নিউইয়র্ক ০৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমার মতো ভুল যেন কেউ না করে : সাকিব

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০
  • / ৮৭ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: বলা হয়, সকালে পথ ভুল করা পথিক সন্ধ্যায় ঘরে ফিরলে তাকে সুন্দর দেখায়। তিন-তিনবার জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়ে আইসিসিকে না জানানোর খেসারত দিতে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার (২৮ অক্টোবর)। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) থেকে তিনি মুক্ত। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নভেম্বরের শুরুতে তার দেশে ফেরার কথা। বিসিবির আয়োজনে পাঁচ দলের টি ২০ টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেটে ফিরবেন সাকিব। আর ক্রিকেটের এই বরপুত্র সাকিব আল হাসানের খেলার মাঠে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত করেছে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি। সিটির উডসাইডস্থ কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত এই সংবর্ধনার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন শো টাইম মিউজিকের কর্নধার আলমগীর খান। সাকিবকে নিয়ে এটি ছিল তার চতুর্থ আয়োজন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে ছিলো প্রশ্ন-উত্তর আর ক্রেস্ট বিতরণ। সাংবাদিক শামীম আল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্য বক্তব্য রাখেন শো টাইম মিউজিকের কর্নধার আলমগীর খান আলম, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. চৌধুরী সারওরুল হাসান, বিশ্ব বাংলা চ্যানেলের চেয়ারম্যান আকাশ খান, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অব আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম বাদশা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এনওয়াই ইন্সুরেন্সের সিইও শাহ নেওয়াজ, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আহসান হাবিব, আবদুর রশিদ বাবু, সঙ্গীত শিল্পী সেলিম ইব্রাহিম, লিটু আনাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীরা সাকিল আল হাসানকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং তিনি তার উত্তর দেন এবং পরে বিভিন্ন জনের হাতে প্ল্যাক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসান তার বক্তব্যের শুরুতেই একটু স্মৃতি চারণ করে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে আমি অনেকবার এসেছি, অনেকের সাথেই দেখা-কথা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে আমরা অনেককেই হারিয়েছি। আমি তাদের মাগফেরাত কামনা করছি। আর যারা করোনায় আক্রান্ত তাদের সুস্থতা কামনা করছি। তিনি বলেন, এখন আমরা যার সুস্থ আছি তারা যেনো যার যার অবস্থান থেকে সুস্থ থেকে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করতে পারি। তিনি বলেন, বারবার নিউইয়র্কে আসার পর আপনার আন্তরিকতা, ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। বিশেষ করে এজন্য তিনি অনুষ্ঠান আয়োজক আলগীর খান আলমকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
সাকিব আল হাসান বলেন, আমাদের সবাইকে মিলে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমি আমার লেবেল থেকে আর আপনাদেরকে যার যার লেবেল থেকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান জানান, আগামী ৪ নভেম্বর দেশে ফিরবো ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। বিসিবি’র নির্দেশ অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই দ্রæত ক্রিকেটে ফেরার আশা রাখছি। তিনি বলেন, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে ভালো করবে বলেই বিশ্বাস রাখি। বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও উজ্জ্বল করার চেষ্টা করব। নিজের যতটা সম্ভব সেরা খেলা উপহার দিয়ে যাব। আগামী দিনগুলোতে ভালো খেলার প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করে সাকিব সবার দোয়া কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘ভালো লাগছে। দোয়া করবেন, যেন দেশের জন্য ভালো খেলতে পারি। সেই চেষ্টা সব সময়ই থাকবে।’ প্রবাসীরা শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘সাকিব দেশে ফিরবেন বীরের বেশে।’ তিনি বলেন, ‘আমার মতো ভুল যেন কেউ না করে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব আল হাসান বলেন, গত এক বছরে পরিবারকে সময় দিয়েছি। খেলায় ব্যস্ত থাকায় প্রথম সন্তানকে সময় দিতে পারিনি। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তান সেটা পেয়েছে। তিনি বলেন, বাসায় বেবিসিটিং করেছি। আর অবশ্যই ক্রিকেটকে মিস করেছি।
উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ থাকার সময় সাকিব খুব বেশি ম্যাচ মিস করেননি। এক বছরে দেশের হয়ে ৩৬ ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকার কথা ছিল তার। কিন্তু মার্চের মাঝামাঝিতে করোনা মহামারী আকার ধারণ করায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে বাংলাদেশ মাত্র চার টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও সাতটি টি-২০ খেলেছে।
নভেম্বরে পাঁচ দলের টি-২০ টুর্নামেন্ট দিয়ে মাঠে নামছেন সাকিব। এ বছর অক্টোবর-নভেম্বরে শ্রীলংকা সফরে দ্বিতীয় টেস্টে ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু কোয়ারেন্টিন জটিলতায় তা বাতিল হয়ে যাওয়ায় এ বছর আর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে না তাকে।
নতুন বছরে অর্থাৎ জানুয়ারীতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে সাকিবকে। নিষেধাজ্ঞার এক বছরের বেশির ভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন সাকিব। গত মার্চে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময় থেকে সেখানে আছেন তিনি। গত ২ সেপ্টেম্বর শ্রীলংকা সফরকে সামনে রেখে দেশে ফিরেছিলেন। কিন্তু সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন তিনি।
আরো উল্লেখ্য, গত এক বছর খেলা থেকে দ‚রে থাকলেও করোনাকালে সাকিব আল হাসান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মানবতার সেবায়। নিলামে তুলেছেন নিজের বিশ্বকাপের ব্যাট। নিজের নামে ‘সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’ গঠন করে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে খাবার বিতরণ ছাড়াও চিকিৎসকদের জন্য দিয়েছেন উন্নত মানের পিপিই-মাস্ক। এছাড়া সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাম্বুলেন্স অনুদান দিয়েছেন। ছবি: নিহার সিদ্দিকী

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমার মতো ভুল যেন কেউ না করে : সাকিব

প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০

হককথা ডেস্ক: বলা হয়, সকালে পথ ভুল করা পথিক সন্ধ্যায় ঘরে ফিরলে তাকে সুন্দর দেখায়। তিন-তিনবার জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়ে আইসিসিকে না জানানোর খেসারত দিতে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার (২৮ অক্টোবর)। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) থেকে তিনি মুক্ত। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নভেম্বরের শুরুতে তার দেশে ফেরার কথা। বিসিবির আয়োজনে পাঁচ দলের টি ২০ টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেটে ফিরবেন সাকিব। আর ক্রিকেটের এই বরপুত্র সাকিব আল হাসানের খেলার মাঠে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত করেছে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি। সিটির উডসাইডস্থ কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত এই সংবর্ধনার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন শো টাইম মিউজিকের কর্নধার আলমগীর খান। সাকিবকে নিয়ে এটি ছিল তার চতুর্থ আয়োজন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে ছিলো প্রশ্ন-উত্তর আর ক্রেস্ট বিতরণ। সাংবাদিক শামীম আল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্য বক্তব্য রাখেন শো টাইম মিউজিকের কর্নধার আলমগীর খান আলম, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. চৌধুরী সারওরুল হাসান, বিশ্ব বাংলা চ্যানেলের চেয়ারম্যান আকাশ খান, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অব আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম বাদশা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এনওয়াই ইন্সুরেন্সের সিইও শাহ নেওয়াজ, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আহসান হাবিব, আবদুর রশিদ বাবু, সঙ্গীত শিল্পী সেলিম ইব্রাহিম, লিটু আনাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীরা সাকিল আল হাসানকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং তিনি তার উত্তর দেন এবং পরে বিভিন্ন জনের হাতে প্ল্যাক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসান তার বক্তব্যের শুরুতেই একটু স্মৃতি চারণ করে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে আমি অনেকবার এসেছি, অনেকের সাথেই দেখা-কথা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে আমরা অনেককেই হারিয়েছি। আমি তাদের মাগফেরাত কামনা করছি। আর যারা করোনায় আক্রান্ত তাদের সুস্থতা কামনা করছি। তিনি বলেন, এখন আমরা যার সুস্থ আছি তারা যেনো যার যার অবস্থান থেকে সুস্থ থেকে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করতে পারি। তিনি বলেন, বারবার নিউইয়র্কে আসার পর আপনার আন্তরিকতা, ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। বিশেষ করে এজন্য তিনি অনুষ্ঠান আয়োজক আলগীর খান আলমকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
সাকিব আল হাসান বলেন, আমাদের সবাইকে মিলে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমি আমার লেবেল থেকে আর আপনাদেরকে যার যার লেবেল থেকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান জানান, আগামী ৪ নভেম্বর দেশে ফিরবো ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। বিসিবি’র নির্দেশ অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই দ্রæত ক্রিকেটে ফেরার আশা রাখছি। তিনি বলেন, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে ভালো করবে বলেই বিশ্বাস রাখি। বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও উজ্জ্বল করার চেষ্টা করব। নিজের যতটা সম্ভব সেরা খেলা উপহার দিয়ে যাব। আগামী দিনগুলোতে ভালো খেলার প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করে সাকিব সবার দোয়া কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘ভালো লাগছে। দোয়া করবেন, যেন দেশের জন্য ভালো খেলতে পারি। সেই চেষ্টা সব সময়ই থাকবে।’ প্রবাসীরা শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘সাকিব দেশে ফিরবেন বীরের বেশে।’ তিনি বলেন, ‘আমার মতো ভুল যেন কেউ না করে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব আল হাসান বলেন, গত এক বছরে পরিবারকে সময় দিয়েছি। খেলায় ব্যস্ত থাকায় প্রথম সন্তানকে সময় দিতে পারিনি। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তান সেটা পেয়েছে। তিনি বলেন, বাসায় বেবিসিটিং করেছি। আর অবশ্যই ক্রিকেটকে মিস করেছি।
উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ থাকার সময় সাকিব খুব বেশি ম্যাচ মিস করেননি। এক বছরে দেশের হয়ে ৩৬ ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকার কথা ছিল তার। কিন্তু মার্চের মাঝামাঝিতে করোনা মহামারী আকার ধারণ করায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে বাংলাদেশ মাত্র চার টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও সাতটি টি-২০ খেলেছে।
নভেম্বরে পাঁচ দলের টি-২০ টুর্নামেন্ট দিয়ে মাঠে নামছেন সাকিব। এ বছর অক্টোবর-নভেম্বরে শ্রীলংকা সফরে দ্বিতীয় টেস্টে ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু কোয়ারেন্টিন জটিলতায় তা বাতিল হয়ে যাওয়ায় এ বছর আর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে না তাকে।
নতুন বছরে অর্থাৎ জানুয়ারীতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে সাকিবকে। নিষেধাজ্ঞার এক বছরের বেশির ভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন সাকিব। গত মার্চে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময় থেকে সেখানে আছেন তিনি। গত ২ সেপ্টেম্বর শ্রীলংকা সফরকে সামনে রেখে দেশে ফিরেছিলেন। কিন্তু সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন তিনি।
আরো উল্লেখ্য, গত এক বছর খেলা থেকে দ‚রে থাকলেও করোনাকালে সাকিব আল হাসান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মানবতার সেবায়। নিলামে তুলেছেন নিজের বিশ্বকাপের ব্যাট। নিজের নামে ‘সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’ গঠন করে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে খাবার বিতরণ ছাড়াও চিকিৎসকদের জন্য দিয়েছেন উন্নত মানের পিপিই-মাস্ক। এছাড়া সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাম্বুলেন্স অনুদান দিয়েছেন। ছবি: নিহার সিদ্দিকী