পাকিস্তানের মালাকান্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পুলিশ অভিযুক্ত অধ্যাপককে হেফাজতে নিয়েছেন। পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার মুহিবুল্লাহ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর জিও নিউজের।

এক বিবৃতিতে মুহিবুল্লাহ খান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির এক শিক্ষার্থী ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে গত কয়েক মাস ধরে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাই পুলিশের কাছে সহায়তা চেয়েছেন। ডেপুটি কমিশনার আরও বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গত ৪ ফেব্রুয়ারি মালাকান্দ জেলার পুল চৌকির লেভিস পোস্টে মামলা দায়ের করেন।

দায়ের করা এফআইআর থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাবিত গ্রামের বাসিন্দা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগে পড়েন। তিনি অভিযোগ করেন, কয়েক দিন ধরেই অধ্যাপক ভুক্তভোগীর ওপর যৌন হয়রানি করছিলেন। এমনকি ওই অধ্যাপক তার বাড়িতেও প্রবেশ করেছিলেন। জোর করে তার হাত ধরে পরিবারের সামনে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন।

ওই শিক্ষার্থী এফআইআরে আরও অভিযোগ করেন, পেশোয়ারের সন্দেহভাজন আরেক ব্যক্তি গত কয়েক মাস ধরে তাকে অনুসরণ করছে। যৌন হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতনের চেষ্টা করেছে। এমন ঘটনার পর তিনি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্টকে জানান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন মালাকান্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন। কমিটি এখন ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য রেকর্ড করবে। তদন্ত কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পরপরই অধ্যাপককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।