নিউইয়র্ক ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এমন সেঞ্চুরি দেখেননি লিটন মার খেয়েও মুগ্ধ ক্যাম্ফার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / ১০৩ বার পঠিত

মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো সেঞ্চুরির স্বাক্ষী হয়ে থাকবে রেকর্ড বই। ম্যাচটি যারা দেখেছেন, তাদের চোখে লেগে থাকবে তার খেলার ধরন। লিটন কুমার দাস যেমন। বাংলাদেশ দলে প্রায় ৮ বছরের পথচলায় শেষ দিকে নেমে এমন বিধ্বংসী সেঞ্চুরি আর চোখে পড়েনি তার। লিটন নিজেও এই ম্যাচে দারুণ খেলেছেন। শুরুতে সহায়ক কন্ডিশনে আয়ারল্যান্ডের পেসারদের সুইং বোলিংয়ে কিছুটা সাবধানী শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে রান ছিল তার ২২ বলে ৬। পরে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পুষিয়ে দেন রান-বলের ঘাটতি। শেষ পর্যন্ত আলগা শটে আউট হন ৭১ বলে ৭০ রান করে।

তার সামনে সেঞ্চুরির হাতছানি থাকলেও পারেননি। মুশফিক যখন উইকেটে যান, সেখান থেকে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের বাস্তবতায় ভীষণ কঠিন। ৩৩ ওভারের পর ক্রিজে গিয়ে সেঞ্চুরি করতে পারেননি এদেশের কেউ। মুশফিক এবার সেটিই করে দেখালেন। ৩৩ বলে যখন ফিফটিতে পা রাখলেন, ওভার বাকি আছে তখন আর ৭টি। পরের ফিফটিতে পৌঁছে গেলেন তিনি স্রেফ ২৭ বলে। ৬০ বলে ১০০ ছুঁতে গড়লেন তিনি বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। পরে ম্যাচের বাকিটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে লিটন বললেন, এমন ইনিংস দেখা তার জন্য নতুন কিছু, ‘সত্যি কথা বলতে আমি যতদিন খেলছি, বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ই এভাবে শেষের দিকে গিয়ে ১০০ করেনি। যখন দল থেকে কেউ এরকম একটা সেঞ্চুরি করে, দেখলে অনেক ভালো লাগে। সিনিয়ররা কেউ করলে তো আরও ভালো লাগে।’

আরোও পড়ুন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

আগামী বিশ্বকাপে তাকিয়ে এই সিরিজ থেকেই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ দল। সেই পালায় এবার নতুন ভূমিকা পেয়েছেন মুশফিক। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তিনি ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ৬ বছরের বেশি সময় আর ৭৫ ইনিংস পর। সেদিন ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। সেই ম্যাচের অসমাপ্ত কাজ পূরণ করে দিলেন দ্বিতীয় ম্যাচে। প্রথম ম্যাচে ৩৩৮ রানের রেকর্ড গড়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে সেই স্কোর ছাড়িয়ে গড়ে ৩৪৯ রানের নতুন রেকর্ড। লিটন বললেন, মুশফিকের ব্যাটিংই বড় পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের স্কোরে, ‘মুশফিক ভাইয়ের শুধু আজকের (সেমাবার) ইনিংস না, শেষ ম্যাচের ইনিংসটা যদি দেখেন, আমার মনে হয় অসাধারণ ছিল। যদিও রান বেশি নয়, ৪০ বা এরকম ছিল। এটাই কিন্তু বড় ভূমিকা রাখে তিনশর বেশি রান করতে। ম্যাচের চিত্রই তো বদলে দিয়েছে মুশফিক ভাইয়ের ইনিংসটা।’

ম্যাচে কার্টিস ক্যাম্ফারের ওপরই সবচেয়ে বেশি ঝড় বইয়ে দেন মুশফিক। রেকর্ড গড়া এই ইনিংসে আইরিশ অলরাউন্ডারের ১৫ বল থেকে ২৯ রান নিয়েছেন মুশফিক। প্রথম ছক্কার পর আইরিশ অলরাউন্ডারের বলে মারেন আরও পাঁচটি চার। তার বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন মুশফিক। পরে আইরিশ অলরাউন্ডারও বললেন, মুশফিকের ক্লাস সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন তিনি, ‘আমার মতে, (মুশফিকের ইনিংস বর্ণনা করার জন্য) সঠিক শব্দটা হবে খুবই ইমপ্যাক্টফুল ইনিংস। সে ক্লাস ক্রিকেটার। সে দেখিয়েছে কেন সে এত দিন ধরে এত ভালো করছে। সে যেভাবে খেলাটি প্রভাবিত করেছে, উইকেটে গিয়েই স্বাধীনভাবে ব্যাটিং করেছে, কিছু দৃষ্টিনন্দন শট, কিছু উদ্ভাবনী শট খেলেছে- বাংলাদেশের জন্য যা খুব ভালো ছিল।’ সিরিজের প্রথম ম্যাচেও রুদ্রমূর্তি দেখা যায় মুশফিকের ব্যাটে। সেদিন ৩টি করে চার-ছয়ে ১৬৯.২৩ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ২৬ বলে করেন ৪৪ রান। সিরিজের শেষ ম্যাচে তাকে দ্রুত ফেরানোর আশা ক্যাম্ফারের, ‘সে আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। দুই ম্যাচে সে এটি করল। সে অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ক্রিকেটার। আশা করি, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তার স্কিলের সঙ্গে লড়াই করার পথ খুঁজে পাব।’ সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এমন সেঞ্চুরি দেখেননি লিটন মার খেয়েও মুগ্ধ ক্যাম্ফার

প্রকাশের সময় : ০২:৪০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো সেঞ্চুরির স্বাক্ষী হয়ে থাকবে রেকর্ড বই। ম্যাচটি যারা দেখেছেন, তাদের চোখে লেগে থাকবে তার খেলার ধরন। লিটন কুমার দাস যেমন। বাংলাদেশ দলে প্রায় ৮ বছরের পথচলায় শেষ দিকে নেমে এমন বিধ্বংসী সেঞ্চুরি আর চোখে পড়েনি তার। লিটন নিজেও এই ম্যাচে দারুণ খেলেছেন। শুরুতে সহায়ক কন্ডিশনে আয়ারল্যান্ডের পেসারদের সুইং বোলিংয়ে কিছুটা সাবধানী শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে রান ছিল তার ২২ বলে ৬। পরে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পুষিয়ে দেন রান-বলের ঘাটতি। শেষ পর্যন্ত আলগা শটে আউট হন ৭১ বলে ৭০ রান করে।

তার সামনে সেঞ্চুরির হাতছানি থাকলেও পারেননি। মুশফিক যখন উইকেটে যান, সেখান থেকে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের বাস্তবতায় ভীষণ কঠিন। ৩৩ ওভারের পর ক্রিজে গিয়ে সেঞ্চুরি করতে পারেননি এদেশের কেউ। মুশফিক এবার সেটিই করে দেখালেন। ৩৩ বলে যখন ফিফটিতে পা রাখলেন, ওভার বাকি আছে তখন আর ৭টি। পরের ফিফটিতে পৌঁছে গেলেন তিনি স্রেফ ২৭ বলে। ৬০ বলে ১০০ ছুঁতে গড়লেন তিনি বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। পরে ম্যাচের বাকিটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে লিটন বললেন, এমন ইনিংস দেখা তার জন্য নতুন কিছু, ‘সত্যি কথা বলতে আমি যতদিন খেলছি, বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ই এভাবে শেষের দিকে গিয়ে ১০০ করেনি। যখন দল থেকে কেউ এরকম একটা সেঞ্চুরি করে, দেখলে অনেক ভালো লাগে। সিনিয়ররা কেউ করলে তো আরও ভালো লাগে।’

আরোও পড়ুন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

আগামী বিশ্বকাপে তাকিয়ে এই সিরিজ থেকেই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ দল। সেই পালায় এবার নতুন ভূমিকা পেয়েছেন মুশফিক। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তিনি ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ৬ বছরের বেশি সময় আর ৭৫ ইনিংস পর। সেদিন ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। সেই ম্যাচের অসমাপ্ত কাজ পূরণ করে দিলেন দ্বিতীয় ম্যাচে। প্রথম ম্যাচে ৩৩৮ রানের রেকর্ড গড়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে সেই স্কোর ছাড়িয়ে গড়ে ৩৪৯ রানের নতুন রেকর্ড। লিটন বললেন, মুশফিকের ব্যাটিংই বড় পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের স্কোরে, ‘মুশফিক ভাইয়ের শুধু আজকের (সেমাবার) ইনিংস না, শেষ ম্যাচের ইনিংসটা যদি দেখেন, আমার মনে হয় অসাধারণ ছিল। যদিও রান বেশি নয়, ৪০ বা এরকম ছিল। এটাই কিন্তু বড় ভূমিকা রাখে তিনশর বেশি রান করতে। ম্যাচের চিত্রই তো বদলে দিয়েছে মুশফিক ভাইয়ের ইনিংসটা।’

ম্যাচে কার্টিস ক্যাম্ফারের ওপরই সবচেয়ে বেশি ঝড় বইয়ে দেন মুশফিক। রেকর্ড গড়া এই ইনিংসে আইরিশ অলরাউন্ডারের ১৫ বল থেকে ২৯ রান নিয়েছেন মুশফিক। প্রথম ছক্কার পর আইরিশ অলরাউন্ডারের বলে মারেন আরও পাঁচটি চার। তার বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন মুশফিক। পরে আইরিশ অলরাউন্ডারও বললেন, মুশফিকের ক্লাস সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন তিনি, ‘আমার মতে, (মুশফিকের ইনিংস বর্ণনা করার জন্য) সঠিক শব্দটা হবে খুবই ইমপ্যাক্টফুল ইনিংস। সে ক্লাস ক্রিকেটার। সে দেখিয়েছে কেন সে এত দিন ধরে এত ভালো করছে। সে যেভাবে খেলাটি প্রভাবিত করেছে, উইকেটে গিয়েই স্বাধীনভাবে ব্যাটিং করেছে, কিছু দৃষ্টিনন্দন শট, কিছু উদ্ভাবনী শট খেলেছে- বাংলাদেশের জন্য যা খুব ভালো ছিল।’ সিরিজের প্রথম ম্যাচেও রুদ্রমূর্তি দেখা যায় মুশফিকের ব্যাটে। সেদিন ৩টি করে চার-ছয়ে ১৬৯.২৩ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ২৬ বলে করেন ৪৪ রান। সিরিজের শেষ ম্যাচে তাকে দ্রুত ফেরানোর আশা ক্যাম্ফারের, ‘সে আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। দুই ম্যাচে সে এটি করল। সে অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ক্রিকেটার। আশা করি, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তার স্কিলের সঙ্গে লড়াই করার পথ খুঁজে পাব।’ সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা