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দারুণ ভাবে। সূত্র : মানবজমিন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যাদের থাকার সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে

প্রকাশের সময় : ০২:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

১লা মে আইসিসিতে জমা দিতে হবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড। এরইমধ্যে দলে কারা থাকবে আর থাকবে না তা বেশির ভাগই চূড়ান্ত করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরইমধ্যে জানা গেছে কারা থাকছেন, আর কারা থাকছেন না। এরমধ্যে দুটি নাম বেশ আলোচিত। তারা হলেন- জাতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য শামীম হাসান পাটোয়ারি। দু’জনের না থাকার সম্ভাবনা অবশ্য দুটি ভিন্ন কারণে। মিরাজের তুলনায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে বেশি কার্যকর হতে পারেন শেখ মেহেদী। এই অলরাউন্ডারের দলে থাকা এখন অনেকটাই নিশ্চিত। অন্যদিকে ফিটনেসের চরম অবনতির কারণে শামীমকে আলোচনা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। সবশেষ জাতীয় দলের ফিটনেস টেস্টে রেড মার্ক পেয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার।

নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা হতে পারে আগামী মাসের শুরুতেই। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবো। ১ তারিখের মধ্যে জমা দেয়ার বাধ্যবাধতকা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে অনেক খেলা থাকবে, ইনজুরি হতে পারে। কাছাকাছি দল হবে। আমরা সেটা দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। যত সুযোগ আছে আমরা যেকোনো সময় যেকোনো প্লেয়ার নেয়ার চেষ্টা করবো। আনঅফিশিয়ালি হয়তো আমরা পাঠিয়ে দিবো। পরে সুযোগ থাকবে অফিশিয়ালি পরিবর্তন আনার।’

শান্তর নেতৃত্বে দলে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। দলে ফেরার সম্ভাবনা আছে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে অবশ্য জিম্বাবুয়ে সিরিজে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হবে। সেখানে টিকে গেলে তার বিশ্বকাপে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও নিশ্চিত। আর মিরাজের পরিবর্তে শেখ মেহেদীকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে মূলত কার্যকরী পারফরম্যান্স বিবেচনাতে। একটি সূত্র জানিয়েছে ‘শেখ মেহেদী নতুন বলে বল করতে সক্ষম। এমনকি পুরাতন বলে মিডল ওভারেও বল হাতে কার্যকর। এ ছাড়াও ব্যাটিংটাও ঠিকঠাক আছে। যে কারণে মিরাজের তুলনাতে তাকেই এগিয়ে রাখছি। তবে এমন নয় যে মিরাজ কার্যকর হবে না। সেও দারুণ অভিজ্ঞ ভালো ব্যাটার। শুধু বোলিংয়ে একটু ভাবনায় আছে তাকে নিয়ে।’ যদিও প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন যদি কোনো ইনজুরি বা অন্য কোনো সমস্যা হয় সেই ক্ষেত্রে তারা মিরাজকে প্রস্তুত রাখছেন যেন ব্যাকআপ হিসেবে দলে আনা যেতে পারে।’

অন্যদিকে সবশেষ ২০শে এপ্রিল জাতীয় দলের ফিটনেস পরীক্ষাতে উতরাতে পারেননি তরুণ ব্যাটার শামীম পাটোয়ারি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ট্র্যাকে চার লেপ দৌড়াতে তিনি সময় নিয়েছেন ৭ মিনিট। যা কিনা সবার চেয়ে বেশি। যেখানে নাহিদ রানা ও তানজিম সাকিব ৫ মিনিট ৪৮ মিনিট সময় নিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে সফরকে সামনে রেখে এরইমধ্যে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছেন বিসিবি। আগামী ৩রা মে থেকে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২৬ থেকে ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্প। জাতীয় দলের ক্যাম্পে দীর্ঘদিন পর ফিরলেন সাইফুদ্দিন। আছেন ডিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করতে থাকা পারভেজ হোসেন ইমনও। তবে দেশের বাইরে থাকায় ক্যাম্পে রাখা হয়নি সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে থাকা মোহাম্মদ নাঈম, এনামুল হক, তাইজুল ইসলাম এই ক্যাম্পে জায়গা পাননি। ক্যাম্পে ফেরা পেসার সাইফুদ্দিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরও এক দফা প্রমাণ করতে হবে। এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘অবশ্যই সাইফুদ্দিন একজন উদীয়মান খেলোয়াড়। ইনজুরি না হলে হয়তো আরও ম্যাচ খেলতে পারতেন। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে এগিয়ে আছেন। বোলিংয়ের দিক থেকে তারও প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ তার জন্য ভালো সুযোগ স্বরূপে ফেরার জন্য।’ অন্যদিকে বিশ্বকাপ দলের স্পিন বিভাগে সাকিব, মেহেদী ও তরুণ লেগি রিশাদ দলের ভরসা হবেন। চমক হিসেবে থাকছে আরেক তরুণ জাকের আলী অনিক। এ ছাড়াও পেসারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজ ছাড়াও তানজিদ সাকিবের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দারুণ ভাবে। সূত্র : মানবজমিন।