নিউইয়র্ক ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হামাস কী, কেনইবা গাজায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ করছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৫ বার পঠিত

৭ অক্টোবরের হামলার সময় নিজেদের অধিকারে নেওয়া ইসরাইলি ট্যাংকে হামাস যোদ্ধারা। ছবি : বিবিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত বছরের অক্টোবরের শুরু থেকেই ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হামাসের যোদ্ধারা গাজা থেকে ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অপ্রত্যাশিতভাবে আক্রমণ করার পর এই যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের ওই হামলা ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা। তারপর থেকে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। চলমান অভিযানে ইতোমধ্যে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরাইলে হামাসের হামলার সময় কী ঘটেছিল
গত বছরের ৭ অক্টোবর সকালে হামাসের বন্দুকধারীদের একটি দল গাজার সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে ঢুকে পড়ে। সেই সঙ্গে গাজা থেকে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করা হয়। ওই দিন বন্দুকধারীদের হামলায় ১২০০ ইসরাইলি নিহত হওয়ার দাবি করেছে তেলআবিব।

বিবিসি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ এবং ৩৬৪ জন যুবক একটি সঙ্গীত উৎসবে ছিল। এছাড়া ওই অভিযানে হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। যার মধ্যে বিদেশি নাগরিকও ছিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, হামাসের হামলার সময় ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার প্রমাণও পাওয়া গেছে। যদিও ইসরাইলের এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। এমন হামাসের কাছ থেকে যেসব জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন, তারা স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির প্রশংসা করেছেন এ কারণে যে, তারা তাদের যত্মের সঙ্গে রেখেছিলেন।

হামাস কী এবং কেন ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ করছে
হামাস ২০০৭ সালের নির্বাচনে জয়ী হলেও তাদের পরো ফিলিস্তিনের ক্ষমতায় বসতে দেয়নি পশ্চিম তীর কেন্দ্রীক রাজনৈতিক দল ফাতাহ। মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন দলটি মূলত ইসরাইল ও পশ্চিমা সমর্থিত। এরপর থেকে গাজা উপত্যকা শাসন করছে হামাস।

সংগঠনটির একটি সশস্ত্র শাখা রয়েছে এবং সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত এর ৩০ হাজার যোদ্ধা ছিল বলে ধারণা করা হয়। ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলন শীর্ষক এ দলটি একটি ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। তাছাড়া হামাস ইসরাইলের অস্তিত্বের অধিকার প্রত্যাখ্যান করে এবং তার ‘ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

গত ৭ অক্টোবরের হামলার কারণ হিসেবে হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞকে দায়ী করেছে। অর্থাৎ তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা হামলাকে ন্যায্যতা দিয়েছে। হামলার কারণের মধ্যে রয়েছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ। কারণ ইসরাইলের দখলদারিত্ব থেকে আল-আকসা রক্ষা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হামাস ও ফিলিস্তিনিরা।

এছাড়া হামাস ইসরাইলের কারাগারে বন্দি হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মুক্তি চায়। সেই সঙ্গে ইসরাইল ও মিশর গাজা উপত্যকার ওপর যে অবরোধ করে রেখেছে তারও অবসান চায় সংগঠনটি। উভয় দেশই নিরাপত্তার অজুহাতে গাজার বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।

হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ইসরাইলের সাথে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছে, হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে এবং আরও অনেক মারাত্মক হামলা চালিয়েছে। ইসরাইল ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে হামাস তথা গাজার উপর ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে সেনা পাঠিয়েছে।

ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য হামাসকে, আবার কিছু ক্ষেত্রে শুধু সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
ইরান হামাসকে অর্থায়ন, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সমর্থন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গাজায় কেন যুদ্ধ করছে ইসরাইল
হামাসের সর্বশেষ হামলার জবাবে ইসরাইল অনতিবিলম্বে গাজায় বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক পরিসরে বিমান হামলা শুরু করে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরাইলের লক্ষ্য হলো হামাসকে ধ্বংস করা এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা।

হামলা শুরুর তিন সপ্তাহ পর ইসরাইল গাজায় স্থল আগ্রাসন শুরু করে। তাদের বাহিনী সাগর থেকেও গাজায় বোমাবর্ষণ করেছে। আক্রমণগুলি প্রাথমিকভাবে উত্তর গাজা, বিশেষ করে গাজা শহর এবং এর নিচে হামাসের তৈরি টানেলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। এই টানেলগুলোকে ইসরাইল হামাসের সামরিক শক্তির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করে।

গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তারা দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযান প্রসারিত করছে। এজন্য সেখান থেকে ফিলিস্তিনিদের চলে যাওয়ারও নির্দেশ দেয় তারা। এছাড়া পশ্চিম তীরেও অনেক হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলি হামলায় ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে উল্লেখ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আইডিএফ বলছে, তারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে এক হাজারেরও বেশি হামলাকারী ছাড়াও প্রায় নয় হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিন্তু কিভাবে এই পরিসংখ্যান পাওয়া গেল, তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি ইসরাইল।

ইসরাইল বলছে, গাজায় তাদের দুই শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হামাস কী, কেনইবা গাজায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ করছে

প্রকাশের সময় : ০৫:১৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত বছরের অক্টোবরের শুরু থেকেই ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হামাসের যোদ্ধারা গাজা থেকে ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অপ্রত্যাশিতভাবে আক্রমণ করার পর এই যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের ওই হামলা ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা। তারপর থেকে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। চলমান অভিযানে ইতোমধ্যে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরাইলে হামাসের হামলার সময় কী ঘটেছিল
গত বছরের ৭ অক্টোবর সকালে হামাসের বন্দুকধারীদের একটি দল গাজার সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে ঢুকে পড়ে। সেই সঙ্গে গাজা থেকে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করা হয়। ওই দিন বন্দুকধারীদের হামলায় ১২০০ ইসরাইলি নিহত হওয়ার দাবি করেছে তেলআবিব।

বিবিসি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ এবং ৩৬৪ জন যুবক একটি সঙ্গীত উৎসবে ছিল। এছাড়া ওই অভিযানে হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। যার মধ্যে বিদেশি নাগরিকও ছিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, হামাসের হামলার সময় ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার প্রমাণও পাওয়া গেছে। যদিও ইসরাইলের এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। এমন হামাসের কাছ থেকে যেসব জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন, তারা স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির প্রশংসা করেছেন এ কারণে যে, তারা তাদের যত্মের সঙ্গে রেখেছিলেন।

হামাস কী এবং কেন ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ করছে
হামাস ২০০৭ সালের নির্বাচনে জয়ী হলেও তাদের পরো ফিলিস্তিনের ক্ষমতায় বসতে দেয়নি পশ্চিম তীর কেন্দ্রীক রাজনৈতিক দল ফাতাহ। মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন দলটি মূলত ইসরাইল ও পশ্চিমা সমর্থিত। এরপর থেকে গাজা উপত্যকা শাসন করছে হামাস।

সংগঠনটির একটি সশস্ত্র শাখা রয়েছে এবং সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত এর ৩০ হাজার যোদ্ধা ছিল বলে ধারণা করা হয়। ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলন শীর্ষক এ দলটি একটি ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। তাছাড়া হামাস ইসরাইলের অস্তিত্বের অধিকার প্রত্যাখ্যান করে এবং তার ‘ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

গত ৭ অক্টোবরের হামলার কারণ হিসেবে হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞকে দায়ী করেছে। অর্থাৎ তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা হামলাকে ন্যায্যতা দিয়েছে। হামলার কারণের মধ্যে রয়েছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ। কারণ ইসরাইলের দখলদারিত্ব থেকে আল-আকসা রক্ষা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হামাস ও ফিলিস্তিনিরা।

এছাড়া হামাস ইসরাইলের কারাগারে বন্দি হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মুক্তি চায়। সেই সঙ্গে ইসরাইল ও মিশর গাজা উপত্যকার ওপর যে অবরোধ করে রেখেছে তারও অবসান চায় সংগঠনটি। উভয় দেশই নিরাপত্তার অজুহাতে গাজার বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।

হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ইসরাইলের সাথে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছে, হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে এবং আরও অনেক মারাত্মক হামলা চালিয়েছে। ইসরাইল ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে হামাস তথা গাজার উপর ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে সেনা পাঠিয়েছে।

ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য হামাসকে, আবার কিছু ক্ষেত্রে শুধু সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
ইরান হামাসকে অর্থায়ন, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সমর্থন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গাজায় কেন যুদ্ধ করছে ইসরাইল
হামাসের সর্বশেষ হামলার জবাবে ইসরাইল অনতিবিলম্বে গাজায় বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক পরিসরে বিমান হামলা শুরু করে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরাইলের লক্ষ্য হলো হামাসকে ধ্বংস করা এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা।

হামলা শুরুর তিন সপ্তাহ পর ইসরাইল গাজায় স্থল আগ্রাসন শুরু করে। তাদের বাহিনী সাগর থেকেও গাজায় বোমাবর্ষণ করেছে। আক্রমণগুলি প্রাথমিকভাবে উত্তর গাজা, বিশেষ করে গাজা শহর এবং এর নিচে হামাসের তৈরি টানেলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। এই টানেলগুলোকে ইসরাইল হামাসের সামরিক শক্তির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করে।

গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তারা দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযান প্রসারিত করছে। এজন্য সেখান থেকে ফিলিস্তিনিদের চলে যাওয়ারও নির্দেশ দেয় তারা। এছাড়া পশ্চিম তীরেও অনেক হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলি হামলায় ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে উল্লেখ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আইডিএফ বলছে, তারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে এক হাজারেরও বেশি হামলাকারী ছাড়াও প্রায় নয় হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিন্তু কিভাবে এই পরিসংখ্যান পাওয়া গেল, তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি ইসরাইল।

ইসরাইল বলছে, গাজায় তাদের দুই শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

হককথা/নাছরিন