ভারতের তিন শহরে বন্ধ হয়ে গেল ট্রান্সজেন্ডার ক্লিনিক

- প্রকাশের সময় : ১১:১৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
- / ৯১ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিতের পর ভারতের তিন শহরে বন্ধ হয়ে গেল ট্রান্সজেন্ডার ক্লিনিক। ট্রান্সজেন্ডার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ২০২১ সালে ভারতের দক্ষিণের শহর হায়দ্রাবাদে যাত্রা শুরু করে মিত্র নামের ক্লিনিকটি। হাজার হাজার ট্রান্সজেন্ডারকে এইচআইভি চিকিৎসা, সহায়তা ও পরামর্শ সেবা দিয়ে আসছিল এ ক্লিনিক। একই বছর পশ্চিম ভারতের থান ও পুনে শহরে মিত্র ক্লিনিকের দুটি শাখা যাত্রা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিতের কারণে এ দুটির কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। ক্লিনিক তিনটি ইউএসএআইডির তহবিলে পরিচালিত হতো। ভারতে মিত্র ক্লিনিকগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাসেবার ওপর প্রভাব পড়েছে।
ক্লিনিকের ইনচার্জ ট্রান্সজেন্ডার রাছানা মুদ্রাবয়িনা বিবিসিকে জানান, সেবা দেয়ার বিনিময়ে প্রতি মাসে আড়াই লাখ রুপি পেতেন তারা। মাসে অন্তত দেড় থেকে দুশো রোগীকে সেবা দিত হাসপাতালগুলো। রোগীদের অধিকাংশই এইচআইভি আক্রান্ত। ক্লিনিক বন্ধের খবরে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে। ভারতের প্রায় ২০ লাখ ট্রান্সজেন্ডার মানুষ রয়েছেন বলে অনুমান করা হয়। যদিও এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে দাবি করছেন সমাজকর্মীরা।
ক্লিনিকের কর্মীরা বলছেন, তারা বিকল্প উৎস থেকে তহবিল পাওয়ার চেষ্টা করছেন। সরকার তাদের সহায়তায় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছেন তারা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য সব বিদেশী সহায়তা বন্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চান তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে বিদেশী ব্যয় ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করা হোক। ১৯৬০-এর দশক থেকে বিদেশে মানবিক সহায়তার তদারকি করছে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ইউএসএআইডি। ট্রাম্প সংস্থাটির বিরুদ্ধে কঠোর দমন নীতি গ্রহণ করেছেন। ইউএসএআইডির বিভিন্ন তহবিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী কয়েক ডজন উন্নয়ন কর্মসূচিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, বিশেষ করে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। সূত্র : বণিক বার্তা।