নিউইয়র্ক ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক যুগেও উপ-সাধারণ সম্পাদকের শূন্য পদ পূরণ করেনি বাফুফে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৪ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক : গঠনতন্ত্রে উপ-সাধারণ সম্পাদক পদ থাকলেও গত একযুগে সে স্থান পূরণ করেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কাজী সালাউদ্দিনের চলতি মেয়াদের প্রথম বছরেই উপ-সাধারণ সম্পাদক নিয়োগের জন্য নির্বাহী সভায় সিদ্ধান্তও হয়েছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল বাফুফে। নতুন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ইমরান হোসেনের ওই পদে স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। প্রায় দেড় যুগ ধরে এভাবেই চলছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। গত ১৪ই এপ্রিল সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্ব ফুটবল সংস্থা (ফিফা)। এরপর কেটেছে তিন দিন। দাপ্তরিক কার্যক্রম করার ছিলেন না কেউই। যদিও সোমবার সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের একান্ত সহকারী ইমরান হোসেন তুষারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

২০০৮ সালের আগে মূলত নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকই বাফুফের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ওই বছর গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের বদলে পেশাদার সাধারণ সম্পাদক পদ সৃষ্টি করা হয়। এই পদের ব্যক্তিটি এএফসির বেতনভুক্ত হন। এর আগে ফুটবল ফেডারেশনে নব্বইয়ের দশকে দুটি যুগ্ম সম্পাদক পদও ছিল। ২০০৮ সালের গঠনতন্ত্রে ডেপুটি ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক নামে দুটি বেতনভুক্ত পদের কথা উল্লেখ রয়েছে। উপ-সাধারণ সম্পাদকের বিষয়টি বলা হয়েছে বাফুফের গঠনতন্ত্রের ৬১ নম্বর অনুচ্ছেদে। অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সাধারণ সম্পাদকের দৈনন্দিন যাবতীয় কাজে সহায়তা করবেন উপ-সাধারণ সম্পাদক।

আরোও পড়ুন । সালাউদ্দিন-মুর্শেদীর অপসারণ চান ফুটবলপ্রেমীরা

এছাড়া সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করবেন উপ-সাধারণ সম্পাদক, এটাই নিয়ম। উপ-সাধারণ সম্পাদক একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ ও সম্মানীর ভিত্তিতে বাফুফে নির্বাহী কমিটি কর্তৃক মনোনীত হবেন। ২০০৮ সালে গঠনতন্ত্রে এটি থাকলেও আল মুসাব্বির সাদীর মৃত্যুর পর এবং আবু নাঈম সোহাগের নিষেধাজ্ঞার পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় পড়তে হয় বাফুফেকে। সোহাগকে পূর্ণ দায়িত্ব দিলেও গত এক দশকে তার সহকারী হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়নি বাফুফে। যার খেসারত দিতে হয়েছে ফিফা থেকে সোহাগ নিষিদ্ধ হলে। এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই পদে (উপ-সাধারণ সম্পাদক) নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। আমরা নির্বাহী কমিটি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নিয়েছিলাম। যদিও পরে তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারলে এখন এমন সংকটে আমরা পরতাম না। সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এক যুগেও উপ-সাধারণ সম্পাদকের শূন্য পদ পূরণ করেনি বাফুফে

প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক : গঠনতন্ত্রে উপ-সাধারণ সম্পাদক পদ থাকলেও গত একযুগে সে স্থান পূরণ করেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কাজী সালাউদ্দিনের চলতি মেয়াদের প্রথম বছরেই উপ-সাধারণ সম্পাদক নিয়োগের জন্য নির্বাহী সভায় সিদ্ধান্তও হয়েছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল বাফুফে। নতুন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ইমরান হোসেনের ওই পদে স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। প্রায় দেড় যুগ ধরে এভাবেই চলছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। গত ১৪ই এপ্রিল সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্ব ফুটবল সংস্থা (ফিফা)। এরপর কেটেছে তিন দিন। দাপ্তরিক কার্যক্রম করার ছিলেন না কেউই। যদিও সোমবার সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের একান্ত সহকারী ইমরান হোসেন তুষারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

২০০৮ সালের আগে মূলত নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকই বাফুফের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ওই বছর গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের বদলে পেশাদার সাধারণ সম্পাদক পদ সৃষ্টি করা হয়। এই পদের ব্যক্তিটি এএফসির বেতনভুক্ত হন। এর আগে ফুটবল ফেডারেশনে নব্বইয়ের দশকে দুটি যুগ্ম সম্পাদক পদও ছিল। ২০০৮ সালের গঠনতন্ত্রে ডেপুটি ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক নামে দুটি বেতনভুক্ত পদের কথা উল্লেখ রয়েছে। উপ-সাধারণ সম্পাদকের বিষয়টি বলা হয়েছে বাফুফের গঠনতন্ত্রের ৬১ নম্বর অনুচ্ছেদে। অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সাধারণ সম্পাদকের দৈনন্দিন যাবতীয় কাজে সহায়তা করবেন উপ-সাধারণ সম্পাদক।

আরোও পড়ুন । সালাউদ্দিন-মুর্শেদীর অপসারণ চান ফুটবলপ্রেমীরা

এছাড়া সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করবেন উপ-সাধারণ সম্পাদক, এটাই নিয়ম। উপ-সাধারণ সম্পাদক একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ ও সম্মানীর ভিত্তিতে বাফুফে নির্বাহী কমিটি কর্তৃক মনোনীত হবেন। ২০০৮ সালে গঠনতন্ত্রে এটি থাকলেও আল মুসাব্বির সাদীর মৃত্যুর পর এবং আবু নাঈম সোহাগের নিষেধাজ্ঞার পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় পড়তে হয় বাফুফেকে। সোহাগকে পূর্ণ দায়িত্ব দিলেও গত এক দশকে তার সহকারী হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়নি বাফুফে। যার খেসারত দিতে হয়েছে ফিফা থেকে সোহাগ নিষিদ্ধ হলে। এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই পদে (উপ-সাধারণ সম্পাদক) নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। আমরা নির্বাহী কমিটি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নিয়েছিলাম। যদিও পরে তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারলে এখন এমন সংকটে আমরা পরতাম না। সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা