এক স্লিপ
- প্রকাশের সময় : ০৯:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ নভেম্বর ২০১৮
- / ১০২৪ বার পঠিত
সালাহউদ্দিন আহমেদ॥ তেসরা নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম একটি কালো দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক অবস্থায় জাতীয় চার নেতা যথাক্রমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার উষালগ্নে গঠিত মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পূনর্বাসন মন্ত্রী, পরবর্তীতে শিল্পমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান-কে হত্যা করা হয়। সেই থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৩ নভেম্বর দিনটিকে ‘জেলহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান কভার করে অন্য একটি অনুষ্ঠান করার পর রাতে বাসায় ফিরছিলাম। জ্যামাইকায় বসবাসকরী এলাকাবাসী হওয়াতে একই গাড়ীতে একটি পত্রিকার সম্পাদক, একজন শিল্পী আরেকজন অধ্যাপক এই শ্রদ্ধেয় তিনজনের সাথে আমিও ছিলাম। গাড়ীতে আলাপকারে একজন ক্ষোভের সাথে বললেন- ‘কমিউনিটির অনুষ্ঠানগুলোতে না এসে থাকতে পারিনা। আবার আসলেও নানা বিপদ। কোন কোন অনুষ্ঠানে এমন সব বক্তা দেখি যারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে এক কথা আর পিছনে দাঁড়িয়ে আরেক কথা বলেন।’ তিনি বলেন, আমাদের মন আর মানুষিকতা যদি এমন হয় তাহলে আমরা মানুষ হবো কবে? আমাদের কমিউনিটি ভালো হবে কবে? আমেরিকান সুন্দর সমাজে এমনটি মেনে নেয়া যায় না, চলতে পারে না! আমি নিরবে-নিশ্বব্দে তার কথা শুনে কোন মন্তব্য করতে পারলাম না। ০৩ নভেম্বর ২০১৮।