গাজায় পৌঁছাবে কি ত্রাণবাহী জাহাজ?
- প্রকাশের সময় : ০৩:৫৮:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
- / ৩৯ বার পঠিত
গাজায় ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকট বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কতার মধ্যেই সমুদ্রপথে প্রায় ২০০ টন ত্রাণ নিয়ে একটি জাহাজ মঙ্গলবার সাইপ্রাস ছেড়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত গাজায় জাহাজটি ভিড়তে পারবে কি না সে বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত। কারণ উপকূল গাজার হলেও সমুদ্রে এটি নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েল।
ত্রাণের জাহাজের এই প্রকল্প, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্পেনের দাতব্য সংস্থা প্রোঅ্যাক্টিভা ওপেন আর্মস এবং সাহায্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের যৌথ উদ্যোগে চালু করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের
গাজায় ত্রাণ সরবরাহে নিয়োজিত ট্রাকগুলোর সরবরাহের সীমাবদ্ধতায়, গাজার উপকূলে একটি জেটি নির্মানের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যাতে করে সমুদ্র পথে ত্রাণ সরবরাহ সহজ হয়। ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের প্রতিষ্ঠাতা জোসে আন্দ্রেস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, জাহাজটি তার যাত্রাপথে রয়েছে এবং প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হবে কোনরকম চেষ্টাই না করা।
গাজা উপকূলরেখায় একটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ শুরু করতে ভূমধ্যসাগরের দিকে রওনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মিশন। তবে, স্থাপনাটি তৈরি করতে এবং কার্যক্রম চালু হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সাইপ্রাসের জাহাজটিতে হামাসের জন্য কোন অস্ত্র লুকানো নেই এটা নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনী পরিদর্শন করার পরই গাজার অস্থায়ী জেটিতে আরও খাদ্য এবং চিকিৎসা সরবরাহ প্রেরণ করা হতে পারে।
২০০৭ সালে হামাস গাজার শাসক নির্বাচিত হওয়ার পর ইসরায়েলি নৌবাহিনী এই অঞ্চলে আর কোনো স্থাপনা বানানোর সুযোগ দেয়নি। ফলে এই অঞ্চলে কোন বন্দর অবকাঠামো নেই। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও প্রায় ৭৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এদিকেফিলিস্তিনের গাজা শহরের দক্ষিণে কুয়েত গোলচত্বরে ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খাবারের অভাবে যখন ফিলিস্তিনি শিশুরা মারা যাচ্ছে, এমন সময় দখলদার ইসরায়েল আবারও এমন নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটালো। জাতিসংঘের মতে, প্রায় ৮৫ শতাংশ গাজাবাসী খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতির মধ্যে ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যেখানে ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
হককথা/নাছরিন