নিউইয়র্ক ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফরাসী গতির কাছে আর্জেন্টিনার হার ॥ কোয়ার্টারে ফ্রান্স, আর্জেন্টিনার বিদায়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুন ২০১৮
  • / ১১৪৫ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: ফরাসী গতির কাছে হেরে গেল আর্জেন্টিনা। শেষ সময়ে এসে আরও একটি গোল পরিশাধ করে মেসিরা। তবুও শেষ রক্ষা হলো না। নক আউটপর্বের প্রথম ম্যাচেই বিদায় নিতে হলো দুইবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে বাড়ির পথ ধরতে হচ্ছে সাম্পাউরিলর শিষ্যদের। আর ফ্রান্স চলে গেল শেষ আটে। অর্থাৎ কোয়ার্টার ফাইনালে। শনিবার (৩০ জুন) নিউইয়র্ক সময় সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) খেলা শুরুর হওয়ার পর ১৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। ফ্রান্সের ১০ নম্বর জার্সিধারী এমবাপের অসাধারণ দুই গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। তুমুল লড়াই হয় ম্যাচে। দ্বিতীয়ার্ধে এসে উভয় দলই জ্বলে ওঠে। পেভারদোর অসাধারণ গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। এরপরই আরো এক গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। অপরদিকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এসে জ্বলে ওঠে আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের জালে গোল পাঠিয়ে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মেরকাদো ওটামেন্ডির গোলে ২-১ গোলের লিড পায় আর্জেন্টিনা। প্রধমার্ধের শুরুতে কোয়ার্টার-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পেনাল্টি পেয়ে গোল দেয় ফ্রান্স। ফলে ১ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এদিকে আনহেল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত গোলে অবশেষে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। ৪১ মিনিটে ডি মারিয়ার গোল আর্জেন্টিনাকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচালো। প্রথমার্ধ ১-১ সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

ফ্রান্সের এমবাপে। ছবি: ফিফা ডট কম
এর আগে মাঝমাঠ থেকে এমবাপ্পে দারুণ এক বল ধরে আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকে যান। তাকে ফাউল করেন আর্জেন্টিনা রক্ষণভাগের খেলোয়াড় রোহো। হলুদ কার্ড পান রোহো। ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটে গ্রিজমানই দলকে এগিয়ে দিলেন পেনাল্টি থেকে আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠিয়ে।
এবারের বিশ্বকাপে সব শঙ্কা উড়িয়ে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছিলো আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে ইউরোপের পরাশক্তি ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে হয় লাতিন আমেরিকার অন্যতম সেরা দল, সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
শেষ ম্যাচে দলের অধিনায়ক মেসির অসাধারণ পারফরম্যান্সে এবং মার্কোস রোহোর অনবদ্য গোলে নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করেছিলো আর্জেন্টিনা। এরআগে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে এবং পরের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন দুইবারের বিশ্বসেরা দলটির সমর্থকেরা।
এবার লড়াইটা আরও শক্ত ছিলো মেসির দলের কাছে। গ্রুপে সুযোগ থাকলেও নকআউট পর্বে এসে একটা ভুলই শেষ করে দিতে পারে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। ফলে প্রতিটা দলই এই পরিস্থিতিতে বেশ সচেতন। বিষয়টা ভালো মতোই জানেন ‘দ্য ম্যাজেশিয়ান’ খ্যাত তারকা মেসি। আর তাই গোটা দলকেই সামনের দিকে এগিয়ে চলার জন্য সংঘবদ্ধ করে দায়িত্ব নেয়ার কথা বলছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর শেষ রক্ষা হলো না। তাইতো ফ্রান্স-আর্জেন্টিনার ম্যাচ শেষে মেসিকে কিংকর্তব্য অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। একদিকে ফ্রান্স শিবিরে আনন্দ উল্লাস অপদিকে আর্জেন্টিনা শিবিরে হতাশার চরম ছাপ। আর মেসি একাকি দাঁড়িয়ে। যদিও কয়েক মিনিট পর সতীর্থ আর ফ্রান্স দলের খেলোয়ারগণ তার সাথে হাত মেলান, কেউবা হাক দেন।
ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা দুই দলই আত্মবিশ্বাসী ছিলো এই ম্যাচ থেকে জয় তুলে পরবর্তী রাউন্ডে যাবার বিষয়ে। আর তাইতো দু’দলকেই মড়িয়া হয়ে খেলতে দেখা যায়। এই দুই দলের ভাল খেলা বা মন্দ খেলা অনেকটাই নির্ভর করে পোগবা-গ্রিজমান এবং অন্য দিকে, মেসি-মাসচেরানোদের উপর। এই ম্যাচে সাম্প্রতিক ফর্মের ওপর বিচার করে হোর্হে সাম্পাওয়ালির সেরা একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন গঞ্জালো হিগুয়াইন। তার বদলে মূল একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ান পাভন। জাতীয় দলের হয়ে আট ম্যাচ খেলেছেন বোকা জুনিয়সের্র এই তারকা। তবে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা ম্যাচে তুলনামূলকভাবে ফ্রান্স অরেক ভালো খেলা উপহার দিয়েই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

ফরাসী গতির কাছে আর্জেন্টিনার হার ॥ কোয়ার্টারে ফ্রান্স, আর্জেন্টিনার বিদায়

প্রকাশের সময় : ০১:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুন ২০১৮

হককথা ডেস্ক: ফরাসী গতির কাছে হেরে গেল আর্জেন্টিনা। শেষ সময়ে এসে আরও একটি গোল পরিশাধ করে মেসিরা। তবুও শেষ রক্ষা হলো না। নক আউটপর্বের প্রথম ম্যাচেই বিদায় নিতে হলো দুইবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে বাড়ির পথ ধরতে হচ্ছে সাম্পাউরিলর শিষ্যদের। আর ফ্রান্স চলে গেল শেষ আটে। অর্থাৎ কোয়ার্টার ফাইনালে। শনিবার (৩০ জুন) নিউইয়র্ক সময় সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) খেলা শুরুর হওয়ার পর ১৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। ফ্রান্সের ১০ নম্বর জার্সিধারী এমবাপের অসাধারণ দুই গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। তুমুল লড়াই হয় ম্যাচে। দ্বিতীয়ার্ধে এসে উভয় দলই জ্বলে ওঠে। পেভারদোর অসাধারণ গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। এরপরই আরো এক গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। অপরদিকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এসে জ্বলে ওঠে আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের জালে গোল পাঠিয়ে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মেরকাদো ওটামেন্ডির গোলে ২-১ গোলের লিড পায় আর্জেন্টিনা। প্রধমার্ধের শুরুতে কোয়ার্টার-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পেনাল্টি পেয়ে গোল দেয় ফ্রান্স। ফলে ১ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এদিকে আনহেল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত গোলে অবশেষে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। ৪১ মিনিটে ডি মারিয়ার গোল আর্জেন্টিনাকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচালো। প্রথমার্ধ ১-১ সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

ফ্রান্সের এমবাপে। ছবি: ফিফা ডট কম
এর আগে মাঝমাঠ থেকে এমবাপ্পে দারুণ এক বল ধরে আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকে যান। তাকে ফাউল করেন আর্জেন্টিনা রক্ষণভাগের খেলোয়াড় রোহো। হলুদ কার্ড পান রোহো। ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটে গ্রিজমানই দলকে এগিয়ে দিলেন পেনাল্টি থেকে আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠিয়ে।
এবারের বিশ্বকাপে সব শঙ্কা উড়িয়ে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছিলো আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে ইউরোপের পরাশক্তি ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে হয় লাতিন আমেরিকার অন্যতম সেরা দল, সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
শেষ ম্যাচে দলের অধিনায়ক মেসির অসাধারণ পারফরম্যান্সে এবং মার্কোস রোহোর অনবদ্য গোলে নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করেছিলো আর্জেন্টিনা। এরআগে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে এবং পরের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন দুইবারের বিশ্বসেরা দলটির সমর্থকেরা।
এবার লড়াইটা আরও শক্ত ছিলো মেসির দলের কাছে। গ্রুপে সুযোগ থাকলেও নকআউট পর্বে এসে একটা ভুলই শেষ করে দিতে পারে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। ফলে প্রতিটা দলই এই পরিস্থিতিতে বেশ সচেতন। বিষয়টা ভালো মতোই জানেন ‘দ্য ম্যাজেশিয়ান’ খ্যাত তারকা মেসি। আর তাই গোটা দলকেই সামনের দিকে এগিয়ে চলার জন্য সংঘবদ্ধ করে দায়িত্ব নেয়ার কথা বলছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর শেষ রক্ষা হলো না। তাইতো ফ্রান্স-আর্জেন্টিনার ম্যাচ শেষে মেসিকে কিংকর্তব্য অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। একদিকে ফ্রান্স শিবিরে আনন্দ উল্লাস অপদিকে আর্জেন্টিনা শিবিরে হতাশার চরম ছাপ। আর মেসি একাকি দাঁড়িয়ে। যদিও কয়েক মিনিট পর সতীর্থ আর ফ্রান্স দলের খেলোয়ারগণ তার সাথে হাত মেলান, কেউবা হাক দেন।
ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা দুই দলই আত্মবিশ্বাসী ছিলো এই ম্যাচ থেকে জয় তুলে পরবর্তী রাউন্ডে যাবার বিষয়ে। আর তাইতো দু’দলকেই মড়িয়া হয়ে খেলতে দেখা যায়। এই দুই দলের ভাল খেলা বা মন্দ খেলা অনেকটাই নির্ভর করে পোগবা-গ্রিজমান এবং অন্য দিকে, মেসি-মাসচেরানোদের উপর। এই ম্যাচে সাম্প্রতিক ফর্মের ওপর বিচার করে হোর্হে সাম্পাওয়ালির সেরা একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন গঞ্জালো হিগুয়াইন। তার বদলে মূল একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ান পাভন। জাতীয় দলের হয়ে আট ম্যাচ খেলেছেন বোকা জুনিয়সের্র এই তারকা। তবে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা ম্যাচে তুলনামূলকভাবে ফ্রান্স অরেক ভালো খেলা উপহার দিয়েই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।