নিউইয়র্ক ১০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফুটবলের গায়ে কলঙ্কের দাগ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৯ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলা নববর্ষের দিন তীব্র দাবদাহে পুড়েছে গোটা দেশ। আর দেশের ফুটবল পুড়েছে কলঙ্কের আগুন! বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রা যখন চারুকলা থেকে বেরিয়ে রাজপথে আনন্দ-আবির ছড়াচ্ছে, আরামবাগের ফুটবল ভবনে তখন রাজ্যের নীরবতা। বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য গত পরশু ছিল অমাবশ্যার একদিন। দুর্নীতির দায়ে দুই বছরের জন্য বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সেই সঙ্গে জুটেছে অর্থদণ্ড। শনিবার তাই বাফুফে ভবন রূপ নিয়েছিল অনেকটা ভূতের বাড়িতে। ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাধারণ সম্পাদকের রুমের বাইরে মুছে ফেলা হয় আবু নাঈম লেখা নামফলক। নিষেধাজ্ঞা যে কার্যকর হয়েছে আগেরদিন থেকে।

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মুখে রাজ্যের বিষণ্নতা, কপালে চিন্তার ভাঁজ। উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠিত সালাউদ্দিন বললেন, ‘আমাদের জন্য এটা একটা দুঃসংবাদ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগকে ফিফা নিষিদ্ধ করেছে। ফিফার ডকুমেন্ট আমি দেখেছি। ফিফা যেহেতু সাসপেন্ড করেছে, এ ব্যাপারে যা কতর্ব্য তা আমরা পালন করছি।’

সালাউদ্দিন যোগ করেন, ‘আমি জরুরি সভা করতে চেয়েছিলাম। তিনজন সহ-সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি দেশের বাইরে থাকায় সভা করতে পারিনি। তারা ঢাকায় ফিরলে সোমবার সভা করে তারপর আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব। তবে সবকিছুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও দুই-তিনদিন। কারণ শনি ও রোববার ফিফার দপ্তর বন্ধ থাকবে।’ সাংবাদিকদের ফোন না ধরলেও সালাউদ্দিনের ফোন ঠিকই ধরেছেন আবু নাঈম। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমি সোহাগের সঙ্গে কথা বলেছি। সে মনে করছে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। সে আমাকে জানিয়েছে যে, সে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে যাবে।’

আরোও পড়ুন । লাল-সবুজের ‘গর্বিত কন্যা’ মাশফিয়া

ফিফার তদন্ত রিপোর্টে বাফুফের নানা আর্থিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। আবু নাঈমকে তাই দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাফুফে কোনো আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আর্থিক অনিয়মের কথা বলেনি। কোড অব এথিকস ও রেসপন্সিবিলিটি এসব বিষয় রয়েছে। এখানে লুকানোর কিছু নেই। আমাকে বোর্ড মিটিং করতে হবে।’

এদিকে শনিবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, ‘বাফুফে যে আমাদের ভাবমূর্তি সংকটে ফেলেছে, এতে আমরা খুবই লজ্জিত।’ তিনি যোগ করেন, ‘বাফুফের আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যম সব সময় সোচ্চার ছিল। শেষে গণমাধ্যমের রিপোর্টই সত্যি হলো।’ ফিফার নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তিবিশেষের ওপর দিয়ে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘একদিক দিয়ে বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে, ব্যক্তির ওপর দিয়ে নিষেধাজ্ঞা গেছে। ফুটবল ফেডারেশনের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করার সুপারিশ করেছিল। তবে ফিফার বাধ্যবাধকতার কারণে এখন ধীরে চলতে চায় মন্ত্রণালয়, ‘আমাদের হস্তক্ষেপ্তের কারণে যদি আরও বড় ক্ষতি হয়, সেটা আমরা কেউই চাই না। ফিফা যদি অনুরোধ করে, তাহলে অবশ্যই আরও তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব। তবে ফুটবলের ওপর আমরা কোনোভাবেই অযাচিত হস্তক্ষেপ করব না। সূত্র : যুগান্তর

বেলী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ফুটবলের গায়ে কলঙ্কের দাগ

প্রকাশের সময় : ১২:১৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলা নববর্ষের দিন তীব্র দাবদাহে পুড়েছে গোটা দেশ। আর দেশের ফুটবল পুড়েছে কলঙ্কের আগুন! বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রা যখন চারুকলা থেকে বেরিয়ে রাজপথে আনন্দ-আবির ছড়াচ্ছে, আরামবাগের ফুটবল ভবনে তখন রাজ্যের নীরবতা। বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য গত পরশু ছিল অমাবশ্যার একদিন। দুর্নীতির দায়ে দুই বছরের জন্য বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সেই সঙ্গে জুটেছে অর্থদণ্ড। শনিবার তাই বাফুফে ভবন রূপ নিয়েছিল অনেকটা ভূতের বাড়িতে। ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাধারণ সম্পাদকের রুমের বাইরে মুছে ফেলা হয় আবু নাঈম লেখা নামফলক। নিষেধাজ্ঞা যে কার্যকর হয়েছে আগেরদিন থেকে।

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মুখে রাজ্যের বিষণ্নতা, কপালে চিন্তার ভাঁজ। উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠিত সালাউদ্দিন বললেন, ‘আমাদের জন্য এটা একটা দুঃসংবাদ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগকে ফিফা নিষিদ্ধ করেছে। ফিফার ডকুমেন্ট আমি দেখেছি। ফিফা যেহেতু সাসপেন্ড করেছে, এ ব্যাপারে যা কতর্ব্য তা আমরা পালন করছি।’

সালাউদ্দিন যোগ করেন, ‘আমি জরুরি সভা করতে চেয়েছিলাম। তিনজন সহ-সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি দেশের বাইরে থাকায় সভা করতে পারিনি। তারা ঢাকায় ফিরলে সোমবার সভা করে তারপর আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব। তবে সবকিছুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও দুই-তিনদিন। কারণ শনি ও রোববার ফিফার দপ্তর বন্ধ থাকবে।’ সাংবাদিকদের ফোন না ধরলেও সালাউদ্দিনের ফোন ঠিকই ধরেছেন আবু নাঈম। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমি সোহাগের সঙ্গে কথা বলেছি। সে মনে করছে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। সে আমাকে জানিয়েছে যে, সে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে যাবে।’

আরোও পড়ুন । লাল-সবুজের ‘গর্বিত কন্যা’ মাশফিয়া

ফিফার তদন্ত রিপোর্টে বাফুফের নানা আর্থিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। আবু নাঈমকে তাই দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাফুফে কোনো আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আর্থিক অনিয়মের কথা বলেনি। কোড অব এথিকস ও রেসপন্সিবিলিটি এসব বিষয় রয়েছে। এখানে লুকানোর কিছু নেই। আমাকে বোর্ড মিটিং করতে হবে।’

এদিকে শনিবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, ‘বাফুফে যে আমাদের ভাবমূর্তি সংকটে ফেলেছে, এতে আমরা খুবই লজ্জিত।’ তিনি যোগ করেন, ‘বাফুফের আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যম সব সময় সোচ্চার ছিল। শেষে গণমাধ্যমের রিপোর্টই সত্যি হলো।’ ফিফার নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তিবিশেষের ওপর দিয়ে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘একদিক দিয়ে বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে, ব্যক্তির ওপর দিয়ে নিষেধাজ্ঞা গেছে। ফুটবল ফেডারেশনের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করার সুপারিশ করেছিল। তবে ফিফার বাধ্যবাধকতার কারণে এখন ধীরে চলতে চায় মন্ত্রণালয়, ‘আমাদের হস্তক্ষেপ্তের কারণে যদি আরও বড় ক্ষতি হয়, সেটা আমরা কেউই চাই না। ফিফা যদি অনুরোধ করে, তাহলে অবশ্যই আরও তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব। তবে ফুটবলের ওপর আমরা কোনোভাবেই অযাচিত হস্তক্ষেপ করব না। সূত্র : যুগান্তর

বেলী / হককথা