ফাইনালে আবাহনীকেই পেল মোহামেডান

- প্রকাশের সময় : ১২:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
- / ৭৭ বার পঠিত
স্পোর্টস ডেস্ক : কুমিল্লায় ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আবাহনী-শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র যখন লড়াই করছে, তখন এই ম্যাচ ঘিরে মোহামেডানের সমর্থকদের আগ্রহ উপচে পড়ছে। যে দল জিতবে, তারা মোহামেডানের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে। মোহামেডানের সমর্থকেরাও যেন চাইছিল আবাহনী জিতুক। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। কুমিল্লায় শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আবাহনী ৩-০ গোলে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছে। খেলা শেষ হওয়ার পর মোহামেডান সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের হাসি—এবার অনেক দিন পর মোহামেডান-আবাহনী লড়াই দেখা যাবে। কুমিল্লায় খেলা দেখতে গিয়ে আবাহনীর সমর্থকেরাও খুশি। খেলা শেষে বলাবলি করছিলেন—মোহামেডান-আবাহনীর উত্তেজনা দেখা যাবে। ২০০৯ সালে শেষবার মোহামেডান-আবাহনী ফেডারেশন কাপের ফাইনলে মুখোমুখি হয়।
শেখ রাসেলকে হারিয়ে সহজেই উতরে যাবে এমনটা ভাবেনি আবাহনী। কারণ লিগের ম্যাচে শেখ রাসেলকে হারাতে পারেনি আবাহনী। ২-২ গোলে ড্র করেছিল। কালকে আবাহনীর সেই ভয়টা কাজ করছিল। শেখ রাসেলকে হারাতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছিল আবাহনী। ম্যাচের শুরুটা আবাহনীর জন্য ভালো ছিল না। আবাহনীর আকাশি-নীল জালে গোলের সুযোগ শেখ রাসেল পেয়েই যাচ্ছিল প্রায়। জাতীয় দলে ডাক পাওয়া হেমন্ত ভিনসেন্টের উৎস থেকে পাওয়া বলটা আবাহনীর গোলকিপার সোহেলকে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়েও বল জালে রাখতে পারেননি শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান এমফন উদোহ। অল্পের জন্য সাইড নেটে গিয়ে ঠেকে। এই এমফনের আরেকটি শট গোলকিপার সোহেলের গায়ে লেগে নষ্ট হয়। সাইডলাইন থেকে আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস এবং ম্যানেজার সত্যজিত দাস রূপু চেঁচিয়ে ওঠেন। রক্ষণ গোছাতে বলেন।
আরোও পড়ুন । মেসি ফিরছেন ঘরে, ইঙ্গিত বার্সেলোনা সভাপতির
ঝড় সামাল দিয়ে পরিস্থিতি যখন শান্ত হয়, আবাহনী সেই সুযোগ কাজে লাগায়। রেজাউল করিমের কাছ থেকে বল পেয়ে কোস্টারিকার কলিন্দ্রেস বক্সে ঢুকে সেকেন্ড পোস্টে গোল করেন ১-০। ভালো খেলেছেন জাতীয় দলে ডাক পাওয়া আক্রমণভাগের ফয়সাল হোসেন ফাহিম। জোড়া গোল করেছেন তিনি। কলিন্দ্রেসের সঙ্গে সাপোর্ট হয়ে খেলেছেন। ছয় বছর সাইফ স্পোর্টিংয়ে খেলে এবার আবাহনীতে যোগ দেওয়া ফাহিমের ডান ও বাম পা দুটোই সমান তালে চলে। ৫১ (২-০) ও ৭১ মিনিটে গোল (৩-০) করেছেন ফাহিম। হ্যাটট্রিকের সুযোগের অপেক্ষায় থাকা ফাহিমকে ৮২ মিনিটে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ মারিও লেমস। কষ্ট পেলেও ফাহিম বললেন, ‘এখানে আমার কিছু করার নাই। টিম ম্যানেজম্যান্ট তুলে নিল। মাঠে থাকলে হ্যাটট্রিকের সুযোগ নিতে পারতাম।’ হ্যাটট্রিক না পাওয়ার কষ্ট মুছে যায় খেলা শেষে ম্যাচ-সেরা পুরস্কার পেয়ে। কুমিল্লায় ফেডারেশন কাপের ফাইনাল আগামি ৩০ মে।
সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
বেলী/হককথা