নিউইয়র্ক ০১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘আমরা অবিশ্বাস্যভাবে ভালো করেছি’, ৬০ পয়েন্ট অর্জনের পর গার্দিওলা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৮৯ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক : দুই মৌসুম ধরে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। গতবার চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে চেলসির কাছে পরাস্ত হলেও লীগ শিরোপা ওঠে সিটিজেনদের শোকেজেই। পেপ গার্দিওলার দল অনবদ্যতা ধরে রেখেছে চলতি মৌসুমেও। ইউরোপ সেরার মঞ্চে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌঁছেছে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। আর ইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে শক্ত অবস্থানে টিম স্কাই ব্লুজ। সবশেষ ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ব্রেন্টফোর্ডকে ২-০ গোলে হারায় তারা। টানা ১২ জয়ের পর আন্তর্জাতিক বিরতির আগে গত রাউন্ডে সাউদাম্পটনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ম্যান সিটি। এক ম্যাচ পর লীগে আবার জয়ের স্বাদ পেল তারা।২৪ ম্যাচে ১৯ জয় ও ২ ড্রয়ে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ম্যানচেস্টার সিটি।

দুইয়ে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে সিটিজেনরা।

দলের দ্যুতি ছড়ানো পারফরম্যান্সে যারপরনাই খুশি সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘এ পর্যায়ে এসে ৬০ পয়েন্ট অর্জন দুর্দান্ত। আমরা এখন পর্যন্ত অবিশ্বাস্যভাবে ভালো করেছি।’
ম্যাচে বল দখল কিংবা শটে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও গোল পাচ্ছিল না সিটি। কেভিন ডি ব্রুইন, ফিল ফোডেন, এমেরিক লাপোর্তেরা একের পর এক সুযোগ মিস করছিলেন। প্রতিপক্ষের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রশংসা করে গার্দিওলা বলেন, ‘ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে আক্রমণ করা কঠিন হয়ে ওঠেছিল। আমরা আক্রমণে যাই, তারা প্রতিহত করে দেয়। তাদের রক্ষণ খুব শক্ত।’
গার্দিওলা বলেন, ‘আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে। কোনো ভুল করিনি এবং শেষ পর্যন্ত আমরা ফলাফল পেয়েছি। আমি দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট।’
গোটা ম্যাচে ৭৬ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৫টি শট নেয় ম্যান সিটি। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৭টি। অপরদিকে ২৪ শতাংশ বল দখলে রাখা ব্রেন্টফোর্ড ৬টি শটের ২টি লক্ষ্যে রাখে।

৪০তম মিনিটে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। ডি-বক্সে রাহিম স্টার্লিং ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে গোল তুলে নেন রিয়াদ মাহরেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে চেলসি। এই গোলেও ছিল সৌভাগ্যের ছোঁয়া। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক রায়া সতীর্থের ব্যাকপাস ভুল করে তুলে দেন রাহিম স্টার্লিংয়ের পায়ে।
সঙ্গে সঙ্গেই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের শট রায়া ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকালেও ফিরতি বলে পা ছুঁইয়ে দেয়ার সুযোগ মিস করেননি ডি ব্রুইনা। উল্লাসে মাতে ম্যান সিটি শিবির। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের সহজ নিয়েই মাঠ ছাড়ে গার্দিওলার দল।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘আমরা অবিশ্বাস্যভাবে ভালো করেছি’, ৬০ পয়েন্ট অর্জনের পর গার্দিওলা

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : দুই মৌসুম ধরে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। গতবার চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে চেলসির কাছে পরাস্ত হলেও লীগ শিরোপা ওঠে সিটিজেনদের শোকেজেই। পেপ গার্দিওলার দল অনবদ্যতা ধরে রেখেছে চলতি মৌসুমেও। ইউরোপ সেরার মঞ্চে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌঁছেছে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। আর ইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে শক্ত অবস্থানে টিম স্কাই ব্লুজ। সবশেষ ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ব্রেন্টফোর্ডকে ২-০ গোলে হারায় তারা। টানা ১২ জয়ের পর আন্তর্জাতিক বিরতির আগে গত রাউন্ডে সাউদাম্পটনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ম্যান সিটি। এক ম্যাচ পর লীগে আবার জয়ের স্বাদ পেল তারা।২৪ ম্যাচে ১৯ জয় ও ২ ড্রয়ে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ম্যানচেস্টার সিটি।

দুইয়ে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে সিটিজেনরা।

দলের দ্যুতি ছড়ানো পারফরম্যান্সে যারপরনাই খুশি সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘এ পর্যায়ে এসে ৬০ পয়েন্ট অর্জন দুর্দান্ত। আমরা এখন পর্যন্ত অবিশ্বাস্যভাবে ভালো করেছি।’
ম্যাচে বল দখল কিংবা শটে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও গোল পাচ্ছিল না সিটি। কেভিন ডি ব্রুইন, ফিল ফোডেন, এমেরিক লাপোর্তেরা একের পর এক সুযোগ মিস করছিলেন। প্রতিপক্ষের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রশংসা করে গার্দিওলা বলেন, ‘ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে আক্রমণ করা কঠিন হয়ে ওঠেছিল। আমরা আক্রমণে যাই, তারা প্রতিহত করে দেয়। তাদের রক্ষণ খুব শক্ত।’
গার্দিওলা বলেন, ‘আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে। কোনো ভুল করিনি এবং শেষ পর্যন্ত আমরা ফলাফল পেয়েছি। আমি দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট।’
গোটা ম্যাচে ৭৬ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৫টি শট নেয় ম্যান সিটি। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৭টি। অপরদিকে ২৪ শতাংশ বল দখলে রাখা ব্রেন্টফোর্ড ৬টি শটের ২টি লক্ষ্যে রাখে।

৪০তম মিনিটে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। ডি-বক্সে রাহিম স্টার্লিং ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে গোল তুলে নেন রিয়াদ মাহরেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে চেলসি। এই গোলেও ছিল সৌভাগ্যের ছোঁয়া। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক রায়া সতীর্থের ব্যাকপাস ভুল করে তুলে দেন রাহিম স্টার্লিংয়ের পায়ে।
সঙ্গে সঙ্গেই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের শট রায়া ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকালেও ফিরতি বলে পা ছুঁইয়ে দেয়ার সুযোগ মিস করেননি ডি ব্রুইনা। উল্লাসে মাতে ম্যান সিটি শিবির। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের সহজ নিয়েই মাঠ ছাড়ে গার্দিওলার দল।
হককথা/এমউএ