যুক্তরাষ্ট্র -দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া, নির্ভার উত্তর কোরিয়া

- প্রকাশের সময় : ০৬:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
- / ১৪৭ বার পঠিত
বড় ধরনের বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার (৪ মার্চ) থেকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি জোরদার করতেই যৌথ এই মহড়া শুরু করেছে তারা। খবর রয়টার্সের।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ফ্রিডম শিল্ড’ অনুশীলন নামে পরিচিত ‘কম্পিউটার-সিমুলেটেড কমান্ড পোস্ট’ প্রশিক্ষণ শুরু করেছে তারা। সোমবার শুরু হয়ে এই প্রশিক্ষণ চলবে টানা ১৪ মার্চ পর্যন্ত।
পিয়ংইয়ং ২০১৮ সালের নভেম্বরে আন্ত-কোরিয়ান সামরিক চুক্তি বাতিল করার পর এই প্রথম যৌথ মহড়া শুরু করল।
যৌথ এই মহড়ার তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি উত্তর কোরিয়া। তবে এ ধরনের যৌথ মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় এর আগে উস্কানিমূলক অস্ত্র পরীক্ষা করেছে দেশটি। চলতি বছরের শুরুতেও ছয় বার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া স্বল্প ও দূর পাল্লার বন্দুক ও মর্টার শেলের মহড়া চালিয়েছে তারা।
দেশটির নেতা কিম জং উন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বিতর্কিত সমুদ্র সীমানা বরাবর আরও আক্রমণাত্মক সামরিক বাহিনী মোতায়েন করবে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিলে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র তার মন্তব্যকে স্পষ্ট হুমকি হিসেবে নিয়েছে।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানান, এই বসন্তে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর সাথে ৪৮টি মাঠ পর্যায়ের মহড়া পরিচালনা করবে তারা, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এই মহড়ার মধ্যে গুলি, বোমাবর্ষণ, ক্ষেপণান্ত্র ও বিমান হামলাও অন্তর্ভুক্ত।
নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তবে কোরীয় উপদ্বীপ বা এই অঞ্চলে তার আক্রমণের সম্ভবনা কম। কারণ উত্তর জানে তার সামরিক বাহিনী এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাহিনীর তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
হককথা/নাছরিন