৭ বছর আগের কথা। সেনেগাল ফুটবল দলে যোগ দিয়ে কালিদু কুলিবালি বলেছিলেন, ‘সেনেগালের ফুটবলের ভবিষ্যত রচনা করতে চাই এবং আমার বিশ্বাস এটা আমি পারবো।’ কুলিবালির সেই সংকল্প এখন সেনেগালিজদের জন্য মধুর বাস্তবতা। ২০ বছর পর বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলতে যাচ্ছে সেনেগাল। আর সেটা সম্ভব হলো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কুলিবালির প্রথম গোলের সুবাদে।
তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ফ্রান্সে। সেনেগালিজ মাতা-পিতার কারণে সুযোগ ছিল আফ্রিকান দেশটির হয়ে খেলারও। বয়সভিত্তিক ফুটবলে ফ্রান্সের জার্সি গায়ে জড়ান কালিদু কুলিবালি। ২০১১তে কলম্বিয়ায় অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের হয়ে ৬ ম্যাচ খেলেন এ সেন্টার ডিফেন্ডার। কিন্তু পরে মন বদলান তিনি। ২০১৫’র সেপ্টেম্বরে নাম লেখান সেনেগাল জাতীয় ফুটবল দলে। যদিও একই সময়ে তাকে দলে ডেকেছিলেন ফ্রান্স ফুটবল দলের কোচ দিদিয়ের দেশম।
কিন্তু কুলিবালি বেছে নেন নিজের শিকড়ের দেশ সেনেগালকে। তখন নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে কালিদু কুলিবালি বলেছিলেন, ‘আমার মনে কোনো খেদ নেই কারণ আমি সেনেগালের ফুটবলের ভবিষ্যত রচনা করতে চাই এবং আমার আশা এটা আমি পারবো।’
গতকাল সংকট সময়ে দলকে গোল উপহার দেন কালিদু কুলিবালি। অথচ তার কাছে গোলের প্রত্যাশাই হয়তো ছিল না ভক্ত-সমর্থকদের। ২০১৫ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর সেনেগালের জার্সি গায়ে অভিষেক হয় কালিদু কুলিবালির। নাপোলি, চেলসির মতো বিশ্বসেরা ক্লাবগুলোতে সদর্পে খেলে যাওয়া কুলিবালি জাতীয় দলের হয়ে এরই মধ্যে খেলে নিয়েছেন ৬৭ ম্যাচ। তবে সেনেগালের হয়ে তিনি গোলের দেখা পেলেন জীবনে প্রথমবার। গতকাল দোহার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে পেনাল্টি গোলে সেনেগালকে এগিয়ে নেন ইসমাইলা সার। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে জোর দেয় ইকুয়েডর। ৬৭তম মিনিটে গোল নিয়ে সমতায়ও ফেরে সাউথ আমেরিকান জায়ান্টরা। কিন্তু ইকুয়েডোরিয়ানদের উল্লাস স্থায়ী হয় ৩ মিনিটেরও কম। ৭০তম মিনিটে গোল পান কুলিবালি। আর শেষ ষোলোর টিকিট নিয়ে স্বপ্ন বড় হয় সেনেগালিজদের।