নিউইয়র্ক ০৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বায়ার্নকে উড়িয়ে সেমিতে একপা সিটির

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৫৮ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক :  চ্যাম্পিয়ন লীগের কোয়াটার ফাইনালে দারুন এক জয় তুলে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে প্রিমিয়ার লীগের শিরোপাধারীরা। রদ্রির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্নাদো সিলভা। পরে হালান্ডের লক্ষ্যভেদে সেমি-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা জোরাল হয় সিটির। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমনে খেলতে থাকে দুই দল। দুই দলই চেষ্টা করে পাল্টাপাল্টি আক্রমণে গিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে। শুরুতে অবশ্য বায়ার্নের চেয়ে ম্যান সিটির আক্রমণগুলোই ছিল অনেক বেশি গুছানো। সিটি খেলোয়াড়দের নিজেদের মাঝে বোঝাপড়াও ছিল দারুণ। এই ম্যাচে ফরমেশন সাজানোর ক্ষেত্রেও কিছুটা ঝুঁকিনেন পেপ গার্দিওলা।

৩-২-২-৩ ফরমেশনে চাপে পড়ার সুযোগও ছিল অনেক। যদিও দ্রুত কৌশলে বদল এনে ৪-২-১-৩ ফরমেশনে খেলতে শুরু করে সিটি। ম্যাচের প্রথম দিকে পরিকল্পনা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বায়ার্নকে খুব কমই সুযোগ দিয়েছে স্বাগতিকরা। ৫ম মিনিটে হালান্ড শট নিলেও সেটি ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। সিটির হাই প্রেসিংয়ের বিপরীতে বায়ার্নকে আক্রমণে যেতে সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছিল। ১৪ মিনিটে সিটির প্রেসিংয়ে নাকাল হয়ে তাদের গোল প্রায় উপহার দিয়েই ফেলেছিল বায়ার্ন। সে যাত্রায় অবশ্য কোনোভাবেহালান্ডকে ঠেকিয়ে দেয় তারা। চাপ সামলে দ্রুত অবশ্য গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বায়ার্ন। সিটি অবশ্য অতিথিদের থিতু হওয়ারখুব একটা সুযোগ দিচ্ছিল না। ২২ মিনিট ফের সম্ভাবনা জাগিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন হালান্ড। ২৬ মিনিটে রুবেন দিয়াজ দারুণ নৈপুণ্যে জামাল মুসিয়ালাকে ঠেকিয়ে দিলে গোল খাওয়া থেকে রক্ষা পায় সিটি। কিন্তু পরের মিনিটে রদ্রির অনেক দিন মনে রাখার মতো এক গোলে ঠিকই প্রাপ্য গোলটি পেয়ে যায় সিটি।

আরোও পড়ুন। ব্যর্থ রোনালদো, পয়েন্ট খোয়াল আল নাসর

ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির বাঁকানো শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন রদ্রি। বিরতির পরপর ম্যাচের ধারা বদলানোর চেষ্টা করে বায়ার্ন। শুরুতেই লেরয় সানের শট ঠেকানসিটি গোলরক্ষক এদেরসন। একটু পর ফের বেঁচে যায় সিটি। তবে নিজেদের ভুলে সিটিকে দ্বিতীয় গোল উপহার দিয়েই ফেলেছিলবায়ার্ন। বল ক্লিয়ার না করে নিজেদের মাঝে দেওয়া নেওয়া করতে গিয়েই মূলত বিপদ বাড়ায় তারা। তবে শেষ মুহুর্তে গোলপায়নি সিটি। ৭০ মিনিটে অবশ্য আর ঠেকিয়ে রাখা যায়নি সিটিকে। দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান ২-০ করে স্বাগতিকেরা। জ্যাগগ্রিলিশের প্রেসিংয়ে নিজেদের পোস্ট থেকে ২৫ গজ দূরে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান বায়ার্নের উপামেকানো। এরপর দারুণ একব্যাকহিলে সেই বল গ্রিলিশ বাড়িয়ে দেন হালান্ডকে। দারুণ ক্রসে অরক্ষিত বের্নার্দো সিলভার দিকে বল বাড়ান হলান্ড। লক্ষ্যভেদকরে দলকে জোড়া গোলের লিড এনে দেন পর্তুগিজ তারকা। একটু ফের সোমের ত্রাতা না হলে ব্যবধান ৩-০ করতে পারত সিটি। কিন্তু পরের মুহূর্তে হলান্ডকে আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেননিসোমেরও। এবার দুর্দান্ত ক্রসে জন স্টোনস হেডে বল বাড়ান হলান্ডের দিকে। নিঁখুত ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দলকে ৩-০ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই নরওয়েজীয় তারকা। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে দুই দলই গোলের অনেক সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু গোলরক্ষকদের ফাঁকি দিয়ে কেউ জালের ঠিকানাখুঁজে নিতে পারেনি। সিটির দাপুটে জয়ে শেষ হয় ম্যাচ। সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বায়ার্নকে উড়িয়ে সেমিতে একপা সিটির

প্রকাশের সময় : ০১:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক :  চ্যাম্পিয়ন লীগের কোয়াটার ফাইনালে দারুন এক জয় তুলে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে প্রিমিয়ার লীগের শিরোপাধারীরা। রদ্রির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্নাদো সিলভা। পরে হালান্ডের লক্ষ্যভেদে সেমি-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা জোরাল হয় সিটির। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমনে খেলতে থাকে দুই দল। দুই দলই চেষ্টা করে পাল্টাপাল্টি আক্রমণে গিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে। শুরুতে অবশ্য বায়ার্নের চেয়ে ম্যান সিটির আক্রমণগুলোই ছিল অনেক বেশি গুছানো। সিটি খেলোয়াড়দের নিজেদের মাঝে বোঝাপড়াও ছিল দারুণ। এই ম্যাচে ফরমেশন সাজানোর ক্ষেত্রেও কিছুটা ঝুঁকিনেন পেপ গার্দিওলা।

৩-২-২-৩ ফরমেশনে চাপে পড়ার সুযোগও ছিল অনেক। যদিও দ্রুত কৌশলে বদল এনে ৪-২-১-৩ ফরমেশনে খেলতে শুরু করে সিটি। ম্যাচের প্রথম দিকে পরিকল্পনা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বায়ার্নকে খুব কমই সুযোগ দিয়েছে স্বাগতিকরা। ৫ম মিনিটে হালান্ড শট নিলেও সেটি ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। সিটির হাই প্রেসিংয়ের বিপরীতে বায়ার্নকে আক্রমণে যেতে সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছিল। ১৪ মিনিটে সিটির প্রেসিংয়ে নাকাল হয়ে তাদের গোল প্রায় উপহার দিয়েই ফেলেছিল বায়ার্ন। সে যাত্রায় অবশ্য কোনোভাবেহালান্ডকে ঠেকিয়ে দেয় তারা। চাপ সামলে দ্রুত অবশ্য গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বায়ার্ন। সিটি অবশ্য অতিথিদের থিতু হওয়ারখুব একটা সুযোগ দিচ্ছিল না। ২২ মিনিট ফের সম্ভাবনা জাগিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন হালান্ড। ২৬ মিনিটে রুবেন দিয়াজ দারুণ নৈপুণ্যে জামাল মুসিয়ালাকে ঠেকিয়ে দিলে গোল খাওয়া থেকে রক্ষা পায় সিটি। কিন্তু পরের মিনিটে রদ্রির অনেক দিন মনে রাখার মতো এক গোলে ঠিকই প্রাপ্য গোলটি পেয়ে যায় সিটি।

আরোও পড়ুন। ব্যর্থ রোনালদো, পয়েন্ট খোয়াল আল নাসর

ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির বাঁকানো শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন রদ্রি। বিরতির পরপর ম্যাচের ধারা বদলানোর চেষ্টা করে বায়ার্ন। শুরুতেই লেরয় সানের শট ঠেকানসিটি গোলরক্ষক এদেরসন। একটু পর ফের বেঁচে যায় সিটি। তবে নিজেদের ভুলে সিটিকে দ্বিতীয় গোল উপহার দিয়েই ফেলেছিলবায়ার্ন। বল ক্লিয়ার না করে নিজেদের মাঝে দেওয়া নেওয়া করতে গিয়েই মূলত বিপদ বাড়ায় তারা। তবে শেষ মুহুর্তে গোলপায়নি সিটি। ৭০ মিনিটে অবশ্য আর ঠেকিয়ে রাখা যায়নি সিটিকে। দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান ২-০ করে স্বাগতিকেরা। জ্যাগগ্রিলিশের প্রেসিংয়ে নিজেদের পোস্ট থেকে ২৫ গজ দূরে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান বায়ার্নের উপামেকানো। এরপর দারুণ একব্যাকহিলে সেই বল গ্রিলিশ বাড়িয়ে দেন হালান্ডকে। দারুণ ক্রসে অরক্ষিত বের্নার্দো সিলভার দিকে বল বাড়ান হলান্ড। লক্ষ্যভেদকরে দলকে জোড়া গোলের লিড এনে দেন পর্তুগিজ তারকা। একটু ফের সোমের ত্রাতা না হলে ব্যবধান ৩-০ করতে পারত সিটি। কিন্তু পরের মুহূর্তে হলান্ডকে আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেননিসোমেরও। এবার দুর্দান্ত ক্রসে জন স্টোনস হেডে বল বাড়ান হলান্ডের দিকে। নিঁখুত ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দলকে ৩-০ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই নরওয়েজীয় তারকা। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে দুই দলই গোলের অনেক সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু গোলরক্ষকদের ফাঁকি দিয়ে কেউ জালের ঠিকানাখুঁজে নিতে পারেনি। সিটির দাপুটে জয়ে শেষ হয় ম্যাচ। সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা