গাজা সীমান্ত পরিদর্শনের পর যা বললেন গুতেরেস
- প্রকাশের সময় : ১১:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
- / ১০৩ বার পঠিত
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন করে আহ্বান জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শনিবার (২৩ মার্চ) গাজা সীমান্তবর্তী মিসরের ভূখণ্ড পরিদর্শনের সময় এ আহ্বান জানান তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে চীন ও রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার পরদিনই মিসরের সীমান্ত সফরে গিয়েছেন গুতেরেস। রাফাহ ক্রসিংয়ের মিসর অংশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, সময় এসেছে যুদ্ধ বন্ধ করার। গাজাজুড়ে তীব্র মানবিক বিপর্যয়ে নিরবচ্ছিন্ন ত্রাণসামগ্রী প্রবেশে সহায়তা করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, গাজা সীমান্তে মিসরের উত্তরাঞ্চলীয় সিনাই উপত্যকার আল আরিশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন গুতেরেস। এই অঞ্চলেই গাজাবাসীদের জন্য ত্রাণসামগ্রী মজুদ করা হয় এবং এখানকার অন্যতম প্রবেশপথ দিয়ে রাফাহ শহরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে তিনি আল আরিশের একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন যেখানে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাফাহ ক্রসিং গাজায় ত্রাণ সাহায্য প্রবেশের অন্যতম প্রধান প্রবেশপথ। কিন্তু ইসরায়েলি অনুমোদনের জন্য এখানে অপেক্ষা করছে ত্রাণভর্তি ট্রাকের দীর্ঘ সারি।
গাজাবাসীর জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশকে বিলম্বিত করতেই ইসরায়েল পরিদর্শন প্রক্রিয়ায় দেরি করছে বলে অভিযোগ করেছে পশ্চিমা দেশ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দেওয়ার সময় এই সফরে এলেন গুতেরেস। রাফাহ শহরে হামলা পরিকল্পনা না করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেই আহ্বান উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কোনও শক্তিই ইসরায়েলকে তার লক্ষ অর্জনে বাধা দিতে পারবে না।
যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছে গাজার মোট জনসংখ্যার অন্তত অর্ধেক অধিবাসী। যদিও গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ। তবে পুরো উপত্যকাজুড়েই বেসামরিক নাগরিকদের দুর্দশা বাড়ছে।
এর আগে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে পুরো অঞ্চলেই দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৭৪ হাজার ২৯৮ জন। আর হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।