নিউইয়র্ক ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কে এই রামোস?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩০ বার পঠিত

অনেকের কাছে গনসালো রামোস এখন সেই ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত যিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জায়গায় খেলতে নেমে পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেছেন। ২১ বছরের এই প্লেয়ারকে নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা ফুটবল দুনিয়া। অথচ এবারের বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর ম্যাচের আগে আন্তর্জাতিক স্তরে তাকে তেমন একটা চিনত না কেউই।

অনলাইন মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তার বিস্ময়কর অন্তর্ভুক্তির আগে এই ফরোয়ার্ড শুধুমাত্র তার দেশের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে রোনালদোর প্রতিক্রিয়া ম্যানেজার ফার্নান্দো সান্তোসকে ক্ষুব্ধ করেছিল, যিনি সুইজারল্যান্ডের সাথে শেষ ১৬-এর লড়াইয়ে রোনালদোর জায়গায় ২১ বছর বয়সী এই তরুণকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রামোস শুধুমাত্র একটি আন্তর্জাতিক গোল অর্জন করেছিলেন, যা নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ থেকে এসেছিল। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপের ময়দানে সুইসের বিরুদ্ধে তার হ্যাটট্রিক ইতিহাসে তার নামটি খোদাই করে রাখবে ।

তিনি বর্তমানে বেনফিকার ক্লাবের সাথে তার সেরা মরশুম উপভোগ করছেন, পর্তুগিজ দলের হয়ে ২১ টি আউটিংয়ে ১৪ বার গোল করেছেন। তাকে বেনফিকার উজ্জ্বলতম ভবিষ্যত হিসেবে দেখা হচ্ছে। অ্যানফিল্ডে স্ট্রাইক সহ বেনফিকার হয়ে গত মেয়াদে তিনি ৪৬ টি ম্যাচে ৮ বার গোল করেছিলেন। বেনফিকার প্রস্তুতি পর্ব থেকে বিশ্বকাপের লড়াইয়ের মঞ্চে দুরন্ত ট্রান্সফর্মেশন তার। এদিনের পর ইউরোপে খুব দ্রুত নাম করতে চলেছেন তরুণ তুর্কি।

সান্তোস তার স্কোয়াডে এই তরুণকে অন্তর্ভুক্ত করে বলেছিলো “আমাদের তালিকাটি খেলোয়াড়দের গুণাবলী এবং সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে ছিল।” রামোসের প্রথম আন্তর্জাতিক খ্যাতি ২০১৯ এ। তিনি অনূর্ধ্ব- ১৯ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ গোলের মালিক ছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে বেনফিকাতে যোগ দেন। সেই বছর তিনি উয়েফা যুব লীগেও দক্ষতা অর্জন করেছিলেন কারণ তিনি বেনফিকাকে ফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিলেন, যেখানে তারা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছিল, যদিও তিনি আট গোল করে যৌথ-শীর্ষ স্কোরার হিসাবে শেষ করেছিলেন। যা দেখে নেলসন ভেরিসিমো, যিনি জানুয়ারিতে রামোসকে বি দলে কোচিং করিয়েছিলেন এবং অবিলম্বে তাকে নিয়মিত দলে নিয়ে আসেন। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের সামনে মরক্কো। স্পেনের বিরুদ্ধে সকলকে চমকে দিয়ে তারা প্রথমবারের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কে এই রামোস?

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

অনেকের কাছে গনসালো রামোস এখন সেই ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত যিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জায়গায় খেলতে নেমে পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেছেন। ২১ বছরের এই প্লেয়ারকে নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা ফুটবল দুনিয়া। অথচ এবারের বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর ম্যাচের আগে আন্তর্জাতিক স্তরে তাকে তেমন একটা চিনত না কেউই।

অনলাইন মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তার বিস্ময়কর অন্তর্ভুক্তির আগে এই ফরোয়ার্ড শুধুমাত্র তার দেশের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে রোনালদোর প্রতিক্রিয়া ম্যানেজার ফার্নান্দো সান্তোসকে ক্ষুব্ধ করেছিল, যিনি সুইজারল্যান্ডের সাথে শেষ ১৬-এর লড়াইয়ে রোনালদোর জায়গায় ২১ বছর বয়সী এই তরুণকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রামোস শুধুমাত্র একটি আন্তর্জাতিক গোল অর্জন করেছিলেন, যা নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ থেকে এসেছিল। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপের ময়দানে সুইসের বিরুদ্ধে তার হ্যাটট্রিক ইতিহাসে তার নামটি খোদাই করে রাখবে ।

তিনি বর্তমানে বেনফিকার ক্লাবের সাথে তার সেরা মরশুম উপভোগ করছেন, পর্তুগিজ দলের হয়ে ২১ টি আউটিংয়ে ১৪ বার গোল করেছেন। তাকে বেনফিকার উজ্জ্বলতম ভবিষ্যত হিসেবে দেখা হচ্ছে। অ্যানফিল্ডে স্ট্রাইক সহ বেনফিকার হয়ে গত মেয়াদে তিনি ৪৬ টি ম্যাচে ৮ বার গোল করেছিলেন। বেনফিকার প্রস্তুতি পর্ব থেকে বিশ্বকাপের লড়াইয়ের মঞ্চে দুরন্ত ট্রান্সফর্মেশন তার। এদিনের পর ইউরোপে খুব দ্রুত নাম করতে চলেছেন তরুণ তুর্কি।

সান্তোস তার স্কোয়াডে এই তরুণকে অন্তর্ভুক্ত করে বলেছিলো “আমাদের তালিকাটি খেলোয়াড়দের গুণাবলী এবং সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে ছিল।” রামোসের প্রথম আন্তর্জাতিক খ্যাতি ২০১৯ এ। তিনি অনূর্ধ্ব- ১৯ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ গোলের মালিক ছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে বেনফিকাতে যোগ দেন। সেই বছর তিনি উয়েফা যুব লীগেও দক্ষতা অর্জন করেছিলেন কারণ তিনি বেনফিকাকে ফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিলেন, যেখানে তারা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছিল, যদিও তিনি আট গোল করে যৌথ-শীর্ষ স্কোরার হিসাবে শেষ করেছিলেন। যা দেখে নেলসন ভেরিসিমো, যিনি জানুয়ারিতে রামোসকে বি দলে কোচিং করিয়েছিলেন এবং অবিলম্বে তাকে নিয়মিত দলে নিয়ে আসেন। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের সামনে মরক্কো। স্পেনের বিরুদ্ধে সকলকে চমকে দিয়ে তারা প্রথমবারের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছেন।