নিউইয়র্ক ০৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আর কবে?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৬৫ বার পঠিত

ইশতিয়াক পারভেজ, চেন্নাই (ভারত) থেকে : আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত জয় দিয়ে শুরু। পরের ম্যাচেই বদলে গেল গল্প। ইংলিশদের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে ব্যর্থতায় হার। কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। ধর্মশালা থেকে ২৬৪১ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে চেন্নাই এসেছে বাংলাদেশ দল। ভারতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত বললে ভুল হবে না। একবারে উত্তর থেকে সর্বদক্ষিণ। সঙ্গে নিয়ে এসেছে বাজে হারের স্মৃতি। তবে এখানে এসে বদলেছে গল্পের প্লট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে ফিরে আসার প্রত্যয় ছিল।

আশা ছিল এখানেই হয়তো জয় নিয়ে ধরবে চেন্নাই এক্সপ্রেস। কারণ চেন্নাইয়ের কন্ডিশন, উইকেট অনেকটাই বাংলাদেশের মতো। কিন্তু না। টানা হারে বাড়ছে শুধু দীর্ঘশ্বাস। গতকাল ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসানের প্রতিরোধ। তারা বিদায় নিলে শেষ মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৪১ রান। তার ব্যাটে চড়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে প্রথম ১০ ওভারেই কিউইরা বুঝিয়ে দিলো ক্রিকেটে ধৈর্য্য বলে কিছু আছে। যার ফলটাও জয় দিয়ে মধুর হলো। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে তারা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। এখনো ছয় ম্যাচের লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে যেখানে সম্বল একটি মাত্র জয়। পুনেতে পরের ম্যাচে অপেক্ষায় আরো কঠিন প্রতিপক্ষ, স্বাগতিক ভারত।

ধারণা করা হচ্ছিল মিরপুরের মতোই হবে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেট। যেখানে রাজত্ব করবে টাইগার স্পিনাররা। কিন্তু হলো তার উল্টো। বরং ইংলিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ বল করা স্পিনার শেখ মেহেদীকে বাদ দেয়া হলো। তার পরিবর্তে কিউইদের বিপক্ষে ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে নেয়া হলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার চিত্রটার পরিবর্তন হলো না। বরং সঙ্গে যুক্ত হলো বাজে ফিল্ডিংয়ের মহড়া। কিন্তু আসল লড়াইটা হলো দুই দলের প্রথম ১০ ওভারে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ যেখানে ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল। সেখানে ১২ রানে ১ উইকেট হারানোর পরও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা দেখালেন দৃঢ়তা। প্রথম ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৪১ রান আর কোনও উইকেট না হারিয়ে। এর মধ্যে অবশ্য ৪ রান করা ডেভন কনওয়েকে জীবন দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মোস্তাফিজের বলে ডেভন ক্যাচ দিলেও তা মিরাজ লুফে নিতে পারেননি। অবশ্য তিনি আউট হন ৫৯ বলে ৪৫ রান করে। তাকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। এটাই টাইগারদের বল হাতে শেষ সাফল্য।

দারুণ জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আর ড্যারেল মিচেল। দু’জনই করেছেন ফিফটি। সাকিবকে প্রথম বলেই ছক্কা মারা মিচেল নিজের পঞ্চাশও পূর্ণ করেন তারই বলে ছক্কা হাকিয়ে। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ও ক্যারিয়ারের চতুর্থ পঞ্চাশ করতে মিচেল খেলেন ৪৩ বল। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটির শতরান এসেছে ১০৩ বলে। ৩৮ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৯৮ রান। জয়ের জন্য ৭২ বলে প্রয়োজন আর ৪৮ রান। মিচেল ৪৯ বলে ৫৭ ও উইলিয়ামসন ১০৭ বলে ৭৮ রানে খেলছেন। এরপরই একটি থ্রো এসে লাগে উইলিয়ামসনের হাতে। এরপর কিছুক্ষণ ফিজিও’র চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে যান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। পরে সমস্যা অনুভব করায় মাঠ ছাড়েন (রিটায়ার্ড হার্ট) তিনি। তার বিদায়ের পর মিচেলের সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন গ্লেন ফিলিপস। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জিতে নেয় ৪৩ বল বাকি রেখে।

অধিনায়ক সাকিব নিজে সহ আক্রমণে এনেছিলেন ৪ বোলারকে। তাদের মধ্যে ৮ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন মোস্তাফিজ। আর ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সাকিব।

এদিন বাংলাদেশ দলও প্রথম ৪ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাড়িয়েছিল। সেখানে বড় অবদান রেখেছিলেন মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু তারা দু’জনই দলকে ফেলে রেখে আসেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। হঠাৎ করেই সাকিব মারমুখি হয়ে আউট হন দুটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকিয়ে। মুশফিক ৭৫ বলে ৬৬ করেও দলের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন। ঠিক তার বিপরীত ছিলেন উইলিয়ামসন ও মিচেল। বলা যায় এখানেই পার্থক্যটা ষ্পষ্ট করেছে কিউইরা। সূত্র : মানবজমিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আর কবে?

প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

ইশতিয়াক পারভেজ, চেন্নাই (ভারত) থেকে : আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত জয় দিয়ে শুরু। পরের ম্যাচেই বদলে গেল গল্প। ইংলিশদের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে ব্যর্থতায় হার। কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। ধর্মশালা থেকে ২৬৪১ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে চেন্নাই এসেছে বাংলাদেশ দল। ভারতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত বললে ভুল হবে না। একবারে উত্তর থেকে সর্বদক্ষিণ। সঙ্গে নিয়ে এসেছে বাজে হারের স্মৃতি। তবে এখানে এসে বদলেছে গল্পের প্লট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে ফিরে আসার প্রত্যয় ছিল।

আশা ছিল এখানেই হয়তো জয় নিয়ে ধরবে চেন্নাই এক্সপ্রেস। কারণ চেন্নাইয়ের কন্ডিশন, উইকেট অনেকটাই বাংলাদেশের মতো। কিন্তু না। টানা হারে বাড়ছে শুধু দীর্ঘশ্বাস। গতকাল ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসানের প্রতিরোধ। তারা বিদায় নিলে শেষ মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৪১ রান। তার ব্যাটে চড়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে প্রথম ১০ ওভারেই কিউইরা বুঝিয়ে দিলো ক্রিকেটে ধৈর্য্য বলে কিছু আছে। যার ফলটাও জয় দিয়ে মধুর হলো। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে তারা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। এখনো ছয় ম্যাচের লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে যেখানে সম্বল একটি মাত্র জয়। পুনেতে পরের ম্যাচে অপেক্ষায় আরো কঠিন প্রতিপক্ষ, স্বাগতিক ভারত।

ধারণা করা হচ্ছিল মিরপুরের মতোই হবে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেট। যেখানে রাজত্ব করবে টাইগার স্পিনাররা। কিন্তু হলো তার উল্টো। বরং ইংলিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ বল করা স্পিনার শেখ মেহেদীকে বাদ দেয়া হলো। তার পরিবর্তে কিউইদের বিপক্ষে ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে নেয়া হলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার চিত্রটার পরিবর্তন হলো না। বরং সঙ্গে যুক্ত হলো বাজে ফিল্ডিংয়ের মহড়া। কিন্তু আসল লড়াইটা হলো দুই দলের প্রথম ১০ ওভারে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ যেখানে ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল। সেখানে ১২ রানে ১ উইকেট হারানোর পরও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা দেখালেন দৃঢ়তা। প্রথম ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৪১ রান আর কোনও উইকেট না হারিয়ে। এর মধ্যে অবশ্য ৪ রান করা ডেভন কনওয়েকে জীবন দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মোস্তাফিজের বলে ডেভন ক্যাচ দিলেও তা মিরাজ লুফে নিতে পারেননি। অবশ্য তিনি আউট হন ৫৯ বলে ৪৫ রান করে। তাকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। এটাই টাইগারদের বল হাতে শেষ সাফল্য।

দারুণ জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আর ড্যারেল মিচেল। দু’জনই করেছেন ফিফটি। সাকিবকে প্রথম বলেই ছক্কা মারা মিচেল নিজের পঞ্চাশও পূর্ণ করেন তারই বলে ছক্কা হাকিয়ে। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ও ক্যারিয়ারের চতুর্থ পঞ্চাশ করতে মিচেল খেলেন ৪৩ বল। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটির শতরান এসেছে ১০৩ বলে। ৩৮ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৯৮ রান। জয়ের জন্য ৭২ বলে প্রয়োজন আর ৪৮ রান। মিচেল ৪৯ বলে ৫৭ ও উইলিয়ামসন ১০৭ বলে ৭৮ রানে খেলছেন। এরপরই একটি থ্রো এসে লাগে উইলিয়ামসনের হাতে। এরপর কিছুক্ষণ ফিজিও’র চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে যান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। পরে সমস্যা অনুভব করায় মাঠ ছাড়েন (রিটায়ার্ড হার্ট) তিনি। তার বিদায়ের পর মিচেলের সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন গ্লেন ফিলিপস। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জিতে নেয় ৪৩ বল বাকি রেখে।

অধিনায়ক সাকিব নিজে সহ আক্রমণে এনেছিলেন ৪ বোলারকে। তাদের মধ্যে ৮ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন মোস্তাফিজ। আর ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সাকিব।

এদিন বাংলাদেশ দলও প্রথম ৪ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাড়িয়েছিল। সেখানে বড় অবদান রেখেছিলেন মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু তারা দু’জনই দলকে ফেলে রেখে আসেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। হঠাৎ করেই সাকিব মারমুখি হয়ে আউট হন দুটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকিয়ে। মুশফিক ৭৫ বলে ৬৬ করেও দলের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন। ঠিক তার বিপরীত ছিলেন উইলিয়ামসন ও মিচেল। বলা যায় এখানেই পার্থক্যটা ষ্পষ্ট করেছে কিউইরা। সূত্র : মানবজমিন