এক স্লিপ
- প্রকাশের সময় : ০১:৩২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪
- / ১০১২ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের অ্যাওয়ার্ড বাণিজ্য নিয়ে সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকাসহ একাধিক মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশের পর কমিউনিটিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কমিউনিটির সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে হোটেল-রেস্তোরায় চায়ের আড্ডায় পর্যন্ত জমে উঠেছে অ্যাওয়ার্ড বাণিজ্যের খবর। এই খবরের সমালোচনার পাশাপাশি সাধুবাদই শুনা যাচ্ছে সচেতন প্রবাসী মহলে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশীদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের এক আড্ডায় আমার উপস্থিতি দেখে একাধিক প্রবাসী রিপোর্টটি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, নিউইয়র্কের দু’একটি মিডিয়ায় এনিয়ে লেখালেখি হলে সমস্যার সমাধান হবে না। সকল মিডিয়াকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অনৈতিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আরেকজন বললেন, কোন কোন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে দু’একজন নামধারী সাংবাদিকদেরও দেখা যায় তথাকথিত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজকদের নেপথ্যে সহযোগিতা করতে। এসবও বন্ধ হওয়া উচিৎ। আরেকজন বললেন, এই অ্যাওয়ার্ড পেলেই কি, না পেলেই কি? এসব অ্যাওয়ার্ড-এর গুরুত্বই বা কত? আরেকজন বললেন, কষ্ট তখনই লাগে যখন দেখি বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় রাজনীতিক ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরাও এসব অনুষ্ঠানে তথাকথিত অ্যাওয়ার্ড পেয়ে বা কারো হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দিয়ে পুলকিত হন। তারা কি জানেন বা জানতে চান যে কমিউনিটিতে ‘অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান’-এর নামে কি হচ্ছে, কে কাকে কি জন্যে অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে। অ্যাওয়ার্ডদাতারই বা কি যোগ্যতা, অ্যাওয়ার্ড গ্রহীতারই বা কি যোগ্যতা? তিনি আরো দু:খ করে বললেন, আমাদের এই নিউইয়র্কের কূটনীতিক আর রাজনীতিকরাও অ্যাওয়ার্ড নিচ্ছেন, অ্যাওয়ার্ড হাতে তুলে দিচ্ছেন! তাদের বিবেচনায় কি অনুষ্ঠানের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠে না। এসব নিয়ে কি মিডিয়াগুলো সোচ্চার হতে পারে না? তাদের মধ্যে কেউ কেউ দু’একটি মিডিয়ার নাম তুলে ধরে মিডিয়াগুলো সম্পর্কে এমন মন্তব্য করলেন তাতে একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে যেমন লজ্জা পাচ্ছিলাম তেমনি তাদের অভিযোগের ক্ষোভের মুখে বিব্রতবোধ করছিলাম। কি বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। শুধু বলালাম, আমি আপনাদের বক্তব্যের সাথে একমত। আর প্রশ্নগুলো নিয়ে আমার সহকর্মী বা বন্ধু সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করবো। মনে হলো আমার কথায় তারা সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। ১৪ ডিসেম্বর’২০১৪। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)