নিউইয়র্ক ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বগুড়ার প্রথম মেয়ে হিসেবে ব্রোঞ্জ জিতলেন মিম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬৬ বার পঠিত

সুমাইয়া আক্তার মিম

স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু অষ্টম প্রেসিডেন্ট কাপ ফেন্সিং টুর্নামেন্ট ২০২৩-এ বাঙলা কলেজ ফেন্সিং ক্লাবের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছিলেন সুমাইয়া আক্তার মিম। বগুড়ার প্রথম মেয়ে হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছেন তিনি।

ঢাকার মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গত ১৫ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত চারদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু অষ্টম প্রেসিডেন্ট কাপ ফেন্সিং টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশ নেয় বাংলাদেশ আনসার, মিরপুর ফেন্সিং টিমসহ আরো অনেক ক্লাব।

মিম বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার রানীরপাড়া গ্রামের মো: আব্দুল মজিদ ও রফিজা আক্তার স্বপ্নার মেয়ে। ২০০৪ সালের ১০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এই স্বপ্নবাজ। ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত ছিলেন তিনি। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে মিম দ্বিতীয়।

রানীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিমের পড়ালেখায় হাতেখড়ি। প্রাথমিক স্কুলে থাকতেই চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, অভিনয়, নৃত্যসহ খেলাধুলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সাফল্য বয়ে আনেন তিনি। পড়াশুনাতেও মিম বরাবরই ছিলেন ক্লাসে প্রথম।

সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকার বাঙলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন মিম। বর্তমানে ইডেন মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগে ২য় বর্ষে পড়াশোনা করছেন তিনি।

মিম খেলাধুলা ও পড়াশুনার পাশাপাশি বিএনসিসির সঙ্গেও নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। এরই মধ্যে তার ঝুড়িতে যুক্ত হয়েছে জাতীয় পর্যায়ের ৪টি মেডেল। আরচ্যারি ও অলিম্পিক গেমসের একটি ইভেন্ট সেপাক টাকরোতেও খেলেছেন তিনি।

ব্রোঞ্জ জয়ের পর মিম বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। ইনশা আল্লাহ পরবর্তীতে গোল্ড মেডেল এবং ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে গেলে দেশের জন্য পদক নিয়ে আসবো। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেনো দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।

মিমের এ সাফল্যে আলোর প্রদীপ যুব সংগঠনের চেয়ারম্যান এম এম মেহেরুল বলেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকেই দেখেছি মিমের ইচ্ছাশক্তি কত প্রবল। আমরা তার এই আগ্রহের কারণে এগিয়ে আসি। চেষ্টা করেছি পাশে থাকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘মিমের এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে ওর মা-ও অনেক ভূমিকা রেখেছে। আমরা তখনই ভাবতাম এই মেয়ে একদিন ভালো কিছু করবে। মিম সেটা করেও দেখাচ্ছে। আমরা মিমের সাফল্য গর্বিত।’

সত্র : ডেইলি-বাংলাদেশ

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বগুড়ার প্রথম মেয়ে হিসেবে ব্রোঞ্জ জিতলেন মিম

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু অষ্টম প্রেসিডেন্ট কাপ ফেন্সিং টুর্নামেন্ট ২০২৩-এ বাঙলা কলেজ ফেন্সিং ক্লাবের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছিলেন সুমাইয়া আক্তার মিম। বগুড়ার প্রথম মেয়ে হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছেন তিনি।

ঢাকার মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গত ১৫ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত চারদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু অষ্টম প্রেসিডেন্ট কাপ ফেন্সিং টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশ নেয় বাংলাদেশ আনসার, মিরপুর ফেন্সিং টিমসহ আরো অনেক ক্লাব।

মিম বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার রানীরপাড়া গ্রামের মো: আব্দুল মজিদ ও রফিজা আক্তার স্বপ্নার মেয়ে। ২০০৪ সালের ১০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এই স্বপ্নবাজ। ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত ছিলেন তিনি। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে মিম দ্বিতীয়।

রানীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিমের পড়ালেখায় হাতেখড়ি। প্রাথমিক স্কুলে থাকতেই চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, অভিনয়, নৃত্যসহ খেলাধুলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সাফল্য বয়ে আনেন তিনি। পড়াশুনাতেও মিম বরাবরই ছিলেন ক্লাসে প্রথম।

সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকার বাঙলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন মিম। বর্তমানে ইডেন মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগে ২য় বর্ষে পড়াশোনা করছেন তিনি।

মিম খেলাধুলা ও পড়াশুনার পাশাপাশি বিএনসিসির সঙ্গেও নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। এরই মধ্যে তার ঝুড়িতে যুক্ত হয়েছে জাতীয় পর্যায়ের ৪টি মেডেল। আরচ্যারি ও অলিম্পিক গেমসের একটি ইভেন্ট সেপাক টাকরোতেও খেলেছেন তিনি।

ব্রোঞ্জ জয়ের পর মিম বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। ইনশা আল্লাহ পরবর্তীতে গোল্ড মেডেল এবং ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে গেলে দেশের জন্য পদক নিয়ে আসবো। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেনো দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।

মিমের এ সাফল্যে আলোর প্রদীপ যুব সংগঠনের চেয়ারম্যান এম এম মেহেরুল বলেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকেই দেখেছি মিমের ইচ্ছাশক্তি কত প্রবল। আমরা তার এই আগ্রহের কারণে এগিয়ে আসি। চেষ্টা করেছি পাশে থাকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘মিমের এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে ওর মা-ও অনেক ভূমিকা রেখেছে। আমরা তখনই ভাবতাম এই মেয়ে একদিন ভালো কিছু করবে। মিম সেটা করেও দেখাচ্ছে। আমরা মিমের সাফল্য গর্বিত।’

সত্র : ডেইলি-বাংলাদেশ

হককথা/নাছরিন