ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
- প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
- / ৯১ বার পঠিত
স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি ওমেন্স টুর্নামেন্টের ইয়ুথ বিভাগে (অনূর্ধ্ব-১৭) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। বুধবার শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শক্তিধর ভারতকে ৪৬-৪৩ গোল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ ইয়ুথ হ্যান্ডবল দল। খেলার প্রথমার্ধে ২০-২০ গোলের সমতায় ম্যাট ছাড়ে দু’দল। বাংলাদেশ-ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে নাটকীয় মোড় নিয়েছিল বেশ কয়েকবার। দুদলের তীব্র লড়াইয়ে একবার ভারত এগিয়ে যায় তো গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ১ ঘণ্টার এই ম্যাচে প্রথমার্ধের শুরুর ২০ মিনিটে ১৬-১০ গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক মোছাম্মৎ মারফি, রুনা লায়লারা। প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধের লড়াই ছিল আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। দুদলের খেলোয়াড়রা যেমন তাদের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন; তেমনি পেশীশক্তিরও। মেজাজ হারিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হতে গিয়ে মাশুলও গুণতে হয়েছে দু’দলকে।
খেলার ৪৪তম মিনিটে লাল কার্ডের শাস্তিতে ম্যাট ছাড়েন ভারতের প্রাধান্য বালাসো মানে। তখন ৬ জনের দলে পরিণত হয় ভারত। বাংলাদেশের খেলোয়াড় ছিল ৭ জন। ওই সময়ও ম্যাচে পরিস্কার ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সফরকারী ভারত (৩৩-২৮)। খেলার ৫০তম মিনিটে গিয়ে ভারতকে একেবারে চেপে ধরেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এ সময় গোলের পর গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনে স্বাগতিকরা। ৫৫তম মিনিটে গিয়ে টানা তিন হলুদ (২ মিনিট করে মাঠের বাইরে থাকার শাস্তির ফল) দেখে ম্যাট ছাড়েন বাংলাদেশের টপ স্কোরার অধিনায়ক মারফি। তখনো ম্যাচে পিছিয়ে বাংলাদেশ। একটা সময় মনে হয়েছিল লীগ পর্বের মতো ফাইনালেও ভারতের কাছে হারতে যাচ্ছে কোচ ডালিয়া আক্তারের দল। কিন্তু মারফির অনুপস্থিতি বুঝতে দেননি অন্যরা।
আরোও পড়ুন । র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে শান্ত, সাকিব আছেন একই জায়গায়
পুরো ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল বাংলার মেয়েদের। ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেন অধিনায়ক মারফি। এছাড়া রুনা লায়লা ১৪, তানিয়া ১০, দীপা রানী ৫, ফাতেমা প্রেমা ও সানিয়া আক্তার সমান ১টি করে গোল করেন। ভারতের পক্ষে রেনুকা সর্বোচ্চ ১৬ গোল করেন। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের কোচ ডালিয়া আক্তার বলেন, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমি বলেছিলাম চমক দেখাবে আমার দল। সেটাই করে দেখিয়েছে তারা। মেয়েদের এমন পারফরম্যান্সে আমি অনেক খুশি। আমি আমার খেলোয়াড়ী জীবনে কখনো ভারতকে হারাতে পারিনি। কিন্তু প্রথমবার কোচ হয়ে সেই অর্জনে নাম লেখাতে পেরেছি। ভারতকে যে কোনো খেলায় হারানো কঠিন। হ্যান্ডবলে তো আরো কঠিন। সেই কঠিন কাজ আমার মেয়েরা করে দেখালো।’
পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলেছেন বাংলাদেশ ইয়ুথ টিমের অধিনায়ক মারফি। দলকে ফাইনালে তুলে আনা থেকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে তার অনেক বড় ভূমিকা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মারফি বলেন, ‘আমি অনেক খুশি। কোচ, খেলোয়াড়, কর্মকর্তা সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই আমাদের অনেক সাপোর্ট করেছেন। আজ অনেক দর্শকও মাঠে এসে আমাদের সাপোর্ট করেছেন।’ লাল কার্ড দেখে যখন মাঠের বাইরে গেলেন তখন কি মনে হয়েছে দল জিতবে? এমন প্রশ্নে মারফি বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম হেরে যাবো। কিন্তু দল জেতায় এখন অনেক খুশি লাগছে।’ এ দিন জুনিয়র বিভাগের ফাইনালে (অনূর্ধ্ব- ১৯) ভারতের কাছেই ৪৮-১৭ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। সূত্র : মানবজমিন
বেলী/হককথা