নিউইয়র্ক ১০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফ্রিজের দরজাই ওদের ভরসা, নেই নৌকা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
  • / ১৩৮ বার পঠিত

ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৮ হাজার ৫২৪ জন নিহত হয়েছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় এক হাজার ২১৮ জন নিহত হন। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়, যাদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় আটক রয়েছে।এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর নারকীয় আগ্রাসনে সব ধ্বংস হয়ে গেছে।

এ ছাড়া শহরের বন্দরে থাকা বেশির ভাগ মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন সাময়িক যুদ্ধবিরতিকালে নতুন করে বাঁচার সংগ্রামে নেমেছে গাজাবাসী। এই মুহূর্তে জীবিকার জন্য মাছ ধরা ছাড়া গাজাবাসীর কাছে অন্য কোনো পথও খোলা নেই। গত ১ মার্চ হামাস-ইসরায়েলের সাময়িক যুদ্ধ বিরতির প্রথম ধাপ সমাপ্ত হওয়ার পরদিন থেকে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকও আটকে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে গাজাবাসী শুধু খাদ্যসংকটেই পড়েনি। নিত্যপণ্যের দামও আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। একসময় মাছ ধরাই ছিল গাজাবাসীর কর্মসংস্থানের অন্যতম পথ। কিন্তু সেটা আজ একেবারে ভেঙে পড়েছে। বেশির ভাগ জেলে টোপ দিয়ে মাছ ধরছে। তবে তারা মাছ বেশ চড়া দামে বিক্রি করতে পারছে।

তরুণ গাজাবাসী নানা পন্থা হাতে তৈরি ভেলা বানিয়ে মাছ ধরায় মন দিয়েছে। হাবিব বলেন, ‘এই সুযোগে আমরা শিশুদের সাঁতারও শিখিয়ে নিচ্ছি। তারাই একসময় ভেলার মাধ্যমে মাছ ধরা শিখে যাবে। গাজার মৎস্যজীবী খালেদ হাবিব। পুরনো রেফ্রিজারেটরের দরজা দিয়ে একটি ভেলা তৈরি করে সমুদ্রে ফিরেছেন তিনি; যাতে করে পরিবারকে খাওয়ানোর কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। হাবিব বলেন, ‘আমরা আজ খুব কঠিন পরিস্থিতিতে আছি এবং মাছ ধরার জন্য লড়াই করছি। মাছ ধরার কোনো নৌকা নেই। এগুলো সব ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আমি এই নৌকাটি রেফ্রিজারেটরের দরজা এবং কর্ক থেকে তৈরি করেছি। এটি কাজ করছে।’ হাবিব জানান, তিনি টোপ হিসেবে আটা ব্যবহার করেন এবং এখন ছোট বন্দর এলাকায় মাছ ধরেন।

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বন্দরের বাইরে যাই, তবে ইসরায়েলিরা আমাদের দিকে গুলি চালাবে। এই সমস্যা আমরা অনেক বেশি ভোগ করি।’ আবার এই ১৫ মাসে মাছ ধরার সব জালও ধ্বংস হয়ে গেছে। জেলে হাবিব উপায় না দেখে লোহার তার দিয়ে একটি জালও বানিয়ে নিয়েছেন। বললেন, ‘তারের জাল দিয়ে খুব বেশি মাছ ধরার সুযোগ নেই।’ সূত্র : অ্যারাব নিউজ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ফ্রিজের দরজাই ওদের ভরসা, নেই নৌকা

প্রকাশের সময় : ০৪:০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৮ হাজার ৫২৪ জন নিহত হয়েছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় এক হাজার ২১৮ জন নিহত হন। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়, যাদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় আটক রয়েছে।এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর নারকীয় আগ্রাসনে সব ধ্বংস হয়ে গেছে।

এ ছাড়া শহরের বন্দরে থাকা বেশির ভাগ মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন সাময়িক যুদ্ধবিরতিকালে নতুন করে বাঁচার সংগ্রামে নেমেছে গাজাবাসী। এই মুহূর্তে জীবিকার জন্য মাছ ধরা ছাড়া গাজাবাসীর কাছে অন্য কোনো পথও খোলা নেই। গত ১ মার্চ হামাস-ইসরায়েলের সাময়িক যুদ্ধ বিরতির প্রথম ধাপ সমাপ্ত হওয়ার পরদিন থেকে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকও আটকে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে গাজাবাসী শুধু খাদ্যসংকটেই পড়েনি। নিত্যপণ্যের দামও আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। একসময় মাছ ধরাই ছিল গাজাবাসীর কর্মসংস্থানের অন্যতম পথ। কিন্তু সেটা আজ একেবারে ভেঙে পড়েছে। বেশির ভাগ জেলে টোপ দিয়ে মাছ ধরছে। তবে তারা মাছ বেশ চড়া দামে বিক্রি করতে পারছে।

তরুণ গাজাবাসী নানা পন্থা হাতে তৈরি ভেলা বানিয়ে মাছ ধরায় মন দিয়েছে। হাবিব বলেন, ‘এই সুযোগে আমরা শিশুদের সাঁতারও শিখিয়ে নিচ্ছি। তারাই একসময় ভেলার মাধ্যমে মাছ ধরা শিখে যাবে। গাজার মৎস্যজীবী খালেদ হাবিব। পুরনো রেফ্রিজারেটরের দরজা দিয়ে একটি ভেলা তৈরি করে সমুদ্রে ফিরেছেন তিনি; যাতে করে পরিবারকে খাওয়ানোর কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। হাবিব বলেন, ‘আমরা আজ খুব কঠিন পরিস্থিতিতে আছি এবং মাছ ধরার জন্য লড়াই করছি। মাছ ধরার কোনো নৌকা নেই। এগুলো সব ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আমি এই নৌকাটি রেফ্রিজারেটরের দরজা এবং কর্ক থেকে তৈরি করেছি। এটি কাজ করছে।’ হাবিব জানান, তিনি টোপ হিসেবে আটা ব্যবহার করেন এবং এখন ছোট বন্দর এলাকায় মাছ ধরেন।

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বন্দরের বাইরে যাই, তবে ইসরায়েলিরা আমাদের দিকে গুলি চালাবে। এই সমস্যা আমরা অনেক বেশি ভোগ করি।’ আবার এই ১৫ মাসে মাছ ধরার সব জালও ধ্বংস হয়ে গেছে। জেলে হাবিব উপায় না দেখে লোহার তার দিয়ে একটি জালও বানিয়ে নিয়েছেন। বললেন, ‘তারের জাল দিয়ে খুব বেশি মাছ ধরার সুযোগ নেই।’ সূত্র : অ্যারাব নিউজ