শাহরুখ খানের মধ্যস্থতায় মুক্তি মেলে সেই ভারতীয়দের
- প্রকাশের সময় : ০৭:১৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৯৫ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক আট কর্মকর্তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ার সাড়ে তিন মাস পর তাদের মুক্তি দিয়েছে কাতার সরকার। তাদের মধ্যে সাতজন এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন। আর কাতার থেকে এই আট ভারতীয় নাগরিকের মুক্তির পেছনে মূল কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। এমনটাই দাবি করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা ও রাজ্যসভার সাবেক সদস্য সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। খবর দ্য নিউজের।
এক এক্সবার্তায় সুব্রহ্মণ্যম লেখেন, নরেন্দ্র মোদির উচিত ছিল শাহরুখ খানকে তার সঙ্গে কাতারে নিয়ে যাওয়া। কেননা ভারতীয় আট নাগরিকের মুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাতারের শেখদের রাজি করাতে পারেনি। এরপর মোদি শাহরুখ খানকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেন। এভাবেই আমাদের নৌ-কর্মকর্তাদের মুক্ত করাতে কাতারের শেখদের সঙ্গে বড় ধরনের সমঝোতা হয়।
ওই আট ভারতীয় কাতারের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালের আগস্টে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগে তাদের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছিল, কাতার বা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কেউ তা প্রকাশ করেনি। রায় হওয়ার পরপরই তখন তৎপর হয় ভারত সরকার। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে।
এরপর গত জানুয়ারিতে মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ওই আটজনকে। সবশেষে তাদের মুক্তি দেওয়া হলো। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, ‘কাতারের সিদ্ধান্ত আমরা সাধুবাদ জানাই।’
ওই আটজন হলেন—ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট এবং নাবিক রাগেশ গোপাকুমার। তারা সবাই ভারতের নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে ২০ বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতীয় যুদ্ধজাহাজের। তাদের মৃত্যুদণ্ডের খবরের পর এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, কাতারের দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস নামের একটি কোম্পানিতে তারা কাজ করছিলেন। সূত্র : কালবেলা
হককথা/নাছরিন