নিউইয়র্ক ০৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক স্লিপ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০১৫
  • / ৮৬৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: জ্যাকসন হাইটসে সাংবাদিক বন্ধুদের আড্ডা। ঢাকা ছাড়াও নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত চার/পাঁচজন একটি রেষ্টুরেন্টে বসে চা-সিঙ্গারা, সমুচা খাচ্ছিলেন আর নানা আলোচনা করছিলেন। ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা থেকে শুরু করে স্থানীয় কোন পত্রিকায় কি রিপোর্ট হচ্ছে, কেমন রিপোর্ট হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের মাঝে যেতেই চায়ের আমন্ত্রণের পাশাপাশি এক বন্ধু একটি রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বললেন, ভাই ইউএনএ’র রিপোর্ট প্রকাশ করে তো আমরা বিপদে পড়েছি। জিজ্ঞাসা করলাম কেন? বললেন, ইউএনএ’র রিপোর্টে একটি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য সহ বিস্তারিত থাকলেও আমাদের সম্পাদকীয় বিভাগ ঐ সংগঠনের সভাপতির বক্তব্যকে হেডলাইন করে রিপোর্টটি প্রকাশ করায় সাধারণ সম্পাদক নাখোশ হয়েছেন। তিনি শুধু নাখোশ-ই হননি, রীতিমত বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়ারও হুমকী দিয়েছেন। তার অভিযোগ তাকে বাদ দিয়ে পত্রিকাটি সভাপতির পক্ষাবলম্বন করেছে! অথচ রিপোর্টে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য রয়েছে। এখানে পক্ষপাতিত্বের কোন প্রশ্নই উঠে না। আরেক সহকর্মী বন্ধু বললেন, এখন অনেকেই বিজ্ঞাপনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। আগে এমনটি ছিলো না। অন্য বন্ধুরা আলোচনায় অংশ নিয়ে বললেন, কমিউনিটিতে প্রয়োজনের তুলনায় মিডিয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলেই এমনটি হচ্ছে। আরেক সহকর্মী বন্ধু একটু ক্ষোভের সাথেই বললেন, নিউইয়র্কের মিডিয়া নিয়ে আলোচনা করে লাভ কি? হাতেগোনা কয়েকটি মিডিয়া ছাড়া অন্যগুলো কি আসলেই মিডিয়া, নাকি বিজ্ঞাপন প্রচারপত্র? আলোচনা অন্য পর্যায়ে চলে যাওয়ার আগেই ‘কাজ’-এর অজুহাত দেখিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম। ০১ নভেম্বর’২০১৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

এক স্লিপ

প্রকাশের সময় : ০১:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: জ্যাকসন হাইটসে সাংবাদিক বন্ধুদের আড্ডা। ঢাকা ছাড়াও নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত চার/পাঁচজন একটি রেষ্টুরেন্টে বসে চা-সিঙ্গারা, সমুচা খাচ্ছিলেন আর নানা আলোচনা করছিলেন। ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা থেকে শুরু করে স্থানীয় কোন পত্রিকায় কি রিপোর্ট হচ্ছে, কেমন রিপোর্ট হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের মাঝে যেতেই চায়ের আমন্ত্রণের পাশাপাশি এক বন্ধু একটি রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বললেন, ভাই ইউএনএ’র রিপোর্ট প্রকাশ করে তো আমরা বিপদে পড়েছি। জিজ্ঞাসা করলাম কেন? বললেন, ইউএনএ’র রিপোর্টে একটি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য সহ বিস্তারিত থাকলেও আমাদের সম্পাদকীয় বিভাগ ঐ সংগঠনের সভাপতির বক্তব্যকে হেডলাইন করে রিপোর্টটি প্রকাশ করায় সাধারণ সম্পাদক নাখোশ হয়েছেন। তিনি শুধু নাখোশ-ই হননি, রীতিমত বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়ারও হুমকী দিয়েছেন। তার অভিযোগ তাকে বাদ দিয়ে পত্রিকাটি সভাপতির পক্ষাবলম্বন করেছে! অথচ রিপোর্টে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য রয়েছে। এখানে পক্ষপাতিত্বের কোন প্রশ্নই উঠে না। আরেক সহকর্মী বন্ধু বললেন, এখন অনেকেই বিজ্ঞাপনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। আগে এমনটি ছিলো না। অন্য বন্ধুরা আলোচনায় অংশ নিয়ে বললেন, কমিউনিটিতে প্রয়োজনের তুলনায় মিডিয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলেই এমনটি হচ্ছে। আরেক সহকর্মী বন্ধু একটু ক্ষোভের সাথেই বললেন, নিউইয়র্কের মিডিয়া নিয়ে আলোচনা করে লাভ কি? হাতেগোনা কয়েকটি মিডিয়া ছাড়া অন্যগুলো কি আসলেই মিডিয়া, নাকি বিজ্ঞাপন প্রচারপত্র? আলোচনা অন্য পর্যায়ে চলে যাওয়ার আগেই ‘কাজ’-এর অজুহাত দেখিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম। ০১ নভেম্বর’২০১৫