নিউইয়র্ক ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গোপালপুরে ফুটবল রানি কৃষ্ণার গ্রামে জয়োল্লাস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৭১ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক : সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবার শিরোপা জিতল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে জোড়া গোল করা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রাণী সরকার টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর পাথালিয়া গ্রামের বাসুদেব সরকার চন্দ্র ও নমিতা রাণী সরকার দম্পত্তির মেয়ে।

কৃষ্ণার গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জয়োল্লাস। ছোট বড় সকলের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। নিভৃত পল্লী গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে খেলার খবর। সবাই গর্ব করে বলে বেড়াচ্ছেন, তিন গোলের মধ্যে ২ গোলই করেছে আমাদের কৃষ্ণা। নানা প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অবিচল লক্ষ্য, অদম্য মনোবল, প্রবল ইচ্ছা ও দৃঢ়সংকল্পকে সঙ্গী করে কৃষ্ণা রাণী পারি দিয়েছে স্বপ্নপূরণের পথ।

তবে বাড়িতে (লোডশেডিং) বিদ্যুৎ না থাকায় তার মা নমিতা রাণী সরকার মেয়ের খেলা দেখতে পারেননি। বাবা খেলা দেখেছেন অন্য গ্রামে গিয়ে। বোনের ভালো খেলার জন্য ভাই পলাশ সরকার সারা দিন উপবাস ছিলেন।

কৃষ্ণার মা নমিতা রাণী সরকার জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে পারিনি। খেলা শেষে ছেলের মোবাইল ফোনে জয়ের কথা জেনে খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমার মেয়ের ফুটবল খেলা নিয়ে যারা এক সময় কটাক্ষ করত, তারাই এখন অভিনন্দন জানাচ্ছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

কৃষ্ণার বাবা বাসুদেব সরকার জানান, বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় পাশের গ্রামে গিয়ে খেলা দেখে দারুণ খুশি হয়েছি। এলাকার মানুষ খেলা উপভোগ করেছে। অনেকেই আনন্দে বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে আসছে।

পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মাজহারুল ইসলাম জানান, এখানে বিদ্যুতের ইউনিট কম পাওয়া যায়। তাই মাঝে মাঝে এলাকা ভিত্তিক সংযোগ বন্ধ রাখতে হয়। সে কারণে হয়তো ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিক জানান, কৃষ্ণা এখন বাংলাদেশের গর্ব। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তার উত্থান শুরু। দেশে ফেরার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এর আগে কৃষ্ণার মাকে রত্নগর্ভা সম্মাননা দিয়েছি।

হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গোপালপুরে ফুটবল রানি কৃষ্ণার গ্রামে জয়োল্লাস

প্রকাশের সময় : ০২:০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবার শিরোপা জিতল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে জোড়া গোল করা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রাণী সরকার টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর পাথালিয়া গ্রামের বাসুদেব সরকার চন্দ্র ও নমিতা রাণী সরকার দম্পত্তির মেয়ে।

কৃষ্ণার গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জয়োল্লাস। ছোট বড় সকলের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। নিভৃত পল্লী গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে খেলার খবর। সবাই গর্ব করে বলে বেড়াচ্ছেন, তিন গোলের মধ্যে ২ গোলই করেছে আমাদের কৃষ্ণা। নানা প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অবিচল লক্ষ্য, অদম্য মনোবল, প্রবল ইচ্ছা ও দৃঢ়সংকল্পকে সঙ্গী করে কৃষ্ণা রাণী পারি দিয়েছে স্বপ্নপূরণের পথ।

তবে বাড়িতে (লোডশেডিং) বিদ্যুৎ না থাকায় তার মা নমিতা রাণী সরকার মেয়ের খেলা দেখতে পারেননি। বাবা খেলা দেখেছেন অন্য গ্রামে গিয়ে। বোনের ভালো খেলার জন্য ভাই পলাশ সরকার সারা দিন উপবাস ছিলেন।

কৃষ্ণার মা নমিতা রাণী সরকার জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে পারিনি। খেলা শেষে ছেলের মোবাইল ফোনে জয়ের কথা জেনে খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমার মেয়ের ফুটবল খেলা নিয়ে যারা এক সময় কটাক্ষ করত, তারাই এখন অভিনন্দন জানাচ্ছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

কৃষ্ণার বাবা বাসুদেব সরকার জানান, বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় পাশের গ্রামে গিয়ে খেলা দেখে দারুণ খুশি হয়েছি। এলাকার মানুষ খেলা উপভোগ করেছে। অনেকেই আনন্দে বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে আসছে।

পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মাজহারুল ইসলাম জানান, এখানে বিদ্যুতের ইউনিট কম পাওয়া যায়। তাই মাঝে মাঝে এলাকা ভিত্তিক সংযোগ বন্ধ রাখতে হয়। সে কারণে হয়তো ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিক জানান, কৃষ্ণা এখন বাংলাদেশের গর্ব। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তার উত্থান শুরু। দেশে ফেরার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এর আগে কৃষ্ণার মাকে রত্নগর্ভা সম্মাননা দিয়েছি।

হককথা/এমউএ