অভিষেকেই মৃত্যুঞ্জয়ের হ্যাটট্রিক

- প্রকাশের সময় : ০১:০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২
- / ৩১ বার পঠিত
ক্রীড়া ডেস্ক : মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, সম্ভাবনাময় এক পেসারের নাম। ২০২০ যুব বিশ্বকাপ দলে থাকলেও খেলতে পারেননি গোটা আসর। বেরসিক চোট সঙ্গী না হলে হয়তো খ্যাতি কুড়াতেন দক্ষিণ আফ্রিকায়, উদ্বেলিত হতেন ইয়াং টাইগারদের শিরোপা উৎসবে। দুবছর আগে না হলেও এবার ঠিকই পরিচিতি পেলেন মৃত্যুঞ্জয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) অভিষেক ম্যাচেই দেখালেন হ্যাটট্রিক করার কীর্তি।
শনিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ১৬ রানের জয়ে পরপর তিন উইকেট নিয়ে বড় অবদান রাখেন মৃত্যুঞ্জয়।
ম্যাচের ১৮তম ওভার চলছিল, ১৮ বলে ৪৯ রান দরকার ছিল সিলেটের। প্রথম ২ ওভারে ১৭ রান দেয়া মৃত্যুঞ্জয়কে ডেকে আনেন চট্টগ্রামের নতুন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। ওভারের প্রথম দুই বলে মৃত্যুঞ্জয়কে ছক্কা ও চার হাঁকালেন এনামুল হক। পরের বলে ফিল্ডিং সাজাতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন মৃত্যুঞ্জয়।
নাঈম এগিয়ে এসে কিছু একটা বোঝালেন। অধিনায়কের টোটকা পেয়েই যেনো বদলে গেলো দৃশ্যপট। তৃতীয় বলে ৭৮ রান করা এনামুলকে ফেরালেন সাজঘরে। মৃত্যুঞ্জয়ের ফুল লেংথে করা চতুর্থ বল তুলে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইক নিলেন রবি বোপারা। ৫ম বলে নিখুঁত ইয়র্কারে ১১ বলে ১৬ রান করা বোপারার বেল ফেলে মৃত্যুঞ্জয় মাতেন হ্যাটট্রিক আনন্দে।
বিপিএল অভিষেকে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন মৃত্যুঞ্জয়। বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন আলিস আল ইসলাম। ২০১৯ সালের সেই আসরে টানা তিন উইকেটের স্বাদ পান ওয়াহাব রিয়াজ ও আন্দ্রে রাসেল। সব মিলিয়ে বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৬টি হ্যাটট্রিক হলো।
অভাবনীয় সাফল্যে যারপরনাই খুশি মৃত্যুঞ্জয়। এমন অভিষেক প্রত্যাশার বাইরে বলে জানান ম্যাচসেরা এই পেসার। মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে পাঁচ উইকেট নেয়ার এবং হ্যাটট্রিক করার। তবে এইরকম পর্যায়ে, প্রথম ম্যাচেই সেটা আশা করিনি। তবে বাস্তবায়ন যেহেতু হয়েছে সেক্ষেত্রে এটি একটি প্রাপ্তি বলা যায়।’
৪ ওভারে ৩৩ রান দেয়া মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে প্রথম দিকে নার্ভাস ছিলাম না। প্রথম দিকে আমার পরিকল্পাই ছিল ইয়র্কার ভালোভাবে করবো। প্রথম ওভারে এক্সিকিউশন খুব ভালো হয়েছেম এ কারণে প্রথম দিকে কোনো চাপ ছিল না। প্রথম দিকে যেহেতু দুইটা ওভার ভালো হয়েছে, ইয়র্কারও খুব ভালো পড়ছিল এ কারণে শেষের দিকে খুব ভালো আত্মবিশ্বাস ছিল যে ইয়র্কার খুব ভালো পড়বে।’
বিপিএলের ৬ হ্যাটট্রিক কারী বোলারের মধ্যে ৫ জনই পেসার। একমাত্র স্পিনার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কীর্তি আছে আলিস আল ইসলামের।
বিপিএলের হ্যাটট্রিক সমগ্র
মোহাম্মদ সামি- দুরন্ত রাজশাহী
আল আমিন হোসেন- বরিশাল বুলস
আলিস ইসলাম- ঢাকা ডায়নামাইটস
ওয়াহাব রিয়াজ- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
আন্দ্রে রাসেল- ঢাকা ডায়নামাইটস
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
হককথা/এমউএ