নিউইয়র্ক ০৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হুতিদের ৩৬ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৯ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ থেকে ইয়েমেনে হুতিদের স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের দৃশ্য। ছবি : ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হুতিদের ওপর তৃতীয় দফার যৌথ হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে। এতে সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

একটি যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইয়েমেনের ১৩টি জায়গায় ৩৬টি স্থাপনায় এই হামলা চালানো হয়।এর লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ‘অস্ত্র মজুদকেন্দ্র, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও লঞ্চার, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডার’-এ হামলা চালানো হয়েছে । হুতিবিরোধী জোটের মতে, তারা উপকূলীয় ড্রোন কন্ট্রোল কেন্দ্রও এতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, নতুন এই হামলা ‘তীব্রতা বৃদ্ধি নয়’ এবং হুতিদের ক্ষমতাকে ‘আরো অবনমিত করার বিদ্যমান মিশনেরই একটা অংশ’। গত রবিবার ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গ্রুপ জর্দানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ছাউনিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালায়। তার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন টার্গেটে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা করছে। তার এক দিন পর শনিবার রাতে ইয়েমেনে হুতি স্থাপনায় এই হামলা হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডেভিড শ্যাঙ্কার ইয়েমেনে হুতিদের ওপর হামলার বিষয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। এই অঞ্চলের বর্তমান ল্যান্ডস্কেপের কথা উল্লেখ করে শ্যাঙ্কার বলেছেন, সুয়েজ খালে জাহাজ চলাচল ৫০ শতাংশ কমে গেছে।

তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘হুতিদের বিষয়ে অবশ্যই কিছু করতে হবে। এটা শুরু মাত্র।’ কিন্তু ইরানকে উল্লেখ করে শেঙ্কার আরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘শুধু প্রক্সির পেছনে যেতে পারে না এবং এমনকি পৃষ্ঠপোষকদের পেছনেও যেতে পারে না’। এখন পর্যন্ত সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে মিলিশিয়া ও তাদের সহযোগী গ্রুপগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইরানের কোনো এলাকায় হামলা চালানো হয়নি।

এর আগে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের পাল্টা জবাব আজ শুরু হয়েছে। এর সময় ও স্থান পছন্দের ভিত্তিতে চলমান থাকবে।’ যদিও এর আগে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে হামলায় যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, ‘তারা প্রতিরোধ গ্রুপগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত নয়।’

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি সিরিয়ায় জর্দান সীমান্তের কাছে এক যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন সেনা নিহত হন। আহত হয় অন্তত ১২ জন। সে সময়ই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ইরান সমর্থিত কট্টর সশস্ত্র গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে এবং এর জবাব দেওয়া হবে।

সিরিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব জর্দানের রুকবানে এই ড্রোন হামলা হয়েছে। পরে এই বেইজের নামকরণ টাওয়ার ২২ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা । প্রতিক্রিয়ায় ৩র ফেব্রুয়ারি সিরিয়া ও ইরাকের ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জর্দানে তাদের এক সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই পাল্টাহামলা চালিয়েছে। কন্টেইনার ঘাঁটিতে মনুষ্যবিহীন এই ড্রোন হামলায় ৪০ জনের বেশি সামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।

হামলার সময় ‘টাওয়ার ২২’তে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিলে বলে সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। যখন একটি যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন সেনাঘাঁটির দিকে ফিরে আসছিল তখনই হামলাকারী ড্রোনটিও আঘাত হানে। তারা আরো জানিয়েছেন, কোনো সতর্কতা ছাড়াই যখন ড্রোন হামলা হয়, সেনারা তখন তাঁদের বিমান ছাউনিতে ঘুমানোর কোয়ার্টারে ছিল।

এ হামলায় সন্দেহভাজন গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গ জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি জানিয়েছেন, প্রতিরোধ দলগুলো কিভাবে ফিলিস্তিনিদের বা নিজেদের ভূ-খণ্ডকে রক্ষা করবে সে সিদ্ধান্তের গ্রহণের সঙ্গে তারা যুক্ত নয়।

ইরাকের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স এই হামলা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে। ২০২৩ সালে ইরাকভিত্তিক এই সশস্ত্র আমব্রেলা গ্রুপের আবির্ভাব ঘটে, যার সঙ্গে ইরানি মিলিশিয়াদের সম্পৃক্ততার আছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর সাম্প্রতিক হামলাগুলোর দায় তারা স্বীকার করেছে।

এক বিবৃতিতে এই গ্রুপ জানিয়েছে, তারা সিরিয়াতে শাদ্দাদি, তানফ ও রুকবানে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ঘাঁটি টার্গেট করেছিলে। যদিও রুকবান সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী জর্দান সীমান্তে পড়েছে। এই গ্রুপটি আরো বলেছে, তারা ভূমধ্যসাগরে একটি ইসরায়েলি তেলের স্থাপনাকে ও টার্গেট করেছিলে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ওই অঞ্চলে এই প্রথম কোনো যুক্তরাষ্ট্রের সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মতে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে আরো হামলা হয়েছে, কিন্তু রবিবারের আগে কোনো প্রাণহানি হয়নি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৭ অক্টোবর থেকে ইরাক ও সিরিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সাইটগুলোতে ১৬৫ বার হামলা হয়েছে। গত মাসে উত্তর ইরাকের একটি ঘাঁটিতে তাদের তিন সেনা আহত ও একজন গুরুতর আহত হওয়ার পর ইরান সমর্থিত এই দলগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জানুয়ারির শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় বাগদাদে এক মিলিশিয়া নেতা নিহত হন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। সূত্র : বিবিসি

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হুতিদের ৩৬ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলা

প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হুতিদের ওপর তৃতীয় দফার যৌথ হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে। এতে সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

একটি যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইয়েমেনের ১৩টি জায়গায় ৩৬টি স্থাপনায় এই হামলা চালানো হয়।এর লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ‘অস্ত্র মজুদকেন্দ্র, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও লঞ্চার, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডার’-এ হামলা চালানো হয়েছে । হুতিবিরোধী জোটের মতে, তারা উপকূলীয় ড্রোন কন্ট্রোল কেন্দ্রও এতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, নতুন এই হামলা ‘তীব্রতা বৃদ্ধি নয়’ এবং হুতিদের ক্ষমতাকে ‘আরো অবনমিত করার বিদ্যমান মিশনেরই একটা অংশ’। গত রবিবার ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গ্রুপ জর্দানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ছাউনিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালায়। তার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন টার্গেটে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা করছে। তার এক দিন পর শনিবার রাতে ইয়েমেনে হুতি স্থাপনায় এই হামলা হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডেভিড শ্যাঙ্কার ইয়েমেনে হুতিদের ওপর হামলার বিষয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। এই অঞ্চলের বর্তমান ল্যান্ডস্কেপের কথা উল্লেখ করে শ্যাঙ্কার বলেছেন, সুয়েজ খালে জাহাজ চলাচল ৫০ শতাংশ কমে গেছে।

তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘হুতিদের বিষয়ে অবশ্যই কিছু করতে হবে। এটা শুরু মাত্র।’ কিন্তু ইরানকে উল্লেখ করে শেঙ্কার আরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘শুধু প্রক্সির পেছনে যেতে পারে না এবং এমনকি পৃষ্ঠপোষকদের পেছনেও যেতে পারে না’। এখন পর্যন্ত সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে মিলিশিয়া ও তাদের সহযোগী গ্রুপগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইরানের কোনো এলাকায় হামলা চালানো হয়নি।

এর আগে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের পাল্টা জবাব আজ শুরু হয়েছে। এর সময় ও স্থান পছন্দের ভিত্তিতে চলমান থাকবে।’ যদিও এর আগে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে হামলায় যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, ‘তারা প্রতিরোধ গ্রুপগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত নয়।’

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি সিরিয়ায় জর্দান সীমান্তের কাছে এক যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন সেনা নিহত হন। আহত হয় অন্তত ১২ জন। সে সময়ই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ইরান সমর্থিত কট্টর সশস্ত্র গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে এবং এর জবাব দেওয়া হবে।

সিরিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব জর্দানের রুকবানে এই ড্রোন হামলা হয়েছে। পরে এই বেইজের নামকরণ টাওয়ার ২২ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা । প্রতিক্রিয়ায় ৩র ফেব্রুয়ারি সিরিয়া ও ইরাকের ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জর্দানে তাদের এক সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই পাল্টাহামলা চালিয়েছে। কন্টেইনার ঘাঁটিতে মনুষ্যবিহীন এই ড্রোন হামলায় ৪০ জনের বেশি সামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।

হামলার সময় ‘টাওয়ার ২২’তে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিলে বলে সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। যখন একটি যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন সেনাঘাঁটির দিকে ফিরে আসছিল তখনই হামলাকারী ড্রোনটিও আঘাত হানে। তারা আরো জানিয়েছেন, কোনো সতর্কতা ছাড়াই যখন ড্রোন হামলা হয়, সেনারা তখন তাঁদের বিমান ছাউনিতে ঘুমানোর কোয়ার্টারে ছিল।

এ হামলায় সন্দেহভাজন গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গ জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি জানিয়েছেন, প্রতিরোধ দলগুলো কিভাবে ফিলিস্তিনিদের বা নিজেদের ভূ-খণ্ডকে রক্ষা করবে সে সিদ্ধান্তের গ্রহণের সঙ্গে তারা যুক্ত নয়।

ইরাকের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স এই হামলা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে। ২০২৩ সালে ইরাকভিত্তিক এই সশস্ত্র আমব্রেলা গ্রুপের আবির্ভাব ঘটে, যার সঙ্গে ইরানি মিলিশিয়াদের সম্পৃক্ততার আছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর সাম্প্রতিক হামলাগুলোর দায় তারা স্বীকার করেছে।

এক বিবৃতিতে এই গ্রুপ জানিয়েছে, তারা সিরিয়াতে শাদ্দাদি, তানফ ও রুকবানে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ঘাঁটি টার্গেট করেছিলে। যদিও রুকবান সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী জর্দান সীমান্তে পড়েছে। এই গ্রুপটি আরো বলেছে, তারা ভূমধ্যসাগরে একটি ইসরায়েলি তেলের স্থাপনাকে ও টার্গেট করেছিলে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ওই অঞ্চলে এই প্রথম কোনো যুক্তরাষ্ট্রের সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মতে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে আরো হামলা হয়েছে, কিন্তু রবিবারের আগে কোনো প্রাণহানি হয়নি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৭ অক্টোবর থেকে ইরাক ও সিরিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সাইটগুলোতে ১৬৫ বার হামলা হয়েছে। গত মাসে উত্তর ইরাকের একটি ঘাঁটিতে তাদের তিন সেনা আহত ও একজন গুরুতর আহত হওয়ার পর ইরান সমর্থিত এই দলগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জানুয়ারির শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় বাগদাদে এক মিলিশিয়া নেতা নিহত হন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। সূত্র : বিবিসি

হককথা/নাছরিন