গাজায় ত্রাণবন্দর নির্মাণের যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব তামাশা: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
- প্রকাশের সময় : ০৬:২৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
- / ১০১ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য গাজা উপকূলে একটি অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার স্টেট অব দা ইউনিয়ন ভাষণে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। ওই বন্দরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের কাছে পাঠানো ত্রাণ সহায়তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং প্রতিদিন অতিরিক্ত কয়েকশ ট্রাকে করে এসব ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে এর আওতায় গাজার মাটিতে কোন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পাঠানো হবে না।
এদিকে গাজায় ত্রাণ নেয়ার জন্যে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের জন্যে একটি তামাশাপূর্ণ নাটক এবং এ দিয়ে গণঅনাহার দূর করা সম্ভব হবে না। জাতিসংঘের একজন মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ শুক্রবার এ কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার তার স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে এ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। তিনি অবরুদ্ধ গাজায় আরো ত্রান পাঠানোর সুযোগ দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে চালানো ইসরাইলের অভিযানকেও সমর্থন করেন।
কংগ্রেসকে বাইডেন বলেন, একটি জেটি নির্মাণের মাধ্যমে গাজায় আরো মানবিক সহায়তা পাঠানো সম্ভব হবে। কিন্তু তার এ পরিকল্পনা নাকচ করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক মাইকেল ফাখরি বলেছেন, কেউ নৌ জেটির কথা বলেনি। না ফিলিস্তিনি জনগণ, না মানবাধিকার বিষয়ক ত্রাণ কমিউনিটির কেউ।
তিনি বলেছেন, কোন জেটি কিংবা আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা বাড়িয়েও ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ এড়ানো সম্ভব হবে না। ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগকে তিনি অযৌক্তিক, নিষ্ঠুর ও তামাশা বলে বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলার কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষ অনিবার্য বলে একাধিকবার সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ফাখরি বলেছেন, এ মুহুর্তে গাজার প্রতিটি লোক ক্ষুধার্ত। এদিকে গাজায় ইসরাইলের চলমান হামলায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮৭৮ জন নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। সূত্র: বাসস