নিউইয়র্ক ১০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আসন্ন লোকসভায় ৪২ আসনের ২৬টিতেই নতুন মুখ তৃণমূলের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১ বার পঠিত

তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আসন্ন লোকসভা প্রার্থী তালিকায় ৪২ আসনের মধ্যে ২৬ আসনে নতুন মুখ এনেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। বেশ কিছু পুরোনো সংসদ সদস্যকে প্রার্থী করা হয়েছে। এই তালিকা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।

প্রার্থিতালিকায় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান বা কীর্তি আজাদের মতো নাম চমক দিয়েছে। তবে নতুন মুখেদের একটা বড় অংশ লোকসভার বাইরের জনপ্রতিনিধি। এমনকি, মন্ত্রীও! মোট ১১ জন বিধায়ককে লোকসভার টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। তাদের মধ্যে দু’জন আবার রাজ্যের মন্ত্রী। পাশাপাশি, কয়েক মাস আগে রাজ্যসভায় পাঠানো এক সংসদ সদস্যও লোকসভায় প্রার্থী হচ্ছেন। ১৬ জন বিদায়ী সংসদ সদস্যকে আবার লোকসভার টিকিট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


২৬ আসনে নতুন মুখ এনেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বেশ কিছু নেতা জায়গা পেয়েছেন প্রার্থী তালিকায়। এদের মধ্যে রয়েছেন একসময় কংগ্রেস করা বিজেপির নেতা বালুরঘাটের বিপ্লব মিত্র, বনগাঁর বিশ্বজিৎ দাস বা রানাঘাটের মুকুটমণি অধিকারী। তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন।

লোকসভা ভোটে ১১টি আসনে তফসিলি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে প্রার্থী করা হয়েছে। তফসিলি জনজাতি থেকে দু’জন এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির দু’জনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ১২ জন। মোট ১১টি নতুন মুখ। দার্জিলিং থেকে গোপাল লামা, মালদহ উত্তরে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মালদহ দক্ষিণে শাহনওয়াজ আলি রায়হানকে প্রার্থী করা হয়েছে। ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুর, হুগলিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরামবাগে মিতালি বাগ, তমলুকে তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কালীপদ সরেন, বিষ্ণুপুরে সুজাতা মণ্ডল, বর্ধমান পূর্বে শর্মিলা সরকার এবং বর্ধমান-দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদকে। বিজেপি ফেরত সাত জনকে লোকসভায় লড়তে পাঠাচ্ছে তৃণমূল। এঁরা হলেন কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাস, মুকুটমণি অধিকারী, বিপ্লব মিত্র, শত্রুঘ্ন সিন্‌হা এবং কীর্তি আজাদ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অর্জুন সিং নিজে এবার মনোনয়ন পাননি এবং স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্ট। অতীতে তিনি বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েও নির্বাচন জিতেছেন। প্রশ্ন হলো, তিনি আবার দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ব্যারাকপুর আসনে দাঁড়াবেন কি না। এই একই প্রশ্ন তৃণমূলের আরও অনেকের সম্পর্কেই করা যায়, যারা আজ মনোনয়ন পাননি।

এসব বঞ্চিত নেতার কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসন ঘোষণার ফাঁকে বলেছেন, ‘আমি মনের মতো প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করেছি, তবে দু–একজনকে দিতে পারিনি। এ জন্য আমি দুঃখিত। তবে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন (২০২৬) আসছে। আমি চেষ্টা করব, এঁদের সেখানে প্রার্থী করার। সূত্র :’দৈনিক ইত্তেফাক

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আসন্ন লোকসভায় ৪২ আসনের ২৬টিতেই নতুন মুখ তৃণমূলের

প্রকাশের সময় : ০২:১৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

আসন্ন লোকসভা প্রার্থী তালিকায় ৪২ আসনের মধ্যে ২৬ আসনে নতুন মুখ এনেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। বেশ কিছু পুরোনো সংসদ সদস্যকে প্রার্থী করা হয়েছে। এই তালিকা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।

প্রার্থিতালিকায় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান বা কীর্তি আজাদের মতো নাম চমক দিয়েছে। তবে নতুন মুখেদের একটা বড় অংশ লোকসভার বাইরের জনপ্রতিনিধি। এমনকি, মন্ত্রীও! মোট ১১ জন বিধায়ককে লোকসভার টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। তাদের মধ্যে দু’জন আবার রাজ্যের মন্ত্রী। পাশাপাশি, কয়েক মাস আগে রাজ্যসভায় পাঠানো এক সংসদ সদস্যও লোকসভায় প্রার্থী হচ্ছেন। ১৬ জন বিদায়ী সংসদ সদস্যকে আবার লোকসভার টিকিট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


২৬ আসনে নতুন মুখ এনেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বেশ কিছু নেতা জায়গা পেয়েছেন প্রার্থী তালিকায়। এদের মধ্যে রয়েছেন একসময় কংগ্রেস করা বিজেপির নেতা বালুরঘাটের বিপ্লব মিত্র, বনগাঁর বিশ্বজিৎ দাস বা রানাঘাটের মুকুটমণি অধিকারী। তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন।

লোকসভা ভোটে ১১টি আসনে তফসিলি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে প্রার্থী করা হয়েছে। তফসিলি জনজাতি থেকে দু’জন এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির দু’জনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ১২ জন। মোট ১১টি নতুন মুখ। দার্জিলিং থেকে গোপাল লামা, মালদহ উত্তরে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মালদহ দক্ষিণে শাহনওয়াজ আলি রায়হানকে প্রার্থী করা হয়েছে। ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুর, হুগলিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরামবাগে মিতালি বাগ, তমলুকে তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কালীপদ সরেন, বিষ্ণুপুরে সুজাতা মণ্ডল, বর্ধমান পূর্বে শর্মিলা সরকার এবং বর্ধমান-দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদকে। বিজেপি ফেরত সাত জনকে লোকসভায় লড়তে পাঠাচ্ছে তৃণমূল। এঁরা হলেন কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাস, মুকুটমণি অধিকারী, বিপ্লব মিত্র, শত্রুঘ্ন সিন্‌হা এবং কীর্তি আজাদ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অর্জুন সিং নিজে এবার মনোনয়ন পাননি এবং স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্ট। অতীতে তিনি বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েও নির্বাচন জিতেছেন। প্রশ্ন হলো, তিনি আবার দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ব্যারাকপুর আসনে দাঁড়াবেন কি না। এই একই প্রশ্ন তৃণমূলের আরও অনেকের সম্পর্কেই করা যায়, যারা আজ মনোনয়ন পাননি।

এসব বঞ্চিত নেতার কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসন ঘোষণার ফাঁকে বলেছেন, ‘আমি মনের মতো প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করেছি, তবে দু–একজনকে দিতে পারিনি। এ জন্য আমি দুঃখিত। তবে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন (২০২৬) আসছে। আমি চেষ্টা করব, এঁদের সেখানে প্রার্থী করার। সূত্র :’দৈনিক ইত্তেফাক

হককথা/নাছরিন