নিউইয়র্ক ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮
  • / ৮৪২ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: স্বপ্নের ফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। বহু অপেক্ষার পর বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠার স্বপ্ন পুরণ করেছে ক্রোয়েটরা। বিশ্বকাপের সেরা মঞ্চে জায়গা পেয়েছে। রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলে এই লজুনিকির মাঠেই ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফ্রান্স মুখোমুখি হবে। বুধবার (১১ জুলাই) রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে ২-১ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে জায়গা পেল ডেবর সুকরের দল ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হয়। ৩০ মিনিটের অতিরিক্তি সময়ের দ্বিতীয় পর্বে মারিও মানজুকিকের বা পায়েল গোল ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তুলে দেয়। বিদায় করে দেয় ইংল্যান্ড ফুটবল দলকে।

লজুনিকির মাঠে খুব সংখ্যক ক্রোয়েটরা ছিলেন। তারাই ছিলেন দলের সবচেয়ে বড় শক্তি। গোল হজম করেও তারা রাকিটিচ, মডরিকদের পাশে ছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন ভালো কিছু হবেই। মর্ডিকরা তাদের সমর্থকদের হাতে ফাইনালে আসার আমন্ত্রণ পত্র দিয়েছে। আবার আসো ফাইনালে আমরা খেলব।
৬৬ বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর কখনো ফাইনালের ধারে কাছেও যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৬৬র পর আবার ফাইনালে উঠার সুযোগ পেয়েছিল। অর্ধ শতাব্দী কেটে গেলেও বার বার এই ইংল্যান্ডকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল বিশ্বকাপ হতে। ইংলিশদের ভাবনা ছিল এবার বোধহয় ঈশ্বর তাদের দিকে ফিরে তাকিয়েছে।
নতুন প্রজন্মের ইংলিশরা দেখবে ওয়েন রুনি, বেকহামদের ব্যর্থতা ঢেকে দিতে জানবাজি রেখে লড়াই করছে হানডারসন, স্টারলিং, হ্যারি কেইনরা ফাইনালে মঞ্চে নিয়ে যাবেন।। ইংলিশ ফুটবলের আকাশে নতুন সুর্য্যের আলোর দেখা মিলবে। সব কিছু ধুলোয় মিলিয়ে গেছে। স্বপ্নের ফাইনালে উঠা হয়নি ইংলিশদের।
এদিকে নকআউট পর্বের আগের দুইটি ম্যাচই টাইব্রেকারে পার হয়েছে ক্রোয়েশিয়া। বুধবার অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ভাগ্য তাদের সেদিকেই টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এবার আর স্নায়ুচাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হলো না ক্রোটদের। অতিরিক্ত সময়ে মারিও মান্দজুকিচের গোলে বাজিমাত করে ফেলে ক্রোয়েশিয়া। তৃতীয়বার আর স্নায়ুচাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হলো না তাদের।
বুধবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হ্যারি কেনের ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে উঠে গেছেন মডরিচ-রাকিটিচরা। আর তাতেই ইতিহাসের নতুন দিগন্ত রচনা করে ফেলল ক্রোয়েশিয়া। ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ পেল নতুন এক ফাইনালিস্টকে। রবিরাতে মস্কোর এই মঞ্চেই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোটরা।
ঠিক কুড়ি বছর আগে ফাইনালের খুব কাছে গিয়ে ফিরে এসেছিল ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বমঞ্চের এমনই একটি সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা। স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ২-১ গোলে থেমে গিয়েছিল ক্রোটদের স্বপ্নযাত্রা। কিন্তু ভাগ্য এবার শূন্য হাতে ফেরায়নি তাদের। ঠিকই একই ব্যবধানে ইংলিশদের আশার সমাধি করে ক্রোয়েশিয়া প্রথমবারের মতো উঠে গেল ফুটবল মহাযজ্ঞের ফাইনালে।
মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ম্যাচটা জমে উঠেছিল শুরু থেকেই। আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণে মুখরিত হয়ে উঠেছিল ম্যাচটা। উচ্ছ্বাসের ঢেউ তুলেছিল গ্যালারি। ম্যাচটা যে রোমাঞ্চ উপহার দেবে দর্শকদের তখন থেকেই সেটা অনুমান করা যাচ্ছিল। টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। মাত্র ৫ মিনিটেই ইংলিশদের লিড এনে দেন কিরান ট্রিপিয়ার। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে ওপরের ডান কোণ লক্ষ্য করে নেওয়া তার ঘূর্ণি শটটা চূর্ণ করে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিক ঠেকানোর ন্যূনতম সুযোগটুকু পাননি ড্যানিয়েল সুবাসিচ।
কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে টটেনহাম হটস্পার ডিফেন্ডারের প্রথম গোলের সুবাদে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। ২২ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। ইভান স্ত্রিনিচের ভুল পাসে বড় বিপদে পড়তে পারত ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু রহিম স্টার্লিংয়ের বাড়ানো বলটা নেওয়ার সময় হ্যারি কেন অফসাইডে থাকায় এ যাত্রায় রক্ষা হয় ক্রোটদের।
প্রথমার্ধে দ্বিতীয় গোলের আরো বড় সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ডি-বক্সে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা কেন দুর্বল শট মারেন ক্রোয়েশিয়ার গোলমুখ লক্ষ্য করে। ৫ মিনিটের ব্যবধানে পাল্টা আক্রমণে কেন ও ডেলে আলির ওয়ান টু থেকে বেরিয়ে আসা বলটা পোস্টের বাইরে মারেন জেসি লিঙ্গার্ড।
প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় ক্রোটদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে ইংল্যান্ড। বিরতি থেকে ফিরেই গাঝাড়া দিয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দেখা মিলল অন্য এক দলকে। মুহুর্মুহু আক্রমণে ইংলিশদের রক্ষণ তটস্থ করে রাখেন মান্দজুকিচ, পেরিসিচ, মডরিচরা। যেটার সুফলটা ক্রোয়েশিয়া পেয়েছে ৬৫ মিনিটে। ডান দিক থেকে শিমে ভারসালকোর ক্রসে পা অনেকটা উঁচিয়ে দারুণ এক শটে ইংলিশদের জাল কাঁপান পেরিসিচ। ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১-১-এ। ৪ মিনিট পরই এগিয়ে যেতে পারত ক্রোটরা। এ যাত্রায় ইংলিশদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন ভাগ্যদেবী। পেরিসিচের মাটি কামড়ানো শট গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিলেও বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। নখ কামড়ানো উত্তেজনার ম্যাচটা নির্ধারিত সময় শেষে থাকল অমীমাংসিত।
অবশ্য শেষাবধি ফুটবল বিধাতা মুখ ফিরিয়ে নেয়নি ক্রোয়েশিয়ার কাছ থেকে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় বাজিমাত করেন মডরিচ অ্যান্ড কোং। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে জয়সূচক গোলটি করে বসেন মারিও মান্দজুকিচ। দলের এই গোলেও অবদান থাকল পেরিসিচের। তার জোগান থেকেই তো ক্রোয়েশিয়া উঠে গেছে স্বপ্নের ফাইনালে। ১০৯ মিনিটে মান্দজুকিচের গোলে স্বপ্ন ভাঙল ইংল্যান্ডের। ৫২ বছর পর ফাইনালের খুব কাছে গিয়েও পারল না ইংলিশরা। সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো তাদের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

প্রকাশের সময় : ১০:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮

হককথা ডেস্ক: স্বপ্নের ফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। বহু অপেক্ষার পর বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠার স্বপ্ন পুরণ করেছে ক্রোয়েটরা। বিশ্বকাপের সেরা মঞ্চে জায়গা পেয়েছে। রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলে এই লজুনিকির মাঠেই ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফ্রান্স মুখোমুখি হবে। বুধবার (১১ জুলাই) রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে ২-১ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে জায়গা পেল ডেবর সুকরের দল ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হয়। ৩০ মিনিটের অতিরিক্তি সময়ের দ্বিতীয় পর্বে মারিও মানজুকিকের বা পায়েল গোল ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তুলে দেয়। বিদায় করে দেয় ইংল্যান্ড ফুটবল দলকে।

লজুনিকির মাঠে খুব সংখ্যক ক্রোয়েটরা ছিলেন। তারাই ছিলেন দলের সবচেয়ে বড় শক্তি। গোল হজম করেও তারা রাকিটিচ, মডরিকদের পাশে ছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন ভালো কিছু হবেই। মর্ডিকরা তাদের সমর্থকদের হাতে ফাইনালে আসার আমন্ত্রণ পত্র দিয়েছে। আবার আসো ফাইনালে আমরা খেলব।
৬৬ বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর কখনো ফাইনালের ধারে কাছেও যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৬৬র পর আবার ফাইনালে উঠার সুযোগ পেয়েছিল। অর্ধ শতাব্দী কেটে গেলেও বার বার এই ইংল্যান্ডকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল বিশ্বকাপ হতে। ইংলিশদের ভাবনা ছিল এবার বোধহয় ঈশ্বর তাদের দিকে ফিরে তাকিয়েছে।
নতুন প্রজন্মের ইংলিশরা দেখবে ওয়েন রুনি, বেকহামদের ব্যর্থতা ঢেকে দিতে জানবাজি রেখে লড়াই করছে হানডারসন, স্টারলিং, হ্যারি কেইনরা ফাইনালে মঞ্চে নিয়ে যাবেন।। ইংলিশ ফুটবলের আকাশে নতুন সুর্য্যের আলোর দেখা মিলবে। সব কিছু ধুলোয় মিলিয়ে গেছে। স্বপ্নের ফাইনালে উঠা হয়নি ইংলিশদের।
এদিকে নকআউট পর্বের আগের দুইটি ম্যাচই টাইব্রেকারে পার হয়েছে ক্রোয়েশিয়া। বুধবার অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ভাগ্য তাদের সেদিকেই টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এবার আর স্নায়ুচাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হলো না ক্রোটদের। অতিরিক্ত সময়ে মারিও মান্দজুকিচের গোলে বাজিমাত করে ফেলে ক্রোয়েশিয়া। তৃতীয়বার আর স্নায়ুচাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হলো না তাদের।
বুধবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হ্যারি কেনের ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে উঠে গেছেন মডরিচ-রাকিটিচরা। আর তাতেই ইতিহাসের নতুন দিগন্ত রচনা করে ফেলল ক্রোয়েশিয়া। ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ পেল নতুন এক ফাইনালিস্টকে। রবিরাতে মস্কোর এই মঞ্চেই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোটরা।
ঠিক কুড়ি বছর আগে ফাইনালের খুব কাছে গিয়ে ফিরে এসেছিল ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বমঞ্চের এমনই একটি সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা। স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ২-১ গোলে থেমে গিয়েছিল ক্রোটদের স্বপ্নযাত্রা। কিন্তু ভাগ্য এবার শূন্য হাতে ফেরায়নি তাদের। ঠিকই একই ব্যবধানে ইংলিশদের আশার সমাধি করে ক্রোয়েশিয়া প্রথমবারের মতো উঠে গেল ফুটবল মহাযজ্ঞের ফাইনালে।
মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ম্যাচটা জমে উঠেছিল শুরু থেকেই। আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণে মুখরিত হয়ে উঠেছিল ম্যাচটা। উচ্ছ্বাসের ঢেউ তুলেছিল গ্যালারি। ম্যাচটা যে রোমাঞ্চ উপহার দেবে দর্শকদের তখন থেকেই সেটা অনুমান করা যাচ্ছিল। টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। মাত্র ৫ মিনিটেই ইংলিশদের লিড এনে দেন কিরান ট্রিপিয়ার। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে ওপরের ডান কোণ লক্ষ্য করে নেওয়া তার ঘূর্ণি শটটা চূর্ণ করে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিক ঠেকানোর ন্যূনতম সুযোগটুকু পাননি ড্যানিয়েল সুবাসিচ।
কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে টটেনহাম হটস্পার ডিফেন্ডারের প্রথম গোলের সুবাদে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। ২২ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। ইভান স্ত্রিনিচের ভুল পাসে বড় বিপদে পড়তে পারত ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু রহিম স্টার্লিংয়ের বাড়ানো বলটা নেওয়ার সময় হ্যারি কেন অফসাইডে থাকায় এ যাত্রায় রক্ষা হয় ক্রোটদের।
প্রথমার্ধে দ্বিতীয় গোলের আরো বড় সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ডি-বক্সে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা কেন দুর্বল শট মারেন ক্রোয়েশিয়ার গোলমুখ লক্ষ্য করে। ৫ মিনিটের ব্যবধানে পাল্টা আক্রমণে কেন ও ডেলে আলির ওয়ান টু থেকে বেরিয়ে আসা বলটা পোস্টের বাইরে মারেন জেসি লিঙ্গার্ড।
প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় ক্রোটদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে ইংল্যান্ড। বিরতি থেকে ফিরেই গাঝাড়া দিয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দেখা মিলল অন্য এক দলকে। মুহুর্মুহু আক্রমণে ইংলিশদের রক্ষণ তটস্থ করে রাখেন মান্দজুকিচ, পেরিসিচ, মডরিচরা। যেটার সুফলটা ক্রোয়েশিয়া পেয়েছে ৬৫ মিনিটে। ডান দিক থেকে শিমে ভারসালকোর ক্রসে পা অনেকটা উঁচিয়ে দারুণ এক শটে ইংলিশদের জাল কাঁপান পেরিসিচ। ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১-১-এ। ৪ মিনিট পরই এগিয়ে যেতে পারত ক্রোটরা। এ যাত্রায় ইংলিশদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন ভাগ্যদেবী। পেরিসিচের মাটি কামড়ানো শট গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিলেও বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। নখ কামড়ানো উত্তেজনার ম্যাচটা নির্ধারিত সময় শেষে থাকল অমীমাংসিত।
অবশ্য শেষাবধি ফুটবল বিধাতা মুখ ফিরিয়ে নেয়নি ক্রোয়েশিয়ার কাছ থেকে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় বাজিমাত করেন মডরিচ অ্যান্ড কোং। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে জয়সূচক গোলটি করে বসেন মারিও মান্দজুকিচ। দলের এই গোলেও অবদান থাকল পেরিসিচের। তার জোগান থেকেই তো ক্রোয়েশিয়া উঠে গেছে স্বপ্নের ফাইনালে। ১০৯ মিনিটে মান্দজুকিচের গোলে স্বপ্ন ভাঙল ইংল্যান্ডের। ৫২ বছর পর ফাইনালের খুব কাছে গিয়েও পারল না ইংলিশরা। সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো তাদের।