নিউইয়র্ক ০১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পারলেন না মুশকিফ, মুজিব-রানার জাদুতে শেষ হাসি বরিশালের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৩৯ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক : খুলনা টাইগার্সের সামনে লক্ষ্য ছিলো ১৪২। সেই লক্ষ্যে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন খুলনার ব্যাটসম্যানরা। শেষমেশ ফরচুন বরিশালের কাছে খুলনা হারলো ১৭ রানে। এক অভার বাকি থাকতেই খুলনা অলআউট ১২৪ রানেই।

ইনিংসের তৃতীয় বলেই ৫ রানএর মাথাতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। এবারের বিপিএলের নিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মুজিবুর রহমান নিজের তৃতীয় বলেই এই ওপেনারকে জিয়াউর রহমানের ক্যাচে পরিণত করেন।

এরপর মুজিবের স্পিন বিষের নীল হয়েছে খুলনার আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও। ফ্লেচারকে আউট করার ঠিক পরের বলেই এলবিডব্লিউইয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করেন সৌম্যকে। হ্যাট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করে ফেলেছিলেন এই আফগান স্পিনার।

সেই যে শুরু হলো ওপেনারদের দ্রুত বিদায় দিয়ে, সেখান থেকে আর ঘুরেই দাঁড়াতে পারলো না খুলনা। মুজিবুর রহমান যদিও পরে আর উইকেট পাননি। তবেঁ তার দিয়ে যাওয়া ধাক্কাটা আর সামলে ওঠা হয়নি খুলনার।

স্কোরবোর্ডে ৪০ রান তুলতেই নেই ৪ উইকেট। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ করেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিক আর ইয়াসির আলী। তবে ৪৬ রানের জুটি গড়ার পর আউট হয়ে যান ইয়াসিরও। তবে মুশফিক লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন একাই। ১০৮ রানের মাথায় থিসারা পেরেরা যখন আউট হয়ে যান খুলনা তখনও জয় থেকে ৩২ রান দূরে। তবে মুশফিক যেভাবে খেলছিলেন তাতে তখনও আশা ছিলো খুলনার ভক্ত সমর্থকদের জন্য।

মুশফিক যেখানে আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলেন অন্যরা এসে সেটি নেভাতে ব্যস্ত ছিলেন বেশি। সিকুগে প্রসন্ন, ফরহাদ রেজা আর শরীফুল্লাহ কেউই দাড়াতে পারেননি মুশফিকের সাথী হিসাবে।

১৯ তম ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসাবে শরীফুল্লাহ যখন আউট হন তখনও ৭ বলে ১৮ রান লাগতো খুলনার। কিন্তু ঠিক পরের বলেই সব হিসাব নিকাশ উলটে আউট হয়ে যান মুশফিক নিজেই।

আর মুজিবুর রহমান যেমন শুরুটা করেছিলেন, সেখানেই যেন শেষ করলেন পেসার মেহেদী হাসান রানা। ১৯ তম ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন এই তরুণ পেসার।

এদিকে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এক গেইলের ৩৪ বলে ৪৫ আর তৌহিদ হৃদয়ের ২১ বলে ২৩ ছাড়া বলার মতো ইনিংস ছিলো না কারো। তাদের ইনিংসে ভর করেই খুলনার সামনে ১৪২ রানের লক্ষ্য দিতে পারে বরিশাল।

তবে বরিশালের দুই বোলার মুজিবুর আর রানার কারণে সেই লক্ষ্যই পাহাড়সম হয়ে যায় খুলনার জন্য। যে পাহাড় আর পেরোনো হয়নি তাদের। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়েই ৪ উইকেট তুলে নেয়ায় ম্যাচসেরার পুরষ্কারটাও উঠেছে বরিশালের বোলার মেহেদী হাসান রানার হাতে।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পারলেন না মুশকিফ, মুজিব-রানার জাদুতে শেষ হাসি বরিশালের

প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : খুলনা টাইগার্সের সামনে লক্ষ্য ছিলো ১৪২। সেই লক্ষ্যে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন খুলনার ব্যাটসম্যানরা। শেষমেশ ফরচুন বরিশালের কাছে খুলনা হারলো ১৭ রানে। এক অভার বাকি থাকতেই খুলনা অলআউট ১২৪ রানেই।

ইনিংসের তৃতীয় বলেই ৫ রানএর মাথাতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। এবারের বিপিএলের নিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মুজিবুর রহমান নিজের তৃতীয় বলেই এই ওপেনারকে জিয়াউর রহমানের ক্যাচে পরিণত করেন।

এরপর মুজিবের স্পিন বিষের নীল হয়েছে খুলনার আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও। ফ্লেচারকে আউট করার ঠিক পরের বলেই এলবিডব্লিউইয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করেন সৌম্যকে। হ্যাট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করে ফেলেছিলেন এই আফগান স্পিনার।

সেই যে শুরু হলো ওপেনারদের দ্রুত বিদায় দিয়ে, সেখান থেকে আর ঘুরেই দাঁড়াতে পারলো না খুলনা। মুজিবুর রহমান যদিও পরে আর উইকেট পাননি। তবেঁ তার দিয়ে যাওয়া ধাক্কাটা আর সামলে ওঠা হয়নি খুলনার।

স্কোরবোর্ডে ৪০ রান তুলতেই নেই ৪ উইকেট। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ করেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিক আর ইয়াসির আলী। তবে ৪৬ রানের জুটি গড়ার পর আউট হয়ে যান ইয়াসিরও। তবে মুশফিক লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন একাই। ১০৮ রানের মাথায় থিসারা পেরেরা যখন আউট হয়ে যান খুলনা তখনও জয় থেকে ৩২ রান দূরে। তবে মুশফিক যেভাবে খেলছিলেন তাতে তখনও আশা ছিলো খুলনার ভক্ত সমর্থকদের জন্য।

মুশফিক যেখানে আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলেন অন্যরা এসে সেটি নেভাতে ব্যস্ত ছিলেন বেশি। সিকুগে প্রসন্ন, ফরহাদ রেজা আর শরীফুল্লাহ কেউই দাড়াতে পারেননি মুশফিকের সাথী হিসাবে।

১৯ তম ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসাবে শরীফুল্লাহ যখন আউট হন তখনও ৭ বলে ১৮ রান লাগতো খুলনার। কিন্তু ঠিক পরের বলেই সব হিসাব নিকাশ উলটে আউট হয়ে যান মুশফিক নিজেই।

আর মুজিবুর রহমান যেমন শুরুটা করেছিলেন, সেখানেই যেন শেষ করলেন পেসার মেহেদী হাসান রানা। ১৯ তম ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন এই তরুণ পেসার।

এদিকে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এক গেইলের ৩৪ বলে ৪৫ আর তৌহিদ হৃদয়ের ২১ বলে ২৩ ছাড়া বলার মতো ইনিংস ছিলো না কারো। তাদের ইনিংসে ভর করেই খুলনার সামনে ১৪২ রানের লক্ষ্য দিতে পারে বরিশাল।

তবে বরিশালের দুই বোলার মুজিবুর আর রানার কারণে সেই লক্ষ্যই পাহাড়সম হয়ে যায় খুলনার জন্য। যে পাহাড় আর পেরোনো হয়নি তাদের। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়েই ৪ উইকেট তুলে নেয়ায় ম্যাচসেরার পুরষ্কারটাও উঠেছে বরিশালের বোলার মেহেদী হাসান রানার হাতে।
হককথা/এমউএ